গ্রাম থেকে এসে কলকাতায় বস্তি বানিয়ে থাকা গরিব মানুষকে কীভাবে রাখা হবে তা নিয়ে সেই বিধান রায় থেকে শুরু করে পরপর সব সরকারেরই মাথাব্যথা ছিল। ১৯৭৭ সালে বামফ্রন্ট সরকার ক্ষমতায় আসার পর নোনাডাঙায় ধান চাষের জমি অধিগ্রহণ করে কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটির হাতে তুলে দেয়। এই জমি তখন ছিল খালা (নিচু জমি)। তার ওপর মাটি […]
‘না দিলে কি ওদের থেকে ছিনিয়ে আনার ক্ষমতা আছে?’
বিনোদ, অংশু, শ্যামলীদের সাথে কথা হল, সংলগ্ন মজদুর কলোনির বস্তি উচ্ছেদ সম্পর্কে। — আমরা তো এখানে পাঁচ বছরের ওপরে আছি। কিছু ঘর বসেছে বছর দেড়েক, বাকিরা তো এই কয়েক মাস হল এসে বসেছে। যখন বসছিল তখন আমরা বলেছিলাম, এই জায়গাগুলো অনেক আগেই মাপজোখ হয়ে গেছে। আমাদের জায়গাটাও। তখন টাটা সুমো করে বড়ো অফিসাররা এসে জায়গা […]
নোনাডাঙার ফ্ল্যাটবাসীরও সমস্যার শেষ নেই
বস্তিবাসী বাদ দিলে নোনাডাঙার মূল বাসিন্দারাও কয়েক বছর আগেকার কলকাতার বস্তিবাসী। এখন তারা সেখানে থাকে পুনর্বাসনের এক কামরার ফ্ল্যাটে। আড়াইশো বর্গফুটের এই ফ্ল্যাটগুলিতে একটিই ঘর, একটি বারান্দা আর একটি চান পায়খানার জায়গা। ওই বারান্দাটিকেই কেউ বানিয়েছে রান্নাঘর, ইট-বালি-সিমেন্ট নিজেরা কিনে নতুন করে গাঁথনি দিয়ে। ২০০৩-০৪ সাল থেকে এখানে তৈরি হয়েছে পুনর্বাসনের ফ্ল্যাট, আর তা বস্তিবাসীদের […]
‘পুনর্বাসন না-দিয়ে উচ্ছেদের পক্ষপাতী আমরাও নই, তবে নতুন করে দখল করতে দেওয়া যাবে না’ বললেন নগরোন্নয়ন মন্ত্রী
পুরোনো বাসিন্দাদের আগে পুনর্বাসন দেওয়া হবে, নতুনদের নয়। … বাসিন্দারা নিশ্চিন্তে থাকুন, পুনর্বাসন দেওয়া হবে। যাঁরা নোনাডাঙায় নতুন করে বসবাস করছেন, তাঁদের উচ্ছেদ করা হবেই। কিন্তু যাঁরা ছয় মাসের বেশি থেকে দেড় বছর পর্যন্ত এই বস্তিতে থাকছেন, তাঁরা যদি উপযুক্ত পরিচয়পত্র দিতে পারেন, তাহলে তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। বিএসইউপি প্রকল্পে বস্তিবাসীদের ফ্ল্যাটের জন্য […]
‘ছেলে-বউয়ের সংসারে থাকতে পারিনি … এখানেই মরব, কোথায় যাব?’
আমি নস্করহাটির (দক্ষিণ কলকাতা) কাছে থাকতাম। অনেক বছর। লোকের বাড়ি কাজ করতাম। তিন ছেলে দুই মেয়ে। দুই ছেলে দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। আমি ত্রিশ বছর এই কলকাতায় আছি, স্বামী রঙের কাজ করত। দশ বছর আগে মারা গেছে। সাত-আটশো টাকা ভাড়া দিয়ে আগে থাকতাম। সেখানে লাইট ছিল না। লম্ফ জ্বালাতাম। ওখান থেকে যখন তুলে দিল, […]
সাম্প্রতিক মন্তব্য