ইলেভেন টুয়েলভের প্রজেক্ট জমা দিতে, বা ট্যাব কিনে তার বিল জমা দেওয়ার জন্য নিয়ম-বহির্ভূতভাবেই ওরা স্কুলে এসেছে বারবার। কোনো বাধানিষেধের তোয়াক্কা করেনি কিছুতেই। কিন্তু নিয়মিত ক্লাসের জন্য একে একে এগারোটা মাস চলে গেছে; অপেক্ষায়। তারপর? নাইন থেকে টুয়েলভের ক্লাস শুরু, নিয়মিত স্কুল শুরু। ফিরছে ওরা। বিভিন্ন জেলায় গ্রামের দিকে উঁচু ক্লাসগুলোতে নতুন শিক্ষাবর্ষে ভর্তির সংখ্যা দর্শনীয়ভাবে কম। ব্যক্তিগতভাবে যেটুকু জানা যাচ্ছে মেয়েদের ক্ষেত্রে বিয়ের প্রবণতা এই বছরে বিগত কয়েকবছরের মধ্যে সর্বাধিক।
এই কোভিডকালই কি জনস্বাস্থ্য সেবার দাবীগুলি জোরদার করে তোলার ঠিক সময় নয়?
যদি ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং থাকতে পারে, তাহলে ডিপ্লোমা ডাক্তারি কেন থাকবে না ? আগে তো LMF registered ডাক্তার ছিল। তারা থাকলে প্রচুর গ্রামীণ ও শহরের স্বাস্থ্যকেন্দ্র গুলিতে ডাক্তারের সমস্যা আরো মিটতে পারে। পাড়ায় পাড়ায় তারা বাড়িতে গিয়েও চিকিৎসা করতে পারে। কিন্তু ভারতের সর্ববৃহৎ ডাক্তারদের সংগঠন IMA এটা কিছুতেই করতে দেয় না। যত বেশি কোয়ালিফিকেশন যে ডাক্তারের, সমাজে সেই ডাক্তার তত দামি। প্রশ্ন হল, এতে কি রোগীর বেশি উপকার হয় নাকি ডাক্তারের বেশি উপকার হয়? কোন ডাক্তার বা কতজন প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিয়ে ভাবিত?
বয়স্কা কোভিড রোগী ও আমার অভিজ্ঞতা
গত মার্চ মাস থেকে সারা দেশ জুড়ে মিডিয়া যথেষ্ট মিথ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। অ্যাম্বুলেন্সে তোলার সময় স্বামীর দুঃসহ মৃত্যুর ঘটনাকে টিভিতে গুণিতকের হারে বারবার দেখিয়ে মানুষের মাথায় মৃত্যুভয় গেঁথে দিয়েছে।
আমরা যদি তাকাই দেখতে পাব, ভারতবর্ষে প্রতিদিন টিবি, ক্যানসার, অপুষ্টি, হার্ট এ্যাটাক, নিমুনিয়া, রক্তাল্পতা,গৃহহিংসা, রাষ্ট্রীয় হত্যা ইত্যাদিতে যে পরিমাণ মৃত্যু ঘটছে তার তুলনায় কোভিডে মৃত্যুর পরিসংখ্যান অনেক কম এবং সুস্থতার হার অনেক বেশি।
তাই মিডিয়াতাড়িত আতঙ্কিত মৃত্যুভয়ে জর্জরিত না হয়ে আসুন লড়ে যাই। হাসপাতালে যারা ফাইভ স্টার বন্দোবস্ত চান তাদের জন্য মারোয়াড়ি ব্যবসায়ীদের দোকান খোলা। আমরা অতি সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষ সরকারি হাসপাতালে ভরসা রাখি।
আয়ুষমান ভারতে’র মত লোক দেখানো স্বাস্থ্য প্রকল্প নয়, চাই স্বয়ংসম্পূর্ণ স্বাস্থ্য পরিকাঠামো গ্রাম থেকে
ইউনিটগুলি গড়ে উঠবে সাধারণ মানুষদের উৎসাহে। তাদের নির্বাচিত আগ্রহী তরুণ তরুণীদের আমরা প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যকর্মী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে চাই। প্রশিক্ষণের পর এরা ফিরে গিয়ে নিজ নিজ এলাকায় মানুষের স্বাস্থ্যের দায়িত্ব নেবে। প্রয়োজনে প্রশিক্ষক ডাক্তারবাবুদের কাছ থেকে ফোনে পরামর্শ নিতে পারবে। আমাদের বিশ্বাস এই ব্যবস্থায় ৮০ শতাংশ মানুষকে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে। তাছাড়া এই ছেলেমেয়েরা পিছিয়ে পড়া ছেলেমেয়েদের পড়াশুনা ও এলাকার আয় বাড়ানোর কাজেও অংশ নেবে। আর ঐ সব এলাকার মানুষজন ঐ ছেলেমেয়েদের/তরুণ-তরুণীদের আর্থিক দায়িত্ব বহন করবে। এভাবেই তৈরি হবে মানুষের জন্য, মানুষের সাহায্যে, মানুষের দ্বারা গড়ে ওঠা স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ব্যবস্থা। সুন্দরবন শ্রমজীবি হাসপাতাল এভাবেই বিগত দু’দশক ধরে কাজ করে চলেছে, যাদের অঙ্গীকার আমাদের স্বাস্থ্য আমরাই গড়ব।
তারপর আজও প্রসূতিদের রেফার করল আনুলিয়ায়। এদিকে দপ্তরে দপ্তরে দাবীপত্রদাওয়াই
শান্তিপুরের জনস্বাস্থ্য পরিষেবা চালু রাখতে জনসমাজ থেকে সক্রিয়তার বার্তা বাবর আলী। বাগদিয়া, শান্তিপুর। ৩ অগাস্ট, ২০২০।# নদিয়া জেলার শান্তিপুরের প্রায় তিন লক্ষ মানুষের কাছে চিকিৎসার জন্য একমাত্র নির্ভরস্থল “শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হসপিটাল” বন্ধ হয়ে পড়ে আছে আঠারো-কুড়ি দিন থেকে। দিন-রাত চব্বিশ ঘন্টা যার খোলা থাকার কথা, তা একরকম বন্ধই হয়ে আছে। পৌর এলাকা থেকে শুরু […]
- 1
- 2
- 3
- …
- 22
- Next Page »
সাম্প্রতিক মন্তব্য