কে ঠিক? ও.এন.জি.সি. নাকি পৌরপ্রশাসকেরা? ক্ষতিপূরণের টাকা পৌরসভায় জমা পড়েছে নাকি আদৌ পড়েনি? কৃষকেরা বলছেন টাকার বিলিবন্টন ইতিমধ্যে হয়ে গেছে। বিঘাপ্রতি কোটি টাকার ‘বখরা’। সত্যি কিনা জানিনা। আজ বামদলের জনৈক চেনা মুখ দেখলাম। কৃষকদের এবং ও.এন.জি.সি.-র মধ্যস্থতা করতে এলেন। কৃষক কল্যাণ সমিতির সভাপতি তপন দাসের জবাব – “এতদিন কোথায় ছিলেন? দুবছর ধরে লড়ছি। অবরোধ হল, অমনি চলে এলেন। আমরা কোর্টে গেছি। মামলা বিচারাধীন”। বাম নেতার পাল্টা জবাব -“অবরোধ করে কী হবে? এসব করে কী হবে?” তপন দাস স্পষ্ট বললেন -“কিছুই করব না।জমির দাম আপনারা আদায় করে দিন।” মধ্যস্থতাকারী নেতাটি চুপ করেন। তপন দাসের জবাব, “অবরোধ করেছি বলেই আপনারা আজ এলেন। না হলে কেউ জানতেও পারতেন না। জানার চেষ্টাও করেননি।” তিনি সরে পড়লেন। কৃষকদের সাথে কথা বলে বোঝা গেল এরা চাইছেন প্রোজেক্ট হোক।
জিয়াগঞ্জের ভাড়াও যা, শান্তিপুরের ভাড়াও তাই। সরকারি বাসে এই নিয়ম করল কারা?
তিনটের দিকে কাউন্টারের পর্দা উঠল। তিনটে চল্লিশে জিয়াগঞ্জের বাস। আমার সামনের লোক যাবেন কৃষ্ণনগর। পেছনের জন ধুবুলিয়া। পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে জানি রাতের দিকে অনেক বাসই রানাঘাট থেকে ঘুরিয়ে বাদকুল্লার ভেতর দিয়ে কৃষ্ণনগর পৌঁছায়। একশ টাকার নোট হাতে নিয়ে ভাবছি কৃষ্ণনগর অবধি কেটে রাখি টিকিট। ওখান থেকে নাহয় কোনোভাবে শান্তিপুরে ফেরা যাবে। কাউন্টারের কাছাকাছি পৌঁছতেই শুনতে পেলাম, যেখানেই যাবেন টিকিটের দাম একশ ষাট টাকা। প্রায় এক ঘন্টা লাইনে দাঁড়ানোর পর কেন এত ভাড়া, সস্তায় কিছু আছে কিনা খোঁজ করার ফুরসৎ কোথায়? তাছাড়া এত বেলায় প্রাইভেট বাস পাওয়া যায় না। যারা এই আনলক পর্বে বাসে যাতায়াত করছেন, তাদের থেকে জেনেছি, সিট নিতে গেলে কলকাতা বহরমপুর রুটের প্রাইভেট বাসে শান্তিপুর অবধি ভাড়া মিনিমাম আড়াইশো টাকা। কেউ কেউ সময় সুযোগ বুঝে পাঁচশও নেয়। তাই সরকারি বাসের লাইনে দাঁড়ানো।
সাইকেল লেনের দাবীতে দু’চাকার যাত্রায় উঠে এল সাইকেলযাত্রীর আত্মমর্যাদার প্রশ্ন
পশ্চিমবঙ্গের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী তার নিজস্ব স্কিম সবুজ সাথীর মাধ্যমে এখনো পর্যন্ত প্রায় ৮০ লক্ষ সাইকেল বিতরণ করেছেন, এবং খুব অল্প কিছুদিনের মধ্যেই সেটি ১০০ লক্ষের গণ্ডি ছাড়িয়ে যাবে। একদিকে সরকার ছাত্র ছাত্রীদের সাইকেল বিতরণ করছে এবং অপরদিকে ওই একই সরকার সাইকেল লেন এর বিরোধিতা করছে।
রেলের অন্দরেই বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে কর্মচারিরা। বাইরে জনগণ উত্তাল রেল চালানোর দাবীতে।
রেলমন্ত্রক ২০১৯ সাল থেকে বিভিন্ন বিজ্ঞপ্তি জারি করছে, ঐসব বিজ্ঞপ্তিতে ১৯৭২ ও ১৯৮৭ সালের নিয়মের উল্লেখ করে কর্মচারীদের আগাম অবসরের বার্তা পাঠাচ্ছে। রেলের বিভিন্ন ডিভিশনে ও ওয়ার্কশপে কর্মচারীদের (যাদের বয়স ৫৫ বছর বা কর্মজীবন ৩০ বছরের) তালিকা ইতিমধ্যেই প্রস্তুত করা হয়েছে। অবিলম্বেই তাদের অবসর গ্রহণের চিঠি ধরানো হবে। এই আকষ্মিক অবসর গ্রহণে ঐসব কর্মচারী ও তাদের পরিবার যে আর্থিক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়বে সেকথা এই সরকারের ভাবনাতেই নেই। সরকার ১৯৭২ সালের নিয়মের সুযোগ নিচ্ছে যা পূর্বের কোনো সরকারই প্রয়োগ করেনি। আগের সরকার কর্মচারীদের স্বার্থের কথা ভেবে স্বেচ্ছাবসরের জন্য সুনির্দিষ্ট প্রকল্প অনুমোদন করেছিল। বর্তমান সরকারের কোনো ক্ষেত্রেই কোনো মানবিক মুখ দেখা যাচ্ছে না। সেটা শুধু সরকারি কর্মচারীদের ক্ষেত্রেই নয়, লকডাউন পিরিয়ডে ভিন্নরাজ্যে আটকে থাকা শ্রমিকদের ঘরে ফেরানো, কৃষকের ঋণ মুকুব, নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র সংগ্রহে দুর্দশাগ্রস্ত আবালবৃদ্ধবনিতা, নোটবন্দীর সময়ে ব্যাঙ্কের সামনে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়ানো বয়স্ক নাগরিক – কোনো ক্ষেত্রেই সরকারকে মানবিক ভূমিকা নিতে দেখা যায়নি।
বাড়ি বন্ধ আড়াই মাস। অথচ বিদ্যুতের বিল ৫,৪৮০ টাকা
অগ্নীশ্বর চক্রবর্তী। শ্রীরামপুর। ১৮ জুলাই, ২০২০। # আমরা একটা ৫২ বছরের পুরানো বাড়িতে থাকতাম। বাড়িটি বিক্রি হয়ে যায় তিনমাস আগে। গত আড়াই মাস যাবৎ আমরা অন্য একটি বাড়িতে উঠে গেছি। ওই বাড়ির পাশেই WBSEDCL এর অফিস। তা সত্ত্বেও রামপ্রসাদ গোয়েঙ্কার CESC এর একচেটিয়া বিজনেস। সাধারণ ভাবে আমাদের বাড়িতে ৮০০/৯০০ টাকার মোট বিল আসত। গত আড়াই […]
- 1
- 2
- 3
- …
- 9
- Next Page »
সাম্প্রতিক মন্তব্য