বাড়িতে আগে ফ্রিজ ছিল না। ফ্রিজ করলাম, তারপর এই কাজটা চালু করলাম। এছাড়া টক দই, মিষ্টি দই, পনির, পাঁউরুটিও আছে। বারোটার সময় বাড়ি ফিরি। মোটামুটি দিনে এক-দেড়শো টাকা এসে যায়। সকালে সাড়ে চারটেয় ঘুম থেকে উঠে পড়ি। পাঁচটার মধ্যে ফ্রেশ হয়ে চান করে বেরিয়ে যাই। সাড়ে ছটার মধ্যে কাগজ এসে যায়। কাগজটা নিয়ে তারপর দুধের লাইনে যাই। কারবারের সঙ্গে পড়াশুনাও হচ্ছে। অনলাইন পড়া হচ্ছে, ফোনে আসছে তো। এই সময় ফোনও কিনতে হল।
আবার প্রাইভেট টিউশন তাদের মুখমন্ডল দেখিয়েছে। শুধু স্কুলটাই বন্ধ।
প্রথম প্রথম বেশ মজা লাগছিল। শুধু খাচ্ছিলাম আর ঘুমোচ্ছিলাম। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়েছিল টি.ভি.। এখন লকডাউন নেই। আবার প্রাইভেট টিউশন তাদের মুখমন্ডল দেখিয়েছে। শুধু স্কুলটাই বন্ধ। আগের মত আঁকা, পড়াশুনা তরতর করে চলছে। তবে পাঁচটায় খাওয়ার বদলে দুটোয় খাওয়া। সাড়ে ন’টায় স্নান করার বদলে সাড়ে বারোটায় স্নান করা।
ননার মা রোজ বলে, মুখে মাস্ক কই?
আমার মনে হয়, তার মনে একটা আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। সেটা সবার মনে সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু বন্ধুদের সাথে খেলা করলেই কি হয়? স্কুলে তাদের সাথে পড়া, খেলা, খাওয়ার মজাই আলাদা। এটাও সুস্থ হয়ে ওঠার একটা ওষুধ।
আমার মত যারা ছাত্র তারা নিশ্চয়ই জানো যে টিভির পর্দায় দেখানো কোনো লেখাই বোঝা যায়না
প্রাইভেট টিউশন থেকে ফেরার পথে দু’একদিন কথা হয় বুড়োকাকুর সাথে। লকডাউনে কে কেমন আছি একদিন জানতে চেয়েছিল। সেই খবর লেখা হল। দেবরূপ বণিক। শান্তিপুর। ১৪ জুলাই, ২০২০। # অনেককাল পর আসা একটি ঝড় হল লকডাউন। সারাদিন বাড়িতে বসে থেকে সময় কাটানোর এক পরীক্ষা এটি। আমার মত ক্লাস টেনে পড়া বা তার ছোট বা তার থেকে […]
সাম্প্রতিক মন্তব্য