সংলাপ ১ রাসবিহারী মোড়ে উত্তরগামী ২১/১ বাসের ভিতর, রাত ৯টা সাদাচুল : আপনি যে সিনিয়র সিটিজেনের সিটে বসে আছেন, কার্ড আছে? এই দেখুন আমার কার্ড। টেকোমাথা : না নেই। আনিনি। সাদাচুল : তাহলে উঠুন, আমায় বসতে দিন। টেকোমাথা : আজ আপনাকে ছেড়ে দিলাম। সঙ্গে আমার কার্ডটা নেই, তাই। সাদাচুল : এরপর থেকে সঙ্গে রাখবেন। সংলাপ […]
কচুরি, কবিপক্ষ, প্রাচীন তেলেভাজার দোকান
সকাল সাড়ে সাতটায় এস এন ব্যানার্জী রোডে এসপ্ল্যানেডের দিক থেকে ঢুকলে অবাক লাগে, অমন রাস্তা কী ফাঁকা! ঢিমেতালে দু-একটা বাস-ট্যাক্সি আসছে পুব দিক থেকে। শেষ বৈশাখের তাত জুড়াতে শহরের অর্ধেক রাত পুইয়েছে জেগে জেগে। অফিস পাড়ার ঘুম তাই ভাঙতে চাইছে না। বাঁদিকের ফুট ধরে জানবাজারের দিকে যেতে যেতে দেখি কিছু বাদে বাদেই বেলের পানার দোকান। […]
ঘরের ঝগড়া পথে এসে শান্ত হল
আজ বিকেলে অফিস থেকে বেরিয়ে কয়েক পা এগোতে দেখি একজন ফলওয়ালা ভ্যানে করে ফলের ঝুড়ি নিয়ে চলেছেন, পেছনে পেছনে একজন ভদ্রলোক প্রায় তাড়া করে তাঁকে দাঁড় করালেন। পেয়ারা, জামরুল, তালশাঁস, ফলসা আর কিছু মনমরা লিচু। আমিও ফল কিনতে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। এমন সময় নজরে এল সামনেই রাস্তার ধারে একটি অল্পবয়সি ছেলে কাকে যেন খুব ধমকাচ্ছে। […]
পয়লা বৈশাখ, সাজপোশাক, নানির বাড়ি
পয়লা বৈশাখ বৌকে নিয়ে তার দিদির বাড়ি যাচ্ছি। দিদির অসুখ। তাকে দেখতেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে ভোরবেলা হাওড়া এসেছি। হাওড়া থেকে মুন্সীর হাটের বাস ধরেছি। প্রথমে বেশ ভিড় ছিল। শেষের দিকে বাস ফাঁকা হয়ে এসেছে। সন্তোষপুর থেকে দুটো ছোটো মেয়ে আর এক বালক উঠল। বালক হলে কী হবে, বেশ বড়োদের মতো হাবভাব — জিনসের প্যান্ট, জুতোমোজা, […]
বদরতলার গঙ্গাবক্ষ থেকে মণ মণ কয়লা উঠছে
আজব কাণ্ড! বদরতলার গঙ্গা থেকে প্রতিদিন ২৫০-৩০০ মানুষ ভিড় করে কাঁচা কয়লা তুলছে। বাচ্চারা অল্পসল্প, কিন্তু বড়ো মেয়ে-বউ-ছেলেরা এক-একজন এক-দুই বস্তা কয়লা তুলছে। গড়ে ১ মণ হলে হিসেব মতো দিনে দু-আড়াইশো মণ কয়লা উঠছে। ছেলেবেলায় আমি নিজেও কয়লা তুলেছি গঙ্গা থেকে। আমরা বলি বোদকাঠ, মানে গাছের পচা অংশ কালো হয়ে যায়, সেটা দিয়ে জ্বালানি ভালোই […]
সাম্প্রতিক মন্তব্য