কিছুদূর গিয়েই অন্য এক ব্রাহিমের খোঁজ পাওয়া গেল। পাড়ার একটি ছেলে জানালো, “ঈদের দিন আমরা একটু মদ আর গাঁজা খেয়েছিলাম”। গাবে-র রাস্তায় অন্য দিকে, মসজিদের মুখোমুখি, এন্নাস্র-র চায়ের দোকানে, যা ছিল ব্রাহিমের এক সময়ের ঠেক। “ব্রাহিম হল আমাদেরই মতো, তিউনিশিয়ার এক গরীব ছেলে। সে ইউরোপের স্বপ্ন দেখতো, যেমন আমরাও দেখি। সে ভালোবাসত মেয়ে আর গতি। এই তো মাস ছয়েক আগে, তাকে দেখেছিলাম একটা মোটরবাইকে একটা বেশ্যাকে চাপিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।” চায়ের দোকানে এক বন্ধুর কাছে জানা গেল। সে বলল, গত একবছর ধরে ব্রাহিমকে নিয়মিত দেখা যেত না এই চায়ের দোকানের ঠেক-এ।
বাবা বলল লকডাউনের মধ্যে বসা যাবে না, তুই দুধের লাইনটা চালু কর
বাড়িতে আগে ফ্রিজ ছিল না। ফ্রিজ করলাম, তারপর এই কাজটা চালু করলাম। এছাড়া টক দই, মিষ্টি দই, পনির, পাঁউরুটিও আছে। বারোটার সময় বাড়ি ফিরি। মোটামুটি দিনে এক-দেড়শো টাকা এসে যায়। সকালে সাড়ে চারটেয় ঘুম থেকে উঠে পড়ি। পাঁচটার মধ্যে ফ্রেশ হয়ে চান করে বেরিয়ে যাই। সাড়ে ছটার মধ্যে কাগজ এসে যায়। কাগজটা নিয়ে তারপর দুধের লাইনে যাই। কারবারের সঙ্গে পড়াশুনাও হচ্ছে। অনলাইন পড়া হচ্ছে, ফোনে আসছে তো। এই সময় ফোনও কিনতে হল।
বিজ্ঞানের শিক্ষা থেকে শিক্ষার বিজ্ঞান – চর্চার গোটা পথে একজন কান্ডজ্ঞান না-হারানো মানুষ দীপাঞ্জন রায়চৌধুরী
তাঁর নিজের রাজনৈতিক বিশ্বাস যাই হোক-না কেন, একটি মানবাধিকার সংগঠনের রাজনীতি তিনি নিষ্ঠাভরে মেনে চলতেন। সভায় কেউ হয়তো উত্তেজনার বশে একটু উগ্র রাজনৈতিক মন্তব্য করে ফেলেছে, দীপাঞ্জনদা তাকে স্মরণ করিয়ে দিতেন, গণতান্ত্রিক সংগঠনের মঞ্চ থেকে এধরণের কথা বলা যায় না। মতভেদের কারণে সভা উত্তপ্ত হয়ে উঠলে দীপাঞ্জনদা শান্তভাবে বিবাদ মিটিয়ে দিতে চাইতেন। তাঁর ব্যক্তিত্বকে শ্রদ্ধা না-করে উপায় ছিল না।
জিয়াগঞ্জের ভাড়াও যা, শান্তিপুরের ভাড়াও তাই। সরকারি বাসে এই নিয়ম করল কারা?
তিনটের দিকে কাউন্টারের পর্দা উঠল। তিনটে চল্লিশে জিয়াগঞ্জের বাস। আমার সামনের লোক যাবেন কৃষ্ণনগর। পেছনের জন ধুবুলিয়া। পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে জানি রাতের দিকে অনেক বাসই রানাঘাট থেকে ঘুরিয়ে বাদকুল্লার ভেতর দিয়ে কৃষ্ণনগর পৌঁছায়। একশ টাকার নোট হাতে নিয়ে ভাবছি কৃষ্ণনগর অবধি কেটে রাখি টিকিট। ওখান থেকে নাহয় কোনোভাবে শান্তিপুরে ফেরা যাবে। কাউন্টারের কাছাকাছি পৌঁছতেই শুনতে পেলাম, যেখানেই যাবেন টিকিটের দাম একশ ষাট টাকা। প্রায় এক ঘন্টা লাইনে দাঁড়ানোর পর কেন এত ভাড়া, সস্তায় কিছু আছে কিনা খোঁজ করার ফুরসৎ কোথায়? তাছাড়া এত বেলায় প্রাইভেট বাস পাওয়া যায় না। যারা এই আনলক পর্বে বাসে যাতায়াত করছেন, তাদের থেকে জেনেছি, সিট নিতে গেলে কলকাতা বহরমপুর রুটের প্রাইভেট বাসে শান্তিপুর অবধি ভাড়া মিনিমাম আড়াইশো টাকা। কেউ কেউ সময় সুযোগ বুঝে পাঁচশও নেয়। তাই সরকারি বাসের লাইনে দাঁড়ানো।
এই কোভিডকালই কি জনস্বাস্থ্য সেবার দাবীগুলি জোরদার করে তোলার ঠিক সময় নয়?
যদি ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং থাকতে পারে, তাহলে ডিপ্লোমা ডাক্তারি কেন থাকবে না ? আগে তো LMF registered ডাক্তার ছিল। তারা থাকলে প্রচুর গ্রামীণ ও শহরের স্বাস্থ্যকেন্দ্র গুলিতে ডাক্তারের সমস্যা আরো মিটতে পারে। পাড়ায় পাড়ায় তারা বাড়িতে গিয়েও চিকিৎসা করতে পারে। কিন্তু ভারতের সর্ববৃহৎ ডাক্তারদের সংগঠন IMA এটা কিছুতেই করতে দেয় না। যত বেশি কোয়ালিফিকেশন যে ডাক্তারের, সমাজে সেই ডাক্তার তত দামি। প্রশ্ন হল, এতে কি রোগীর বেশি উপকার হয় নাকি ডাক্তারের বেশি উপকার হয়? কোন ডাক্তার বা কতজন প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিয়ে ভাবিত?
- « Previous Page
- 1
- …
- 7
- 8
- 9
- 10
- 11
- …
- 283
- Next Page »
সাম্প্রতিক মন্তব্য