‘আলু নিতে গিয়ে তো পটল তুলে ফেলবেন। লাইনটা রাস্তা থেকে নামান।’ লাইন প্রায় পৌঁছল শনিমন্দির অবধি। শুরু হল টোকেন দেওয়া। লাইন খানিকটা এগোনোর পর শুনলাম টোকেন ৫০ টা দেওয়া হবে। কারণ আলু কম। পরিমাণ ৫ কেজির বদলে ৩ কেজি। বিস্ত্র ঠেলাঠেলি। কে হবে ওই ৫০ জনের মধ্যে একজন। আমার অবশ্য একটু সুবিধে হয়েছিল কারণ আমি ওইদিন দু’বার গেছি আলুর খোঁজে। তার ওপর সন্ধেবেলায় সবার প্রথম। এক ভদ্রমহিলাকে বলতে শুনলাম, আমি তো চন্দ্রমুখী খাই। দেখলাম যখন ২৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে, যাই নিয়ে ৩ কেজি। পরের ভদ্রলোকটি বলে উঠল, তা আপনি যখন চন্দ্রমুখীর দলে, তবে কেন এই বিধুমুখীর খোঁজ? টোকেনটা দিন, আমি বরং নিই। আমরা এতজন লাইন দিয়ে আছি সেই বিকেল থেকে।
বইখাতা বাঁধাইয়ের কাজেই দক্ষতার দাম বাঁধেন পরমেশদা
স্কুলের শিক্ষকের কাছে প্রথম অনুপ্রেরণা পান বই বাঁধাইয়ের কাজে। কখনও মামা বা অন্য কারোর দেখে। আবার কখনও বাঁধানো বই দেখেই কাজ শেখা শুরু। তারপর থেকে চলছে পুরনো সখের বই, অফিসের মোটা মোটা দরকারি খাতা বাঁধাইয়ের কাজ। শুরুতে একটু অসুবিধা হত।বাঁধাইয়ের সব প্যাঁচ-পয়জার তো জানতাম না। তখন প্রয়োজন পড়লো একজন গুরুর। যার কাছে কাজটা শেখা যায়। একজন বললো ‘দেখো বাপু শেখাতে টেখাতে পারবো না। তুমি ফুলিয়া পলিটেকনিকে ভর্তি হয়ে যাও।
মার্কিন মুলুকে নির্বাচন : বার্নি স্যান্ডার্সের প্রচারের একজন সমর্থকের সঙ্গে কিছু আলাপ, কয়েক মাস আগে
করোনা লকডাউনের আগে বা শুরুর দিকে সৌরভ সরকারের সঙ্গে এই বাক্যালাপ হয়। তারপর তো স্যান্ডার্স ডেমোক্রেটিক পদপ্রার্থী হওয়ার দৌড় থেকে সরে যায়। এখন ভোট-ও হয়ে যেতে চলল। সৌরভকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, কী বুঝছ? বলল, টাচ উড। ট্রাম্প হারছে। আমরা আপাততঃ চুপটি করে আছি। ঘাপটি মেরে আছি। ইলেকশন মিটে গেলেই রাস্তায় নেমে পড়ব মার্কিন এস্টাব্লিশমেন্টের বিরোধিতা নিয়ে। তা সে যে-ই জিতুক।
ঘাসবন, জলাজমি কমে যাওয়ায় চোখেই পড়ে না লালমুনিয়া
আচমকা সুযোগ হাতছাড়া হওয়ায় মনটা খারাপ হয়ে গেল। ঠিক হাতছাড়া বলব না, মাত্র কয়েক সেকেন্ডের জন্য দেখতে পেয়েছিলাম। ভাবলাম নিশ্চয়ই আবার দেখতে পাব, প্রায় ঘন্টা দুয়েক কাটিয়ে দেওয়ার পরও কিছু দেখতে পেলাম না। বিষন্ন মনে ফিরে এলাম, ঠিক করলাম আবার আসব। পরের দুদিনও হতাশা নিয়ে ফিরলাম। অবশেষে তৃতীয় দিনে আমি তাকে ফ্রেমবন্দী করতে পারলাম।
তাঁতের হাটে পোস্টার হাতে আন্দোলন। প্রশ্ন উঠছে, করোনা-আতঙ্ক ছড়ানো কি ইচ্ছাকৃত
আনলক পর্বে এখনও স্কুল বন্ধ প্রায় আট মাস। লোকাল ট্রেন চলছে না। দেশের বেশির ভাগ মানুষের হালৎ ভয়ঙ্কর খারাপ। শ্রমিক মজুর বেরোজকারী হয়ে বসে আছে। এসব নিয়ে সরকারের কোনো মাথাব্যাথা নেই। মানুষের রুজিরুটি নিয়ে সরকারের কোনো কথা নেই অথচ মানুষের মুখে মাস্ক নেই কেন তা নিয়ে পাবলিককে নাজেহাল করার প্রবল চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। অথচ প্রথম থেকেই মাস্ক নিয়ে ‘হু’ এবং ‘সরকারী স্বাস্থ্য দফতর’-এর নির্দিষ্ট কোন গাইড লাইন নেই। স্বাস্থ্য দফতর কখনো বলছে এন-৯৫ মাস্ক, কখনো গামছা, কখনো কাপড়। অথচ মাস্ক ব্যবহারকারীদের অনেকেরই শ্বাস-প্রশ্বাসের অসুবিধা হচ্ছে বোঝা যাচ্ছে। কিন্তু এন-৯৫ মাস্কে ভাইরাস আটকায় এমন কোনো প্রমাণ নেই। আন্দোলনকারীদের অন্যতম জগদীশ চন্দ জানান – সরকারের দফতর থেকে তথ্য জানার অধিকার আইনে ‘মাস্ক বাধ্যতামূলক’ এরকম জানা যায়নি। আন্দোলনকারীদের মূল অভিযোগ মিডিয়ার বিরুদ্ধে। মেন স্ট্রিম মিডিয়াই বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বেশি, তথ্য গোপন করছে-
- « Previous Page
- 1
- …
- 6
- 7
- 8
- 9
- 10
- …
- 283
- Next Page »
সাম্প্রতিক মন্তব্য