মধ্যবিত্তের পেটে খিদে থাকলেও মানসম্মানের বড় চিন্তা। তাই আবার বাইকই ভরসা – আবার ভয়- আবার চিন্তা। সকলের হয়ে আমার একটাই প্রশ্ন- এখনো কি সময় হয়নি ট্রেনের লকডাউন ছাড়াবার? কারণ এবার যে রোগের চেয়ে পেটের জ্বালায় মরার সময় এসে গেছে। যারা সর্বময় কর্তা তাদের কাছে আমাদের মত স্বল্প বেতনের নিম্ন বেতনের নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষ তাদের হয়ে আমার সনির্বন্ধ অনুরোধ, সচেতনতা বাড়িয়ে যদি ট্রেনের চাকা গড়ানো যায় তাহলে আমাদের মত অনেককেই জীবন বাজি রাখতে হবেনা।
লকডাউন মানে কি বাড়তি ছুটির দিন?
দেখি অনেককে ধরেছে। যারা মর্নিং ওয়াক করে, জগিং করছিল, তাদেরও ধরে নিয়ে এসেছে। কেউ গরু-মোষের ওষুধ কিনতে গেছে, ধরে নিয়ে এসেছে। এরপর বরকে ছেড়ে দিল।
আমি বলব, লকডাউনের দিনে বেরোনো ঠিক না। কিন্তু টাকাটা নিচ্ছে কেন? মারারও আইন নেই, অথচ লোককে রাস্তায় মারছে।
“অত্যাবশ্যক পণ্য আইনের সংযোজনী কালোবাজারির ছাড়পত্র; চুক্তি-চাষ আইনে নিজের জমিতেই লেবার-এ পরিণত হবে চাষি”
এই ধরনের আইনের মধ্যে দিয়ে কৃষক নিজের জমিতেই লেবার-এ পরিণত হবে। এই আইনের মধ্যে দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার চাষের পশ্চিমী মডেল আমাদের এখানে চাপিয়ে দিতে চাইছে। কিন্তু সরকার ভুলে যাচ্ছে, আমাদের এখানকার কৃষকরা পশ্চিমী দেশগুলির কৃষকদের মতো নয়। আমাদের এখানে বেশিরভাগ চাষি ছোটো জোত-এর মালিক। আমাদের এখানে চাষ হল জীবনযাপন করার উপায়। পশ্চিমী দেশগুলিতে চাষ হল ব্যবসা।
লোকসভায় পাশ হওয়া বিতর্কিত তিনটি নতুন কৃষি আইনে কী কী আছে?
এই তিন আইনের বলে কেন্দ্রীয় সরকার ফসলের ন্যুনতম সহায়ক মূল্য তুলে দিতে চাইছে বলেও চাষিদের আশঙ্কা। যে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ফসলের দামের একটা মান ঠিক করে দেয় এবং বাজার মূল্য তার আশেপাশেই ঘোরাফেরা করে যদি সরকার চাষিদের কাছ থেকে সরাসরি ফসল কেনে বেশি বেশি। পঞ্জাব ও হরিয়ানার চাষিরা এই তিনটি আইনের বিরুদ্ধে লাগাতার লড়াই করছে রাস্তায় নেমে।
বয়স্কা কোভিড রোগী ও আমার অভিজ্ঞতা
গত মার্চ মাস থেকে সারা দেশ জুড়ে মিডিয়া যথেষ্ট মিথ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। অ্যাম্বুলেন্সে তোলার সময় স্বামীর দুঃসহ মৃত্যুর ঘটনাকে টিভিতে গুণিতকের হারে বারবার দেখিয়ে মানুষের মাথায় মৃত্যুভয় গেঁথে দিয়েছে।
আমরা যদি তাকাই দেখতে পাব, ভারতবর্ষে প্রতিদিন টিবি, ক্যানসার, অপুষ্টি, হার্ট এ্যাটাক, নিমুনিয়া, রক্তাল্পতা,গৃহহিংসা, রাষ্ট্রীয় হত্যা ইত্যাদিতে যে পরিমাণ মৃত্যু ঘটছে তার তুলনায় কোভিডে মৃত্যুর পরিসংখ্যান অনেক কম এবং সুস্থতার হার অনেক বেশি।
তাই মিডিয়াতাড়িত আতঙ্কিত মৃত্যুভয়ে জর্জরিত না হয়ে আসুন লড়ে যাই। হাসপাতালে যারা ফাইভ স্টার বন্দোবস্ত চান তাদের জন্য মারোয়াড়ি ব্যবসায়ীদের দোকান খোলা। আমরা অতি সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষ সরকারি হাসপাতালে ভরসা রাখি।
- « Previous Page
- 1
- …
- 12
- 13
- 14
- 15
- 16
- …
- 283
- Next Page »
সাম্প্রতিক মন্তব্য