পশ্চিমবঙ্গের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী তার নিজস্ব স্কিম সবুজ সাথীর মাধ্যমে এখনো পর্যন্ত প্রায় ৮০ লক্ষ সাইকেল বিতরণ করেছেন, এবং খুব অল্প কিছুদিনের মধ্যেই সেটি ১০০ লক্ষের গণ্ডি ছাড়িয়ে যাবে। একদিকে সরকার ছাত্র ছাত্রীদের সাইকেল বিতরণ করছে এবং অপরদিকে ওই একই সরকার সাইকেল লেন এর বিরোধিতা করছে।
ভয় হয়, সাইকেলটা পারবে তো ফুলের ভার বইতে
খুব ভোর ভোর উঠে রান্না, খাওয়া সেরে বেরিয়ে পড়েন। কাজের ফাঁকে জল আর খুব খিদে পেলে বিস্কুট খেয়ে নেন। ভাত রুটি জাতীয় এঁটো খাবার খেতে দেখলে ক্রেতারা আর ফুল নাও কিনতে পারেন। ফুল তো দেবতার পুজোয় লাগে।
রেলের অন্দরেই বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে কর্মচারিরা। বাইরে জনগণ উত্তাল রেল চালানোর দাবীতে।
রেলমন্ত্রক ২০১৯ সাল থেকে বিভিন্ন বিজ্ঞপ্তি জারি করছে, ঐসব বিজ্ঞপ্তিতে ১৯৭২ ও ১৯৮৭ সালের নিয়মের উল্লেখ করে কর্মচারীদের আগাম অবসরের বার্তা পাঠাচ্ছে। রেলের বিভিন্ন ডিভিশনে ও ওয়ার্কশপে কর্মচারীদের (যাদের বয়স ৫৫ বছর বা কর্মজীবন ৩০ বছরের) তালিকা ইতিমধ্যেই প্রস্তুত করা হয়েছে। অবিলম্বেই তাদের অবসর গ্রহণের চিঠি ধরানো হবে। এই আকষ্মিক অবসর গ্রহণে ঐসব কর্মচারী ও তাদের পরিবার যে আর্থিক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়বে সেকথা এই সরকারের ভাবনাতেই নেই। সরকার ১৯৭২ সালের নিয়মের সুযোগ নিচ্ছে যা পূর্বের কোনো সরকারই প্রয়োগ করেনি। আগের সরকার কর্মচারীদের স্বার্থের কথা ভেবে স্বেচ্ছাবসরের জন্য সুনির্দিষ্ট প্রকল্প অনুমোদন করেছিল। বর্তমান সরকারের কোনো ক্ষেত্রেই কোনো মানবিক মুখ দেখা যাচ্ছে না। সেটা শুধু সরকারি কর্মচারীদের ক্ষেত্রেই নয়, লকডাউন পিরিয়ডে ভিন্নরাজ্যে আটকে থাকা শ্রমিকদের ঘরে ফেরানো, কৃষকের ঋণ মুকুব, নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র সংগ্রহে দুর্দশাগ্রস্ত আবালবৃদ্ধবনিতা, নোটবন্দীর সময়ে ব্যাঙ্কের সামনে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়ানো বয়স্ক নাগরিক – কোনো ক্ষেত্রেই সরকারকে মানবিক ভূমিকা নিতে দেখা যায়নি।
একজন পেশাদার ট্রেড ইউনিয়ন কর্মীর ভূমিকা কী হওয়া উচিত, চোখে আঙুল দিয়ে শেখাতেন বিমল সেন
তবে দেখেছি কমিউনিস্ট বিপ্লবীদের প্রতি অপার শ্রদ্ধা আর চোখে ভারতের মুক্তি সংগ্রামের স্বপ্ন। মুখে অবশ্য অবিরাম আউড়ে যেতেন সংগঠনের মূল মন্ত্র – ‘এই ব্যবস্থায় কোনো সরকার কর্মচারী, মেহনতি মানুষের বন্ধু হয়না’। একটা খুব বাজে অভ্যাস ছিল বিমলদার, হাঁটুর বয়সী থেকে বয়োজ্যেষ্ঠ সবাইকে ‘দাদা’ সম্বোধন করতেন। হাজার বার বারণ করলেও শুনতেন না। পরে বুঝেছি সংগ্রামী সাথীদের ওটা তার স্বীকৃতি।
খুব আবেগপ্রবণ মানুষ ছিলেন বিমলদা। সংগঠনে উত্তপ্ত বিতর্ক চলছে। আমাদের মতো বহু মত পথ বিশিষ্ট সংগঠনে তা মাঝেমধ্যেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। কান্নায় ভেঙে পড়তেন বিমলদা। ভীষণ ভয়, সংগঠন যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়! আকুল আবেদন করতেন, ‘আপনারা সংগঠনটা ঠিক রাখুন’।
খদ্দেরের কাছে হাঁটু মুড়ে বসা তাঁতশিল্পীর ‘চায়ে পে চর্চা’
খানিক চুপ করে থাকার পর রথিন দা বলে, প্রথম প্রথম কেঁদে ফেলেছিলাম। বিক্রি হয়নি, বাড়িতে এসে চা ফেলে দিতে হয়েছে। সে সময় অনেকে সাহস দিয়েছে হাটের কয়েকজন বলেছেন, লেগে থাকো ঠিক হবে। কয়েক দিন আগেই আমার আর বৌ এর শরীর খারাপ করেছিলো। প্রায় এক হাজার টাকা ওষুধ কিনতে চলে গেছে। শুধু এটুকু চাই ভগবান যেন সুস্থ রাখেন। ইদানিং হাঁটুর একটা সমস্যা হচ্ছে। আসলে হাঁটু মুড়ে বসে চা দিতে হয়।চোদ্দ বার উপর নীচ করতে হয় হাটের একতলা থেকে তিন তলা। অল্প বয়সে খেলতে গিয়ে হাঁটতে চোটও পেয়েছিলাম।
- « Previous Page
- 1
- …
- 8
- 9
- 10
- 11
- 12
- …
- 283
- Next Page »
সাম্প্রতিক মন্তব্য