যৌন হেনস্থার বিরুদ্ধে আন্দোলনকে কর্তাব্যক্তিরা ‘রাস্তাঘাটে মেয়েদের নিরাপত্তার চাহিদা’ হিসেবে দেখতে শুরু করেছে। খোদ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, রামায়ণে জটায়ু যেমন সীতাকে রক্ষা করেছিল, আমরাও সেরকমভাবে মেয়েদের রক্ষা করব। এমনকী দিল্লির আপ-এর ইস্তাহারেও মেয়েদের নিরাপত্তার দিকটিকে যতটা গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, হাজার হাজার সিসিটিভি লাগানোর কথা বলা হয়েছে, সেভাবে নারী স্বাধীনতা বা অধিকারের কথা আসেনি।
একথা ঠিক যে প্রকাশ্য রাস্তাঘাটে যৌন হেনস্থার ঘটনা, এবং তার ব্যাপক প্রচারের ফলে দেশের বেশ কিছু জায়গায় মেয়েদের নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আশু উপায় হিসেবে নিরাপত্তামূলক কিছু বন্দোবস্তের চাহিদা উঠে এসেছে আন্দোলনগুলোর মধ্যে থেকে। কিন্তু মেয়েরা নিপাট বউ সেজে ঘরে থাকলে নিশ্চয়ই রাস্তাঘাটে যৌন হেনস্থার ঘটনাগুলোর কথা শোনা যেত না। মেয়েরা রাস্তাঘাটে নিজের মতো চলাফেরা করছে, সেই স্বাধীনতায় আঘাত হানছে যৌন হেনস্থার ঘটনাগুলো।
অধিকার এবং স্বাধীনতার চাহিদাকে নিরাপত্তার চাহিদা হিসেবে দেখায় বিপদ নেই? আজ যে সিসিটিভিকে নিরাপত্তার ওম বলে মনে হচ্ছে, কাল সেটাই আমার আপনার অধিকার আর স্বাধীনতার ওপর পুলিশের নজরদারির বন্দোবস্ত হিসেবে দেখা দেবে না তো?
Leave a Reply