সংবাদমন্থন প্রতিবেদন, ২৬ জুলাই#
গঙ্গা-মহাকালী অববাহিকায় বিপর্যয় নিয়ে গত ২২ জুলাই নেপালের কাঠমাণ্ডুতে একটি আলোচনাসভা হয়। ‘পিপল্স অ্যাসোসিয়েশন ফর হিমালয়া এরিয়া রিসার্চ’ সংক্ষেপে পাহাড়-এর প্রতিষ্ঠাতা শেখর পাঠক বলেন, ‘ গত একশো বছর যাবৎ মানুষের দখলদারিতে উত্তরাখণ্ড ও হিমালয় অঞ্চলের নদীগুলি ক্রুদ্ধ হয়েছে। ঘটনার যে রিপোর্ট মিডিয়া করেছে, তার চেয়েও ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে এবং তা উত্তরাখণ্ডের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। পূর্ব হিমাচল প্রদেশ এবং পশ্চিম নেপালেও তা ছড়িয়েছে।
আশঙ্কা করা যাচ্ছে, তীর্থযাত্রীদের বয়ে নিয়ে যায় যে দশ থেকে পনেরো হাজার লেবার, তারা শেষ হয়ে গেছে। এদের অনেকেই আসে পশ্চিম নেপাল থেকে। শ্রী পাঠক আরও বলেন, উত্তরাখণ্ডের সমস্ত জলবিদ্যুৎ প্রকল্প ধ্বংস হয়েছে এবং প্রায় ২৪টি বাঁধ (ড্যাম) বন্যায় ভেসে গেছে। বিষ্ণুগঙ্গা নদীর ওপর জে পি পাওয়ার প্রজেক্ট প্রকৃতিকে ধ্বংস করে চলেছে। এরা সুড়ঙ্গ ও রাস্তা তৈরির জন্য হাজার হাজার টন ডিনামাইট ব্যবহার করে বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে।
নেপাল-ভারত সীমান্তে ভারতের ধারচুলা শহর ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। কিন্তু নেপালের দারচুলা শহর মহাকালী নদীর তাণ্ডবে ভেঙেচুরে গেছে। ‘রেড ক্রস’-এর পরিসংখ্যান থেকে জানা যাচ্ছে, মহাকালী ও কর্নালী নদীর বন্যায় নেপালের ৫৯ জন মারা গেছে, ২৯ জন আহত হয়েছে এবং ২০৭৯টি পরিবার গৃহহীন হয়েছে। সাম্প্রতিক বন্যায় নেপালের সামগ্রিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কি কোনোদিনও জানা যাবে?
Leave a Reply