কুশল বসু, কলকাতা, ৩১ জানুয়ারি, ছবিতে তাইওয়ানে প্রতিবাদ সভায় আত্মাহুতি দেওয়া তিব্বতীদের ছবি, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১২#
চীনের সিচুয়ান প্রদেশের আবা-র কীর্তি বৌদ্ধমঠ থেকে লোরাং কনচক (৪০) নামে একজন বৌদ্ধ সন্ন্যাসীকে গ্রেপ্তার করে প্রাণদণ্ড দিল চীনা কর্তৃপক্ষ। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি মঠের অন্যান্য সদস্যদের আত্মাহুতি আন্দোলনের জন্য খেপিয়েছেন। চীনা কর্তৃপক্ষের মতে, কনচক কীর্তি মঠেই আটজনকে আত্মাহুতি দিতে উৎসাহিত করেছেন, তার মধ্যে তিনজন মারা গেছে। উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এখনও পর্যন্ত প্রায় একশো জন তিব্বতী স্বাধীনতার দাবিতে আত্মাহুতি দিতে চেয়েছে। গত মঙ্গলবার ৯৯তম আত্মাহুতির ঘটনায় গানসু প্রদেশের বোরা মঠে কুনচক কিয়ব (২৬) নামে একজন নিজের গায়ে আগুন দেন। কনচকের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর ৩১ বছর বয়সি ভাইপো লোরাং সেরিং-কেও দশ বছরের জেলের সাজা দিয়েছে চীনা কর্তৃপক্ষ।
আবার কীর্তি বৌদ্ধমঠ থেকে এই আত্মাহুতি আন্দোলন শুরু হলেও তা ছড়িয়ে গিয়েছে সিচুয়ান প্রদেশ ছাপিয়ে প্রতিবেশী গানসু এবং চিংঘাই প্রদেশেও। এই আন্দোলন কেবল মঠের সন্ন্যাসিদের মধ্যে আবদ্ধ থাকেনি। সাধারণ পশুপালক থেকে ছাত্র-ছাত্রী, সবাই এই আন্দোলনে অংশ নিয়ে নিজেদের গায়ে আগুন ধরিয়েছে। গানসু প্রদেশের গান্নান অঞ্চলে ২০১২ সালের নভেম্বর মাসে পরপর তিনটি এই ধরনের ঘটনার পর চীনা কর্তৃপক্ষ এই আন্দোলনের পরিকল্পনাকারী এবং উস্কানিদাতাদের খোঁজখবর দিতে পারলে পঞ্চাশ হাজার ইউয়ান অর্থমূল্য ঘোষণা করেছিল। চিংঘাই প্রদেশের হুয়াঙ্গান অঞ্চলে রেবকঙ মঠের কাছে পরপর পাঁচটি আত্মাহুতির ঘটনা ঘটার পর স্থানীয় চীনা কর্তৃপক্ষ এই পাঁচজনের বাড়ির লোকজনের সমস্ত ধরনের সামাজিক পরিষেবা বাতিল করার হুকুম জারি করে। এছাড়াও সরকারি নির্দেশনামা জারি করে যে সমস্ত গ্রামে এই ধরনের আত্মাহুতির পর প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত হয়েছে, সেই সব গ্রামে সমস্ত সরকারি প্রকল্প বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হয়।
Leave a Reply