১৫ মে
প্রিয় কেশব/অনিতা,
আপনারা কেমন আছেন? ছেলে কেমন আছে? আমরা বড়ো মিডিয়াতে নেপালের দুর্গতির খবর কিছু কিছু পাচ্ছি, কিন্তু আমরা চাই সেখানকার তৃণমূল স্তরের খবর, ঘটনার কথা জানতে। আপনি কি সেখানকার অবস্থা, খাবারের দাম, ওখানকার বাড়ি ঘরদোরে থাকা কতটা নিরাপদ তা নিয়ে একটু লিখতে পারেন?
তাছাড়া ওখানকার কোনো একটা গ্রাম বা বস্তিতে আমরা খুব ছোটো আকারে আমাদের পত্রিকার তরফ থেকে সংহতিমূলক কিছু কাজ করতে পারি, যাতে তারা ফের মূল জীবনস্রোতে ফিরে আসতে পারে। তার কোনো সুযোগ থাকলে জানাবেন।
জিতেন
২৮ মে
প্রিয় জিতেন ,
আমি চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু যোগাযোগ করতে পারিনি। ভূমিকম্প আমাদের নেপালের খুব দুর্গম জায়গাগুলিতেও আঘাত হেনেছে এবং সেসব জায়গায় পৌঁছানোও যাচ্ছে না। সেখানে ত্রাণ পৌঁছাচ্ছে না। কিন্তু লোকে পরস্পরকে সাহায্য করছে। তারা ভেঙে পড়া বাড়ি থেকে তাদের ঘর তৈরি করে নিচ্ছে। সত্যিকারের গরিব মানুষ যারা, তারা সরকারের আগমনের জন্য অপেক্ষা করছে না। কারণ, সরকার এল কি এল না, তাতে তাদের কিছু যায় আসে না। তাই তুমি সেখানে গেলে দেখতে পাবে কৌমের স্তরে অনেক স্থানীয় উদ্যোগ। কোনো কোনো অঞ্চলে যেখানে ভূমিকম্পের পরবর্তী ভূমিধসে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, সেখানে মানুষজনের বসবাসই দুষ্কর হয়ে পড়েছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি, অনেক পরিবার কাছেপিঠের শহরাঞ্চলগুলির দিকে চলে যাওয়ার জন্য পা বাড়িয়েছে।
বর্ষা আসছে। এখন বিভিন্ন জায়গায় ধান লাগানোর কথা। কিন্তু এখন দেখছি মেয়েরা ছেলেরা মিলে ভুট্টা লাগাচ্ছে। লোকে আত্মীয়স্বজন হারিয়েছে, সম্পত্তি হারিয়েছে, কিন্তু তারা সামনের দিকে তাকাতে চায়, নতুন করে জীবন শুরু করতে চায়।
ত্রাণকার্য নিয়ে রাজনীতিও চলছে। বড়ো এইড এজেন্সি এবং রাজনৈতিক দলগুলো এতে শামিল। খবর আসছে, রাষ্ট্রপুঞ্জের ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম পচা চাল দিয়েছে লোককে। মানবাধিকার কমিশন সরকারকে বলেছে ব্যবস্থা নিতে। ভারত থেকে আসা কিছু তেল নষ্ট করে ফেলতে হয়েছে, কারণ সেগুলো খাওয়ার যোগ্য নয়।
অনিতা/কেশব
Leave a Reply