শমীক সরকার, কলকাতা, ১৫ ডিসেম্বর। তথ্য সূত্র মিলেনিয়াম পোস্ট, এশিয়ান এজ, টাইমস অব ইন্ডিয়া, নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস#
বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে শক্তিশালী পুঁজি উৎপাদনের (কারখানা বা অন্যান্য) সঙ্গে জড়িত নয়, লগ্নি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এখনকার দুনিয়ায় অনেক ব্যবসায়ী গোষ্ঠীরই
আসল কারবার এই লগ্নী ব্যবসা — উৎপাদন বা পরিষেবার ব্যবসাগুলি বাহার মাত্র। পুঁজি প্রতিষ্ঠানের আধুনিক রূপ হলো কর্পোরেট পুঁজি। প্রতিষ্ঠানের মালিক এখানে প্রোমোটার। প্রতিষ্ঠানের মোট পুঁজির তিনটি উৎস। এক, মালিকের পুঁজি, দুই, ব্যাঙ্ক লোন, তিন, বাজার থেকে তোলা লগ্নি যার একটা বড়ো অংশ সাধারণ লগ্নীকারীদের টাকা। এই কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের দু’টি রূপ ইদানিং দেখা যায় — একটিতে শেয়ারবাজারে নিজের কোম্পানিকে অনুবন্ধন ঘটিয়ে শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে টাকা তোলা হয়। আরেকটিতে সরাসরি এজেন্টদের মাধ্যমে টাকা তোলা হয়। এই দ্বিতীয় কায়দাটি চালানো হয় চিট ফান্ডের আড়ালে। অনেক কর্পোরেটই এই দুই পদ্ধতিরই সাহায্য নেয়। যেমন, সাহারা ইন্ডিয়া।
গত এক দেড় দশক ধরে সারা ভারতে একটির পর একটি কর্পোরেটসংস্থা গড়ে উঠেছিল, যাদের পুঁজির মূল উৎস সরাসরি এজেন্টদের মাধ্যমে তোলা টাকা। গরীব ও মধ্যবিত্ত মানুষ এলাকার চেনা এজেন্ট মারফত এতে টাকা জমাতো। আইনসম্মত চিট ফান্ডের নামে এই লগ্নি ব্যবসায় ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিসের থেকে অনেক চড়া হারে সুদ দেওয়া হতো, কখনো সুদের বদলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ছিল জমি, আবাসন, সোনা, এমনকি বার্ষিক পর্যটন। ব্যবসা করার সমস্ত ছাড়পত্র তারা জোগাড় করেছিল।
অনেক ক্ষেত্রেই এই লগ্নী ব্যবসা পর্যবসিত হয় নতুন ‘গ্রাহক’দের কাছ থেকে তোলা টাকা দিয়ে পুরনো গ্রাহকদের সুদ বা আসল ফেরত দেওয়া-তে। এই পিরামিড-সদৃশ ‘কালেকটিভ ইনভেস্টমেন্ট স্কিম’ খুবই বিপজ্জনক, কারণ নতুন গ্রাহক জোগাড় না হলেই পুরো লগ্নী ব্যবসাটিই লাটে উঠবে, কেউই টাকা ফেরত পাবে না। আমাদের দেশে (এবং পৃথিবীর প্রায় কোনো দেশেই) এই ধরনের ঘটনা আটকানোর কোনো জুতসই আইন কানুন নেই, কারণ কড়া কোনো আইন লগ্নী ব্যবসা তথা পুঁজির সঞ্চয়নকেই নিরুৎসাহিত করতে পারে — এই ভয় থাকে। তা যদি হয় তাহলে পুঁজির পৃথিবী গোলমালে পড়বে। ১৯৯৯ সালে নয়া ‘কালেকটিভ ইনভেস্টমেন্ট স্কিম’ গাইডলাইন লাগু হওয়ার পর লগ্নী বাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবি প্রায় ১০০০টি কর্পোরেটকে ব্যবসা গুটিয়ে গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিয়ে দিতে বলে। কিন্তু বড়ো বড়ো সংস্থাগুলো বিভিন্ন কোর্টে মামলা করে দিব্বি তাদের কারবার চালিয়ে যেতে থাকে।
শেয়ারবাজার এবং এই সরাসরি বিনিয়োগের মধ্যে তফাত হলো, যারা শেয়ারবাজারে শেয়ার কিনে টাকা রাখে, তারা জানে, ওই টাকাটি জলেও যেতে পারে। এবং তা হয়ও। আর এজেন্ট মারফত কোম্পানিগুলোতে যারা টাকা রাখে, তাদের এজেন্টরা আশ্বাস দেয় — চার পাঁচ বছরের মধ্যে কি তারও কম সময়ে ওই টাকা দ্বিগুণ হয়ে ফেরত আসবেই। টাকা জলে যাওয়ার কোনো ব্যাপার নেই। আরো একটি তফাত আছে — শেয়ারবাজারে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ সাধারণত টাকা জমা রাখেনা এখনও, কিন্তু এই সংস্থাগুলোতে রাখে।
যেহেতু লোকে অর্থলগ্নী না করলে এই লগ্নী ব্যবসার কোনো ভবিষ্যৎ নেই, তাই লোকের আস্থা অর্জন করার জন্য বিভিন্ন ফন্দি ফিকির বার করে এই সংস্থাগুলো। যেমন, নেতা মন্ত্রী ক্রীড়াবিদ শিল্পী সাহিত্যিক অবসরপ্রাপ্ত সরকারি আমলা প্রভৃতিদের দিয়ে সংস্থার গুণগান করানো। বিজ্ঞাপণ ও প্রচার। এই প্রচার ও বিজ্ঞাপণের সঙ্গে ওতোপ্রতোভাবে জড়িত বড়ো মিডিয়া।
এরকমই একটি কর্পোরেট সংস্থা ‘সারদা’র কথা আমরা রোজ মিডিয়াতে দেখছি। কিন্তু আরো বেশ কিছু সংস্থার কথা মিডিয়ার আলোর আড়ালেই থেকে যাচ্ছে, যদিও বহরে গতরে এগুলো সারদার তুলনায় অনেক বড়ো বা সমতুল।
পার্লস গ্রুপ
খ্যাতনামা কোম্পানির নাম :
পার্লস এগ্রোটেক কর্পোরেশন লিমিটেড (পিএসিএল)
পার্লস গোল্ডেন ফরেস্ট লিমিটেড (পিজিএফ)
মোট ৪৯ হাজার কোটি টাকার কেলেঙ্কারি
সারদা (৭ হাজার কোটি)-র সাত গুণ, সাহারা (২৪ হাজার কোটি)-র দ্বিগুণ
সিবিআই, সেবি, ইকনমিক্স অফেন্স ইউনিট প্রভৃতির সূত্রে জানা যায়, এই কোম্পানির ১০০০-টির বেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে, রয়েছে ৩০০টি কাস্টমার সার্ভিস সেন্টার, ১০০টি অ্যাসোসিয়েট কোম্পানি এবং ৫.৮৫ কোটি গ্রাহক। সেবির মতে এই কোম্পানিটি মধ্যবিত্ত ও গরীব শ্রেণীর মানুষের কাছ থেকে ৪৯ হাজার কোটি টাকা তুলেছে, কুড়িটিরও বেশি রাজ্য থেকে। তবে পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং রাজস্থানেই এদের মূল কার্যকলাপ। এই কোম্পানিটির হেডঅফিস সেন্ট্রাল দিল্লিতে, যেখানে সিবিআই, আরবিআই, কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থ মন্ত্রক প্রভৃতি অফিসগুলো। পার্লস গোষ্ঠী বছরের পর বছর ধরে এদের কার্যকলাপ চালিয়ে গেছে আকালি দল, বিজেপি এবং কংগ্রেসের সক্রিয় সহযোগিতায়। ১৯৮৩ সালে জন্ম পিজিএফ-এর। ১৯৯৬ সালে পিএসিএল-এর, তখন নাম দেওয়া হয়েছিল গুরবন্ত এগ্রোটেক।
পার্লস গ্রুপের দুনিয়াদারি
পাঞ্জাবে প্রতি বছর কবাডি বিশ্বকাপ হয়, এখন হচ্ছে। গত তিন বছর পাঞ্জাব সরকারের আয়োজিত এই বিশ্বকাপের স্পনসর ছিল পার্লস গ্রুপ — এবং এই বাবদ তারা ৩৫ কোটি টাকা দিয়েছে বলে দাবি করে। যদিও এর কোনো হিসেব পাঞ্জাব সরকারের নথিতে পাওয়া যায়নি। ২০১১ সালে আইপিএল খেলা ক্রিকেট ক্লাব কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের মূল স্পনসর ছিল এরা। অস্ট্রেলিয়ান পেসার ব্রেট লি-কে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার করেছিল গ্রুপটির। ওই বছরই ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট সিরিজের টাইটেল স্পনসরও ছিল এরা। ২০১৩ সালে এরা ইএসপিএন চ্যানেলের একটি অনুষ্ঠানের স্পনসর হিসেবে তিন বছরের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়।
পার্লস গ্রুপের ১৪টি রাজ্যে জমি রয়েছে। পাঞ্জাবে ভাতিন্দা, মোহালি, লুধিয়ানা এবং জিরকপুর-এ এদের কয়েকশো একরের টাউনশিপ রয়েছে। এমনকি অস্ট্রেলিয়ার কুইনসল্যান্ড, মেলবোর্ন এবং ব্রিসবেন-এও এদের রিয়েল এস্টেট রয়েছে। রেজিস্ট্রার অব কোম্পানির কাছে একটি হলফনামা দেওয়ার সময় পার্লস গ্রুপ দাবি করেছিল, এদের হাতে রয়েছে ১.৮৫ লক্ষ একর জমি (যা দেশের সবচেয়ে বড়ো রিয়েল এস্টেট কোম্পানির কুড়ি গুণ)। কোম্পানিটির মালিক নির্মল সিং ভাঙ্গু-র নিজস্ব ওয়েবসাইটে দাবি করা হয়েছে, ১৫ লক্ষ একর জমি আছে তাদের সারা দেশে। এছাড়াও এদের আছে পর্যটন ব্যবসা, মশলা ব্যবসা, মিডিয়া ব্যবসা। আছে বিশাল মেডিক্যাল কলেজ। পার্লস ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনের মধ্যে রয়েছে হিন্দি টিভি চ্যানেল পি৭ নিউজ, হরিয়ানা এক্সপ্রেস, পার্লস এনসিআর, পার্লস মধ্যপ্রদেশ এবং প্রিন্ট মিডিয়া শুক্রবার, বিন্দিয়া ও মানিমন্ত্র।
পার্লস গ্রুপ স্বীকার করে না যে তারা লগ্নী সংস্থা। পিএসিএল-এর অধিকর্তা সুব্রত ভট্টাচার্য ২০১১ সালে দাবি করেছিলেন, ‘আমরা রিয়েল এস্টেট কোম্পানি। গ্রাহকরা আমাদের ইনস্টলমেন্ট-এ টাকা দেয় জমি কেনার জন্য। টার্ম শেষ হলে তারা তাদের পছন্দমতো জমি বেছে নিতে পারে, অথবা আমরা তাদের সাহায্য করি ওই জমিটা বাজারদরে ফের বেচে দিতে।’ এজেন্টরা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা তোলার সময় পার্লস গোষ্ঠীকে ‘সরকারের অধিগৃহীত’ এবং ‘কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রক স্বীকৃত’ বলে দাবি করেছিল।
কেন এদের বিরুদ্ধে মিডিয়া খড়গহস্ত নয়
‘লোকাল’ বা ‘ন্যাশনাল’ — আঁতিপাতি করে খুঁজলেও পার্লস গ্রুপের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে একটি দুটির বেশি খবর মিলবে না। কারণ, নিজেদের বিরুদ্ধে যাতে মিডিয়াতে কোনো লেখা না বেরোয় তা নিশ্চিত করার জন্য তারা ভাড়া করেছে জনসংযোগ কোম্পানি অ্যাডফ্যাকটর-কে। বিভিন্ন মিডিয়াতে পার্লস গোষ্ঠী বিজ্ঞাপন দেয়। এমনকি জুলাই মাসের একটি বিজ্ঞাপনে দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী রাজনাথ সিং-এর জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছিল। আমাদের এখানে আগের সারদা বা রোজভ্যালি গ্রুপের অনুগত মিডিয়াগুলি যেমন তৃণমূলের প্রায় বিজ্ঞাপনের মতো, তেমনি পার্লস গ্রুপের মিডিয়াগুলো বিজেপির প্রায় বিজ্ঞাপনের মতো।
এদের ব্যাপারে সেবি, সিবিআই ও আদালতের ভূমিকা
১৯৯৯-২০০০ সালে সেবি এদের (মোট ১০০০ কোম্পানিকে) ব্যবসা গুটিয়ে দিতে বলে। কিন্তু এরা আদালতে যায়। পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট ২০০২ সালের একটি অর্ডারে পাঞ্জাবে রেজিস্ট্রিকৃত পিজিএফ-কে গ্রাহকদের টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার পর ব্যবসা গুটিয়ে নিতে বলে। কিন্তু পিএসিএল, যেটি রাজস্থানে কোম্পানি হিসেবে নথিভুক্ত, সেটি রাজস্থান হাইকোর্ট থেকে অস্থায়ীভাবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি পায়। ফলে গোষ্ঠীটির কারবার চলতে থাকে। ২০০০ সাল নাগাদ পাঞ্জাবের গোল্ড ফরেস্ট ইন্ডিয়া নামে একটি সংস্থায় লালবাতি ঝোলার পর তাদের ব্যবসাসহ সেবির নির্দেশে বন্ধ হয়ে যাওয়া ছোটো ছোটো অনেক কারবারের বাজারটি ধরে নেয় পার্লস গ্রুপ। সেবির নিষেধাজ্ঞায় শাপে বর হয় তাদের।
২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পার্লস গ্রুপের কর্ণধার নির্মল সিং ভাঙ্গুর বিরুদ্ধে এফআইআর করে সিবিআই, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়। তাদের এক হাজারটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়া হয়। কিন্তু সারদা বা সাহারার ক্ষেত্রে যেভাবে প্রোমোটারদের (যথাক্রমে সুদীপ্ত সেন ও সুব্রত রায়) গ্রেপ্তার করেছিল প্রশাসন ও সিবিাআই — এক্ষেত্রে ভাঙ্গুরকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। কেবল জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বারকয়েক। সিবিআই জানিয়েছে, ‘যেহেতু সে আমাদের সঙ্গে তদন্তে সহযোগিতা করছে, তাই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।’ তার পরেও নিয়মিত মিডিয়াতে বিজ্ঞাপন দিয়ে গ্রাহকদের আস্থা বহাল রাখার কাজটি করে চলছে কোম্পানিটি।
সারদার সঙ্গে যেমন জড়িয়ে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা ও আসামের বেশ কিছু রাজনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবী ও প্রশাসনিক ব্যক্তির নাম — যাদের অনেককেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে — পার্লস গ্রুপের সঙ্গেও জড়িয়ে আছে পাঞ্জাব, রাজস্থান এবং দিল্লির প্রচুর বাঘা বাঘা রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ব্যক্তিত্ব, কিন্তু কারোর কেশাগ্র স্পর্শ করেনি সিবিআই। দিল্লির ক্ষমতার অলিন্দে শোনা যাচ্ছে, পার্লস গ্রুপ প্রায় একশো কোটি টাকা ঘুষ দিয়েছে বিভিন্ন মহলে যাতে সিবিআই তদন্তের গতি কমিয়ে দেওয়া যায়।
সম্প্রতি ভাঙ্গু সহ কোম্পানির শীর্ষ কর্তাদের একদফা জেরা করার পর সিবিআই-এর এক বরিষ্ঠ আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘অনেক ক্ষমতাশালী রাজনৈতিকদের মতোই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ইন্ডিয়া এবং সেবির কিছু কিছু ব্যক্তি এই গোষ্ঠীর সুবিধা পেয়েছে — এর প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। কিন্তু আমরা এগোতে পারছি না ওপরের নির্দেশের জন্য।‘ সেবি নির্দেশ দিয়েছিল, গোষ্টীটি যেন বাজার থেকে তোলা তিরিশ হাজার কোটি টাকা ফেরত দিয়ে দেয় পনেরো দিনের মধ্যে, এবং তারপর ব্যবসা গুটিয়ে দেয়। ২২ আগস্ট ২০১৪ এর পর বাজার থেকে আর টাকা না তোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু এসবকে তুড়ি মেরে বাজার থেকে পেছনের তারিখে বা ব্যাকডেট-এ এখনো টাকা তুলছে পার্লস গ্রুপ। দেশের বিভিন্ন রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন উদাসীন। ১২ ডিসেম্বর অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্ট বিজয়ওয়াড়া পুলিশকে জিজ্ঞেস করেছে, পার্লস গ্রুপের বিরুদ্ধে তারা কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তা যেন জানানো হয় আদালতকে। প্রশাসনের সামগ্রিক উদাসীনতার পরিমণ্ডলের মধ্যে গত নভেম্বর মাসের শেষের দিকে বিহারে পুর্ণিয়া, নালন্দা, রোহতাস ও বৈশালি জেলায় পার্লস-এর বিভিন্ন অফিস থেকে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছে বিহার পুলিশ।
Leave a Reply