৭ এপ্রিল, মুহাম্মদ হেলালউদ্দিন, মুর্শিদাবাদ#
আলু চাষ হয় মুর্শিদাবাদের ময়ুরাক্ষী নদীর দুই তীরে বড়ঞা ও ভরতপুর থানা এলাকায়। এবারে আলুর ফলন ভালোই। ভালো ফলন আলুচাষির জন্য আশীর্বাদ নয়, অভিশাপ হিসাবে দেখা দিয়েছে। আলুর দাম নেই। সরকার কেনার কথা বললেও — সরকারের কেনার খবর শুধু খবরের কাগজের পাতায়।
আলু চাষ করতে চার বার ট্রাক্টরে চাষ দিতে হয়। এতে বিঘা প্রতি দু-হাজার টাকা খরচ হয়। আমাদের এখানে ৩৩ শতকে বিঘা। বীজ লাগে পাঁচ বস্তা, দাম ছ-হাজার টাকা। বস্তায় পঞ্চাশ কেজি। রাসায়নিক সার ১০-২৬-২৬ তিন বস্তা লাগে, দাম তিনশো টাকা। জলসেচ লাগে পাঁচ বার, খরচ পড়েছে পাঁচশো টাকা। কীটনাশক লেগেছে দুশো টাকার। শ্রমিক লেগেছে ২০ জন, জনপ্রতি মজুরি দুশো টাকা। এইসব মিলে মোট খরচ পড়েছে ১৬,৩০০ টাকা। এবারে বিঘায় আলু হয়েছে চার হাজার কেজি। প্রতি কুইন্টাল আলুর দাম ছিল চারশো টাকা অর্থাৎ সব আলু বিক্রি করে পাওয়া গেছে ১৬,০০০ টাকা। অর্থাৎ লাভের ভাঁড়ার শূন্য। আলু জমি থেকে উঠতে নব্বই দিন সময় লাগে, তবে আলু পাকা হয়। তখন হিমঘরে রাখা যায়। মুর্শিদাবাদের হিমঘরে রাখা আলু বীজ হিসাবে ব্যবহারের উপযোগী হয় না। তাই মুর্শিদাবাদের আলুচাষি বীজের জন্য হুগলি কিংবা পাঞ্জাবের ওপর নির্ভর করে।
Leave a Reply