২০১১-১২ আর্থিক বছরে সরকারি তালিকাভুক্ত লিট্ল ম্যাগাজিন এবং স্থানীয় সংবাদপত্রগুলি সরকারি বিজ্ঞাপন প্রায় পায়নি বললেই চলে। বছরের শেষের দিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা তথ্য ও সাংস্কৃতিক আধিকারিকের পক্ষ থেকে দুটি বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। তার একটি ছিল জল সংরক্ষণ বিষয়ে। সেই বিজ্ঞাপনে আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর একটি ছবি রাখা হয়েছিল। ‘খবরের কাগজ সংবাদমন্থন’ পত্রিকায় ওই বিজ্ঞাপনটি প্রথমে ছাপা হয়নি। পরে আলিপুরের সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে ওটি ছাপার জন্য অনুরোধ জানানোতে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি বাদ দিয়ে বিজ্ঞাপনটি ১৬ মার্চ ২০১২ সংখ্যায় ছাপা হয়। একই সঙ্গে ১৬ মার্চ এই বিষয়ে পত্রিকার সম্পাদকের পক্ষ থেকে একটি প্রতিবাদপত্র পাঠানো হয় রাইটার্স বিল্ডিঙে রাজ্য তথ্য অধিকর্তার কাছে :
মহাশয়,
আমাদের পাক্ষিক সংবাদপত্র ‘খবরের কাগজ সংবাদমন্থন’-কে স্মারক নং ৯৩(১২)/জে.ত.স.দ./২৪ পরগনা (দঃ) তারিখ ৬.২.২০১২ মারফত জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক, দক্ষিণ ২৪ পরগনা যে দুটি বিজ্ঞাপন দিয়েছেন, তার একটি ‘জল ধরো জল ভরো’ সম্পর্কে আমার আপত্তির উল্লেখ করার জন্যই এই পত্র।
এই বিজ্ঞাপনটির বিষয়বস্তু প্রাসঙ্গিক এবং তা সমাজের কাছে তুলে ধরা আবশ্যক। কিন্তু অপ্রাসঙ্গিকভাবে এতে আমাদের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। সরকারি বিজ্ঞাপনে জনসমাজের প্রতি দায়বদ্ধ একটি শিক্ষামূলক বিবৃতির সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক, দলীয়/মত/আদর্শ বা ব্যক্তিত্বের প্রচার সেই প্রয়োজনীয় বিষয়বস্তুকেই খাটো করে বলে আমাদের মনে হয়েছে।
আমাদের সংবাদপত্রটি একটি স্বাধীন পত্রিকা। আমরা এই ধরনের প্রচারে অভ্যস্ত নই। তা সত্ত্বেও উক্ত বিজ্ঞাপনটির বিষয়বস্তুর গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে ওই ছবি ছাড়া বক্তব্যটি আমরা আমাদের ১৬ মার্চ ২০১২ (তৃতীয় বর্ষ অষ্টাদশ সংখ্যা) সংখ্যায় প্রকাশ করছি।
আপনার জবাবের অপেক্ষায় রইলাম।
তথ্য অধিকর্তার কাছ থেকে কোনো জবাব না পেয়ে সম্পাদকের পক্ষ থেকে তাঁর কাছে আবার একটি চিঠি পাঠানো হয় ১৩ এপ্রিল। এখনও পর্যন্ত তথ্য অধিকর্তার দপ্তর থেকে কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।
জিতেন নন্দী, ১৪ মে
Leave a Reply