মহার্ঘভাতা দয়ার দান নয়, রাজ্য সরকারি কর্মচারিরা আট বছর ধরে এই দাবিতে লড়াই করে আসছে। সারা দেশে ব্যাঙ্ক, সংগঠিত শিল্প এবং রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা সর্বত্রই দ্রব্যমূল্যবৃদ্ধিকে আংশিকভাবে হলেও সামাল দেওয়ার জন্য মহার্ঘভাতা শ্রমিক-কর্মচারীদের অধিকার হিসেবে বহাল রয়েছে। বকেয়া ২০ শতাংশ মহার্ঘভাতা না পেয়ে একজন কর্মচারীর চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা মাসে আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। এই পাওনা না দিয়ে কর্মচারীদের পাওনা পাঁচশো কোটি টাকা প্রতিমাসে আত্মসাৎ করছে সরকার। অথচ বিলাসিতার জন্য তারা বিনা দ্বিধায় শত শত কোটি সরকারি টাকা ব্যয় করে চলেছে।
মহার্ঘভাতার স্থায়ী আদেশনামা প্রকাশ ও বকেয়া ২০ শতাংশ মহার্ঘভাতার দাবিতে এবং ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ধর্মঘটের দিন যারা অফিসে আসেনি তাদের শাস্তিস্বরূপ মাইনে কাটা ও একদিনের রেকর্ড সার্ভিস কমিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে ইউনিটি ফোরাম ২ মে একদিনের প্রতীকি অনশন করে, তাতে সরকারের টনক নড়েনি।
মহার্ঘভাতার স্থায়ী আদেশনামা প্রকাশ ও বকেয়া ২০ শতাংশ মহার্ঘভাতার দাবিতে এবং ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ধর্মঘটের দিন যারা অফিসে আসেনি তাদের শাস্তিস্বরূপ মাইনে কাটা ও একদিনের রেকর্ড সার্ভিস কমিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে ইউনিটি ফোরাম ২ মে একদিনের প্রতীকি অনশন করে, তাতে সরকারের টনক নড়েনি।
২১ মে থেকে মহাকরণে অর্থ দপ্তরের সামনে বারান্দায় লাগাতার অনশন শুরু করা হয়। প্রথমে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় যে মুখ্যমন্ত্রীর প্রাইভেট সেক্রেটারি অনশনরত কর্মচারীদের সঙ্গে দেখা করবেন। কিন্তু কেউই দেখা করেনি। ২২ মে রাত্রিবেলা ১১টার সময় হামলা করে এই অনশন ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ। অনশনরত কর্মচারীদের রাইটার্স বিল্ডিং থেকে বের করে দেওয়া হয়। অনশনরত কর্মচারীরা সারারাত রাস্তায় বসে থাকে। পরদিন আবার অনশন শুরু হয়। তারপর ২৩ মে বিকেলে পুলিশ আবার অনশন ভাঙতে আসে। তখন কর্মচারীরা সমবেতভাবে প্রতিবাদ করে। পুলিশি হামলা অগ্রাহ্য করে অনশন চলছে।
অনিরুদ্ধ ভট্টাচার্য, কলকাতা, ৩০ মে
Leave a Reply