১৭ ফেব্রুয়ারি, জিতেন নন্দী, মেটিয়াব্রুজ#
১৯৭৩ সালের ২৩ আগস্ট মেটিয়াব্রুজে সমাজসেবী নজরুল কাশেমীর বাড়িতে গড়ে উঠেছিল ডাঃ দ্বারকানাথ কোটনিস স্মৃতিরক্ষা কমিটির বড়তলা শাখার। এক বছর পর থেকে তা স্থানান্তরিত হয় মেটিয়াব্রুজ সেবাসদনে। আজ চল্লিশ বছর ধরে এখানে আকুপাংচার চিকিৎসার কাজ চলছে। এপর্যন্ত একুশ হাজারের বেশি রোগীর এখানে চিকিৎসা হয়েছে। ২০১৩ সালে মোট ৮৭ দিন চিকিৎসার কাজ হয়েছে। তাতে মোট ৬০১ জন রোগী বন্ধুর চিকিৎসা হয়েছে। এর মধ্যে ১১৮ জনকে বিনামূল্যে চিকিৎসা করা হয়েছে।
আজ এই সংস্থার বার্ষিক সাধারণ সভায় ডাঃ শেখ সাহনাওয়াজ বলেন, ‘স্থানীয় ছেলেমেয়েদের কোটনিস কমিটি শেখাবে, তারাই স্থানীয় মানুষের সেবা করবে, এটাই আমাদের নিয়ম। … সাতাত্তর সাল থেকে আমি সমাজসচেতন ছেলে ও মেয়েদের আকুপাংচার চিকিৎসার প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করি। অনেকে শিখল, অনেকে পারল না। রাজ্যস্তর থেকে ডাক্তাররা এসে পরীক্ষা নেন। সেই পরীক্ষায় পাশ করলে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। এখানে শিখতে মোটামুটি বছর পাঁচেক লাগে। … যারা শিখল, আমরা তাদের বলি, আপনারা প্রাইভেট প্র্যাকটিশ করুন। কিন্তু আমরা চাই সপ্তাহে একদিন এক ঘণ্টার জন্য হলেও আপনারা আমাদের এই গরিব রোগীদের চিকিৎসার কাজে সময় দিন।’
‘আকুপাংচারে উপকার পেয়েছি’
ফিরোজ খান, টিকিয়াপাড়া, মেটিয়াব্রুজ, ২৭ ফেব্রুয়ারি#
২০১১ সালের অক্টোবর মাসে আমি মেটিয়াব্রুজ সেবাসদনে আকুপাংচার চিকিৎসার জন্য আসি। সেইসময় আমি খুবই কষ্ট পাচ্ছিলাম। আমার শালা আমার সঙ্গে এসেছিল এখানে। সে ডাক্তার সাহনাওয়াজকে আমার সমস্যাটা বলল। ওর সঙ্গে এখানকার ডাক্তারদের পরিচয় ছিল। তার আগে আমি সমস্ত ধরনের চিকিৎসা চালিয়েছি। ডাঃ জাভেদ ইকবাল নামে এক বড়ো অর্থোপেডিক চিকিৎসককে আমি দেখিয়েছিলাম। অনেকরকম টেস্ট করানো হয়েছিল। কিন্তু কোনোরকম ফল আমি পাইনি। আমার কোমরে আর্থাইটিস হয়েছিল। পেইনকিলার খেলে হয়তো একটু আরাম পেলাম, তারপর যে-কে-সেই। এখানে আসার আগে আমি অটোতে বসতে পারতাম না। টিউশন পড়াই, আমার সেখানে কামাই হয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু এখানে আকুপাংচার চিকিৎসার পর আমি সেরে উঠলাম। অন্তত এখন আমি চলাফেরা করতে পারছি। এখনও আমার চিকিৎসা এখানে চলছে। আমার কথা শুনে আমার সঙ্গে আরও বেশ কিছু মানুষ এখানে চিকিৎসা করাতে এসেছে।
Leave a Reply