২০০৮ সালের আগস্টে সংবাদমন্থনের চলার শুরু হয়েছিল। শুরুতে এমন একটা ভাবনা উঠে এসেছিল যে, একটা রোজকার সংলাপ, একটা যথার্থ সংযোগ গড়ে তোলা হবে। একদিকে সংবাদমন্থন — সাংবাদিক সম্পাদক, অপরদিকে পাঠক পাঠিকা — এমনতরো বিভাজনের পারাপারে দাঁড়িয়ে প্রতিবেদন আর পাঠ প্রতিক্রিয়া নয়, বরং আমাদের চারপাশের জীবনজগৎকে যে নাড়াঘাঁটা, যে তোলপাড়, যে মন্থন আমাদের রোজকার জীবনের অঙ্গ, তাই বলা-কওয়া-লেখা-পড়ার আওতায় আনা। এভাবেই চলতে ফিরতে পথে ঘাটে পাড়ায় যে বিভিন্ন অন্তরঙ্গ কথাবার্তা, তার সাথে যোগ হতে পারে, আরও অনেকের বলা, না বলা কথা। এরই খানিকটা প্রকাশ হবে, সংবাদমন্থনের দ্বিতীয় পাতায়, এই সংবাদ সংলাপ অংশে। আর আমরা যদি নিয়মিত বলা-কওয়া-লেখাটা চালিয়ে যাই, তবেই এটা নিয়মিত হবে।
১ সেপ্টেম্বর আহেলির ‘আমার ডুয়ার্স ভ্রমণ’ লেখাটা পড়ে উত্তরবঙ্গের কোচবিহারের সোমনাথ পরবর্তীতে তাকে বক্সা থেকে চার কিমি পায়ে হাঁটা পথে লেপচাখা যেতে বলেছে।
আর নদিয়ার মদনপুরের সম্রাট সরকার লিখেছে, ণ্ণআমিও এই বছর শীতের শেষে চিলাপাতা গেছিলাম। যে গাছটার কথা লিখেছ তার নাম ণ্ণরামগুণ’ যত দূর মনে পড়ছে। কিন্তু তোমাদের সামনে কেউ গাছটার গায়ে কোপ মেরেছে শুনে খুব খারাপ লাগল। গাছটায় এখন ‘টাচ’ করা পর্যন্ত মানা। পর্যটকেরা খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে দুটো গাছকে মেরে ফেলেছে। আর নতুন চারা কেউ তৈরিও করতে পারছে না। আমরা মানুষেরা কত নিষ্ঠুর না? চিলাপাতার জঙ্গল এখনও বেশ ঘন। জলদাপাড়া বা গরুমারার তুলনায়। কতদিন থাকবে জানি না। তুমি পাখি দেখতে ভালোবাসলে চিলাপাতার মতো জায়গা হয় না।’
১৬ আগস্ট, রঞ্জনের ‘বেলঘরিয়ার সমাজকর্মীদের ওপর চলছে নজরদারি আর পুলিশি হেনস্থা’ খবরের প্রেক্ষিতে রঞ্জনের সাথে এই নিয়ে কথাবার্তা হয়েছে অনেকেরই। নজরে এসেছে, খবরে ছাপা হয়েছিল, ‘… সমাজকর্মীদের মাওবাদী আখ্যা দিয়ে জেলে হেনস্থা করেছে’। বাস্তবে ঘটনাটা হল — বেলঘরিয়াতে সমাজকর্মী কিংবা গণ আন্দোলনে যুক্ত এমন কারও হাজতবাস হয়নি। তবে জিজ্ঞাসার ছুতো করে থানায় এনে তিনঘন্টা আটকে অপমান করে গেছে পুলিশ। এই খবরটি এডিট করে পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়েছিল। মূল প্রতিবেদনটি অনেক বড়ো, তার বাদ দেওয়া অংশটির একাংশ পাঠকের জন্য নিচে দেওয়া হল, পূর্ণাঙ্গ লেখাটি সংবাদমন্থন ওয়েবসাইটে এডিটেড লেখাটির পরিবর্তে রেখে দেওয়া হচ্ছে, ঠিকানা http://bit.ly/1bnK2Z6
‘মাওবাদী’ তকমায় ডাক্তার বিনায়ক সেনকেও রাষ্ট্র জেল খাটিয়েছে। গত প্রায় তিনদশকের কাছাকাছি সময় ধরে এ দেশের কেন্দ্রীয় বা বিভিন্ন রাজ্য সরকারগুলো সামাজিক কিংবা সরাসরি রাজনৈতিক আন্দোলন বা প্রতিবাদে উদ্যোগী-উদ্যমী বহু মানুষকেই একইরকম কানুন ও কৌশলে দমন করার একটার পর একটা নজির গড়েই চলেছে। তা সেসব মানুষের গায়ে দলীয় রাজনীতির ছাপ থাক কিংবা নাই থাক।
… জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন ভারপ্রাপ্ত আইসি ওদের সামনেই বলে বসলেন, ‘আপনাদের তো চিনি’ …। পুলিশ প্রশাসনই বা কেন? বেলঘরিয়ার বহু বাসিন্দা, স্টেশন এলাকায় যাদের কিছুটা নিয়মিত যাতায়াত, ছাত্র-যুব-বয়স্ক-বেকার, যারা গল্পশল্প করে, নানা পেশা-ব্যবসা করে, বেশিরভাগই চেনে মৃণাল-হিমাদ্রীকে। গত প্রায় দু-দশকের বেশি সময় ধরে সমাজের নানা স্তরে দুস্থ-পীড়িত সঙ্কটে নানাভাবে পাশে দাঁড়ানো — নাটক, গান, সাহিত্যের চর্চা — নিয়মিত রক্তদান শিবির চালানো থেকে সিঙ্গুর নন্দীগ্রামের সংগ্রাম, কারখানা বন্ধ, ছাঁটাই, ভাড়া ও দাম বাড়ার প্রতিবাদ থেকে নোনাডাঙার বস্তি উচ্ছেদ, দিল্লি বা কামদুনির প্রতিবাদে কখনও এলাকাতেই, কখনও আবার লড়াকু মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে যেতে কে না দেখেছে ওদের?
… একেবারেই হালে চাপটা তৈরি হওয়া শুরু — রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রীর সাম্প্রতিক কিছু উক্তি থেকেই — আর সেই চাপটা হিমাদ্রী বা মৃণালের মতো মানুষদের ওপরেই নয়, এসে পড়েছে সবরকম বেলঘরিয়াবাসীর ওপরেই — তা তিনি প্রতিবাদী হোন আর না-ই হোন। মেসের বাসিন্দা — ছাত্র যুব, স্টেশন চত্বরে সান্ধ্য আড্ডায়, চা-দোকানি — একটা ভয় উঁকি মারতে শুরু করল সবার মধ্যেই। যেহেতু মন্ত্রী মুখ খুলেছেন, আর তা এইভাবে, বেলঘরিয়াতে মাওবাদীরা ঢুকে পড়েছে, ঘাঁটি গেড়েছে … মেসগুলোতে কারা থাকে? কী তাদের পরিচয়? স্টেশন চত্বরে চা-দোকানগুলোতে মাওবাদীরা আসে-যায়-যোগাযোগ করে। প্রাক্তন নকশালদের মদতেই এসব বেড়ে উঠছে ইত্যাদি …। …’
এ প্রসঙ্গে বলা দরকার, অনেক সময় স্থানাভাবে সংবাদ সম্পাদনা করার দরকার হয়, সেক্ষেত্রে অসম্পাদিত পূর্ণাঙ্গ খবরটি থাকে ওয়েবসাইটে।
সংবাদমন্থনে প্রকাশিত যে কোনো কিছু সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানান নিচের ঠিকানায় : বঙ্কিম, কল্যাণগড়, অশোকনগর, উত্তর চব্বিশ পরগনা। ফোন :03216-238742, ইমেল:manthansamayiki@gmail.com
Leave a Reply