% এই নমুনাটির ব্যবহৃত কোড যেকেউ ব্যবহার করতে পারেন। এটি কপিলেফট।
% নমুনাটি xetex প্যাকেজ থাকা যেকোনও ল্যাটেক ডিস্ট্রোতে কম্পাইল হবে। xelatex filename.tex –এই হলো কম্পাইল করার কোড।
%একটি ছবি আছে, কম্পাইল করার আগে যে ফোল্ডার-এ এই ফাইলটি রাখবেন, সেখানে Prism.jpg নামে একটি ছবির ফাইল তৈরি করে রাখবেন। নাহলে কম্পাইল হবে না।
%সমস্যায় পড়লে যোগাযোগ করুন shamiksarkar [at the rate] gmail.com
\documentclass{article}
\usepackage{fontspec}
\usepackage{xunicode}
\usepackage{microtype}
\usepackage{microtype}
\usepackage{xltxtra}
\usepackage{multicol}
\usepackage{fancybox}
\usepackage{tikz}
\usetikzlibrary{shadows}
\usetikzlibrary{shapes,snakes}
\usepackage{setspace}
%\usepackage{epic}
%\usepackage{eepic}
\usepackage{float}
\usepackage{ragged2e}
\usepackage{fancybox}
\usepackage{genmpage}
\usepackage{varwidth}
\usepackage{wrapfig}
%\usepackage{subfigure}
\usepackage{graphicx}
\usepackage{graphics}
\usepackage[papersize={11in,18in},top=1in,bottom=1.5in,left=0.5in,right=0.5in]{geometry}
\usepackage{fancyhdr}
\usepackage{color}
\usepackage{caption}
\captionsetup{singlelinecheck=false, format=plain, aboveskip=2pt, belowskip=1pt, margin=0pt, labelformat=empty, labelsep=none, justification=justified}
\definecolor{Light}{gray}{0.8}
\definecolor{Dark}{gray}{0.2}
\definecolor{Grey}{gray}{0.65}
%
\begin{document}
\pagestyle{fancy}
\fancyhead{}
\fancyfoot{}
\voffset=-0.2in
\headheight=16pt
\headsep=5pt
\fancyheadoffset[]{-0in}
\renewcommand{\headrulewidth}{0pt}
\renewcommand{\footrulewidth}{0pt}
\newcommand\straightline[4]{
\begin{picture}(0,0)
%\Thicklines
\setlength{\unitlength}{1mm}
%\thicklines
\drawline(#1,#2)(#3,#4)
\end{picture}}
\newcommand\EN[1]{
\fontsize{#1}{#1}\fontspec{Ubuntu}}
\newcommand\BN[1]{
\fontsize{#1}{#1}\fontspec[Script=Bengali, FakeBold=0.0001]{Baban5}}
\newcommand\BNN[1]{
\fontsize{#1}{#1}\fontspec[Script=Bengali]{Baban5}}
\newcommand\BB[1]{
\fontsize{#1}{#1}\fontspec[Script=Bengali]{BabanBold}}
\newcommand\BI[1]{
\fontsize{#1}{#1}\fontspec[Script=Bengali, FakeSlant=0.2]{Baban5}}
\newcommand\BBI[1]{
\fontsize{#1}{#1}\fontspec[Script=Bengali, FakeSlant=0.2]{BabanBold}}
\newcommand\THU[1]{
\textcolor{black}{\fontsize{#1}{#1}\fontspec[Script=Bengali]{BabanBold}ঠু}}
%
%
\begin{figure}[!h]
\begin{minipage}[t]{280mm}
\vspace{-0mm}
\fbox{\parbox[t]{70mm}{ \Centering \colorbox{black}{\textcolor{white}{\BB{14.22}প্রয়াতা শ্যামলী খাস্তগীরের জন্মদিনে মিলনসভা}}\\[1mm]
\parbox[h]{70mm}{ \Centering
\BB{12.64} রবিবার ২৩ জুন, সকাল দশটায় নবগ্রাম হাটপুকুরে এবং বিকেল পাঁচটায় শান্তিনিকেতন পলাশবাড়িতে শ্যামলীদির বাড়িতে\\[1mm]
\BB{11.26} গান, পাঠ আর আলাপচারিতায় শ্যামলীদিকে স্মরণ। সকলের আমন্ত্রণ। যোগাযোগ : দেবাশিস ৯৪৩২৮৪৮৬৩৫, জিতেন ০৩৩-২৪৯১৩৬৬৬, মনীষা ৯৪৭৪৫৪৯৭৭৩\\\BB{11.06}
}}}
\parbox[h]{174mm}{.\\[10mm]\RaggedLeft
\includegraphics[width=80mm]{logo.jpg}\\[-17mm]}
\\
\EN{10}Vol 4 \hspace{1mm} Issue 24\hspace{1mm} 16 June 2013 \hspace{1mm} Rs. 2 \hspace{1mm} http://www.songbadmanthan.com \hspace{45mm}\BB{12.22}চতুর্থ বর্ষ \hspace{3mm} চতুর্বিংশ সংখ্যা \hspace{3mm} ১৬ জুন ২০১৩ \hspace{1mm} রবিবার \hspace{5mm}\BB{19.22}২ টাকা
\end{minipage}
\\[0.5mm]
\begin{minipage}[t]{280mm}
\vspace{1mm}
\setlength{\fboxsep}{1pt}
\fbox{\EN{12}\textbullet \BB{16.3}চলতে চলতে পৃ ২ \EN{12}\textbullet \BB{16.3}পরমাণু পৃ ২ \EN{12}\textbullet \BB{16.3}ষোলোবিঘা পৃ ২ \EN{12}\textbullet \BB{16.3}পরিবেশ দিবস পৃ ৩ \EN{12}\textbullet \BB{16.3}দণ্ডকারণ্য পৃ ৩ \EN{12}\textbullet \BB{16.3}ম্যানিং পৃ ৪ \EN{12}\textbullet \BB{16.3}গেজি পার্ক পৃ ৪ \EN{12}\textbullet \BB{16.3}বুড়োরাজ পৃ ৪ }
\end{minipage}
\begin{minipage}[t]{252mm}
\vspace{0mm}
\begin{minipage}[t]{252mm}
\vspace{0mm}\begin{minipage}[t]{100mm}
\vspace{3mm}
\setlength{\baselineskip}{2pt}
\setlength{\parskip}{0.15ex}
\setlength{\parindent}{10pt}
\colorbox{black}{\hspace{5mm}\textcolor{white}{\BB{27.22}চাকরি টাকা চাই না, বিচার চাই\hspace{5mm}}}
\raisebox{5mm}{\parbox[h]{48mm}{%
%
%
\tikzstyle{mybox} = [draw=black, fill=black!20, thick,
rectangle, rounded corners, inner sep=5pt, inner ysep=10pt]
\tikzstyle{fancytitle} =[fill=black, text=white]
\begin{tikzpicture}
\node [mybox, right=2pt] at (0.9,-0.1) (box){%
\begin{minipage}{45mm}
\RaggedRight
\BB{11.06} .\\\hspace{12mm}
আমার মেয়ে প্রীতির ওপর ২ মে দিনেদুপুরে মুম্বইয়ের বান্দ্রা স্টেশনে অ্যাসিড-হামলা হয়। তার চোখ, লিভার, কিডনিতে সংক্রমণ হয়ে যায়। একমাস যন্ত্রণা পেয়ে ১ জুন সে মারা গেছে। এখনও হামলাকারী ধরা পড়েনি, মহারাষ্ট্র সরকার ধরতে পারেনি। আমরা এখনও জানি না হামলাকারী কে। তাই আমি সিবিআই তদন্ত চাইছি। মহারাষ্ট্র সরকার আমাকে ২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে চেয়েছিল। আমি প্রত্যাখ্যান করেছি, কারণ আমি প্রীতির জন্য ন্যায়বিচার চাই, আর কিছু চাই না।
\end{minipage}
};
\node[fancytitle, left=25pt] at (box.north east) {\BBI{11.2545}অমর সিংহ রথ};
\end{tikzpicture}
\\[-73mm]
\begin{tikzpicture}
\node (quotee){
\begin{tikzpicture}
\draw [drop shadow={shadow xshift=0.5ex, shadow yshift=-0.5ex, fill=black!80}, fill=white, scale=0.8] (0,0) arc[start angle=70, end angle=270, radius=1cm] arc[start angle=270, end angle=450, radius=0.6cm] arc[start angle=450, end angle=630, radius=0.3cm] arc[start angle=630, end angle=430, radius=0.65] to (0,0);
\draw [drop shadow={shadow xshift=-0.5ex, shadow yshift=-0.5ex, fill=black!80}, fill=white, scale=0.6] (0.8,-0.5) arc[start angle=90, end angle=270, radius=0.5cm] arc[start angle=270, end angle=450, radius=0.25cm] arc[start angle=90, end angle=-120, radius=0.45cm] arc[start angle=-120, end angle=90, radius=0.72cm] to (0.8,-0.5);
\end{tikzpicture}
};
\end{tikzpicture}
\\[1mm]
%
%
}}
\hspace{3mm}
\raisebox{-5mm}{\parbox[t]{48mm}{%
%
\tikzstyle{mybox} = [draw=black, fill=black!20, thick,
rectangle, rounded corners, inner sep=5pt, inner ysep=10pt]
\tikzstyle{fancytitle} =[fill=black, text=white]
\begin{tikzpicture}
\node [mybox, right=2pt] at (0.9,-0.1) (box){%
\begin{minipage}{45mm}\RaggedRight
\BB{11.06} .\\\hspace{12mm}
আমরা চাকরি, ক্ষতিপূরণ কিছুই চাই না। নেতামন্ত্রীরা কি আমাদের মেয়েকে ফিরিয়ে দিতে পারবেন? আমরা শুধু মেয়ের খুনির ফাঁসি চাই।
\end{minipage}
};
\node[fancytitle, left=-1pt] at (box.north east) {\BBI{11.2545}কামদুনির মৃত কন্যার মা};
\end{tikzpicture}
\\[-33mm]
\begin{tikzpicture}
\node (quotee){
\begin{tikzpicture}
\draw [drop shadow={shadow xshift=0.5ex, shadow yshift=-0.5ex, fill=black!80}, fill=white, scale=0.8] (0,0) arc[start angle=70, end angle=270, radius=1cm] arc[start angle=270, end angle=450, radius=0.6cm] arc[start angle=450, end angle=630, radius=0.3cm] arc[start angle=630, end angle=430, radius=0.65] to (0,0);
\draw [drop shadow={shadow xshift=-0.5ex, shadow yshift=-0.5ex, fill=black!80}, fill=white, scale=0.6] (0.8,-0.5) arc[start angle=90, end angle=270, radius=0.5cm] arc[start angle=270, end angle=450, radius=0.25cm] arc[start angle=90, end angle=-120, radius=0.45cm] arc[start angle=-120, end angle=90, radius=0.72cm] to (0.8,-0.5);
\end{tikzpicture}
};
\end{tikzpicture}
\\[16mm]
%
%
%
%
\tikzstyle{mybox} = [draw=black, fill=black!20, thick,
rectangle, rounded corners, inner sep=5pt, inner ysep=10pt]
\tikzstyle{fancytitle} =[fill=black, text=white]
\begin{tikzpicture}
\node [mybox, right=2pt] at (0.9,-0.1) (box){%
\begin{minipage}{45mm}\RaggedRight
\BB{11.06} .\\\hspace{12mm}
যে কোনো দুর্যোগের পরই সরকার যেমন ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করে, বারাসতে মেয়েটির নির্মম পরিণতির পর সেটাই করা হয়েছে। এর চেয়ে আপত্তিকর কিছু হতে পারে না। বারাসতের যে প্রতিবাদী মানুষেরা তা প্রত্যাখ্যান করেছেন, তাঁদের প্রতি আমার প্রণতি রইল।
\end{minipage}
};
\node[fancytitle, left=18pt] at (box.north east) {\BBI{11.2545}কবি শঙ্খ ঘোষ};
\end{tikzpicture}
\\[-48mm]
\begin{tikzpicture}
\node (quotee){
\begin{tikzpicture}
\draw [drop shadow={shadow xshift=0.5ex, shadow yshift=-0.5ex, fill=black!80}, fill=white, scale=0.8] (0,0) arc[start angle=70, end angle=270, radius=1cm] arc[start angle=270, end angle=450, radius=0.6cm] arc[start angle=450, end angle=630, radius=0.3cm] arc[start angle=630, end angle=430, radius=0.65] to (0,0);
\draw [drop shadow={shadow xshift=-0.5ex, shadow yshift=-0.5ex, fill=black!80}, fill=white, scale=0.6] (0.8,-0.5) arc[start angle=90, end angle=270, radius=0.5cm] arc[start angle=270, end angle=450, radius=0.25cm] arc[start angle=90, end angle=-120, radius=0.45cm] arc[start angle=-120, end angle=90, radius=0.72cm] to (0.8,-0.5);
\end{tikzpicture}
};
\end{tikzpicture}
\\[-3mm]
%
%
}}
\setcounter{columnbadness}{7000}
\setcounter{finalcolumnbadness}{7000}
\tolerance=2000
\end{minipage}
\hspace{4mm}
\begin{minipage}[t]{145mm}
\vspace{4mm}
\setlength{\baselineskip}{2pt}
\setlength{\parskip}{0.15ex}
\setlength{\parindent}{10pt}
\begin{multicols}{2}
[\section*{\RaggedRight \BNN{23.221}মিডিয়ার শিরোনামে উঠে আসা কামদুনি গ্রামের কথা
\\[2mm]
}]
\setcounter{columnbadness}{7000}
\setcounter{finalcolumnbadness}{7000}
\tolerance=2000
\BBI{11.2545}শ্রীমান চক্রবর্তী, কামদুনি, বারাসাত থেকে ফিরে, ১৫ জুন\EN{10}~\textbullet\\[0.5mm]
\BB{11.06}
বাসে মধ্যমগ্রাম চৌমাথা নেমেছি, তখন বঙ্কিম ফোনে জানাল, যেতে হবে বাসে কৃষ্ণমাটি। কৃষ্ণমাটি নেমে কোনো ভ্যান বা রিক্সা না পেয়ে হাঁটতে শুরু করলাম কামদুনির উদ্দেশ্যে, একে ওকে জিজ্ঞেস করে। পিচের রাস্তা, পথের আর শেষ হয় না, মাঝে মাঝে কারও কাছে জানতে চাইছি কামদুনি যাবার পথ। রাস্তার বাঁকে বাঁকে চোখে পড়েছে ভেড়িগুলি — বাণিজ্যিক মাছ চাষের জন্য বানানো বিস্তৃত অগভীর জলাভূমি — আর তার মাঝে বা পাশে মাচা। বর্ষার দুপুরে উত্তর চব্বিশ পরগনার এই গভীর গ্রাম দিয়ে দীর্ঘ একা হাঁটার অভিজ্ঞতা আমার আগে কোনোদিন হয়নি। তাই অচেনা গন্তব্য পৌঁছনোর তাড়া দিচ্ছে মনে, আর আমিও পা বাড়িয়ে চলেছি।\par
হঠাৎ দূর থেকে কয়েকজন চেনা মুখ, কোথাও কোনো মানবতা বিরোধী ঘটনা ঘটলে তার প্রতিবাদে পা মেলাই আমরা, আমাদের বন্ধুস্থানীয়। কাছে আসতে ওদের একজনকে জিজ্ঞেস করে জানতে পারলাম, বঙ্কিম অনেকটা এগিয়ে আছে। আমার হাঁটার প্রায় আধ ঘণ্টা হলেও আমি এমন কিছু দেখছি না, যা আমাকে কামদুনির সেই অভিশপ্ত দুপুরকে মনে করায়। বৃষ্টিভেজা ভরদুপুরে কলেজফেরতা একটি মেয়েকে পাঁচিল ঘেরা একটা জায়গায় ধর্ষণ করে, তারপর খুন করে ভেড়ির ধারে ফেলে রেখে গেছে কারা — অভিযুক্তরা সবাই ওই এলাকারই, অন্যান্য পাড়ার। \par
\RaggedLeft
\BBI{11.2545}এরপর তিনের পাতায়
\end{multicols}
\end{minipage}
\end{minipage}
\begin{minipage}[t]{96mm}
\vspace{20mm}
\begin{minipage}[t]{96mm}
\vspace{13mm}
\setlength{\baselineskip}{2pt}
\setlength{\parskip}{0.15ex}
\setlength{\parindent}{10pt}
\begin{multicols}{2}
[\section*{\RaggedRight \BNN{21.221}ভর্তির জন্য কলেজের ইউনিয়ন \\মোটা ডোনেশন চাইছে
\\[2mm]
}]
\setcounter{columnbadness}{7000}
\setcounter{finalcolumnbadness}{7000}
\tolerance=2000
\BBI{11.2545}মল্লিকা, কলকাতা, ১৫ জুন\EN{10}~\textbullet\\[0.5mm]
\BB{11.06}
আমি বাংলায় অনার্সে ভর্তির জন্য অ্যাপ্লিকেশন জমা দিয়েছি আশুতোষ কলেজে। ওরা মিনিমাম ৪৫\% চেয়েছে বাংলায়, আমার আছে ৫৪\%। ২৪ জুন ফার্স্ট লিস্ট টাঙাবে। আমার মনে হয় সেকেন্ড বা থার্ড লিস্টে আমার নাম এসে যেতে পারে। ইতিমধ্যে পাড়ার একজন বন্ধু বলল, ইউনিয়নের সঙ্গে কথা বল, হয়ে যাবে। আমি ওখানে গিয়ে ইউনিয়নের জিএস আর কয়েকটা দাদার সঙ্গে কথা বললাম। ওরা বলল, হয়ে যাবে, তোমাকে পঁচিশ হাজার টাকা ডোনেশন দিতে হবে। আর একজন বলল, দশ হাজার দিলে হবে। আমি আর ওদের কাছে যাচ্ছি না। আমার আর এক বন্ধু জিওগ্রাফির জন্য ইউনিয়নকে ধরেছিল। ওর কাছে এক লাখ, পঞ্চাশ হাজার এইসব চেয়েছে। আমার পক্ষে এত টাকা তো দেওয়া সম্ভব নয়। দেখি যদি লিস্টে নাম আসে। না হলে মনে হয় চারুচন্দ্রে পেয়ে যাব। আসলে আশুতোষ হলে আমার ভালো হত, ওখানে ফেসিলিটি বেশি। দেখি কী হয়।ছে!
\end{multicols}
\end{minipage}
\end{minipage}
\hspace{2mm}
\rule[-96mm]{1pt}{66mm}
\hspace{2mm}
\begin{minipage}[t]{152mm}
\vspace{2mm}
\begin{minipage}[t]{148mm}
\vspace{2mm}
\setlength{\baselineskip}{2pt}
\setlength{\parskip}{0.15ex}
\setlength{\parindent}{10pt}
\begin{multicols}{2}
[\section*{\Centering \BB{28.22}বর্ষণে তিল ও বাদাম চাষে ক্ষতি, কচু চাষে লাভ
\\[2mm]
}]
\setcounter{columnbadness}{7000}
\setcounter{finalcolumnbadness}{7000}
\tolerance=2000
\BBI{11.2545}কামরুজ্জামান খান, মেচেদা, ১৬ জুন\EN{10}~\textbullet\\[0.5mm]
\BN{11.17}
তিনদিনের ভারী বর্ষণে তিল চাষ এবং বাদাম চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে গেল হাওড়া এবং মেদিনীপুর জেলায়। হাওড়া জেলার আমতা থানার জয়পুর ব্লকের খরিয়প গ্রামের চাষি জগন্নাথ কোলে এবং সুবোধ ধাড়ার সাথে কথা হচ্ছিল। জগন্নাথ কোলে বললেন, ইনি পাঁচ বিঘে জমিতে তিল চাষ করেছিলেন। প্রচুর বৃষ্টির ফলে প্রায় আড়াই বিঘে তিল মাঠেই নষ্ট হয়ে যায়। তিল চাষ হয় সাধারণত ফাল্গুন মাসে। কাটা হয় জ্যৈষ্ঠ মাসে। প্রথমে হাল করে তিল বুনতে হয়। বোনার সময় রাসায়নিক সার দিতে হয়। মাঝে এক খেপ জলও দিতে হয় তিলে ফুল আসার সময়। এবং কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়। এক বিঘা জমিতে তিল চাষ করতে খরচ হয় প্রায় দু-হাজার টাকা। এক বিঘে জমিতে তিল ফলে ১২০ কেজি। এক কেজি তিলের দাম চল্লিশ টাকায়। এই বছরে আড়াই বিঘে তিল নষ্ট হওয়ার ফলে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তিনি তিল ও বাদাম চাষ করেছিলেন পাঁচ বিঘে জমিতে। বাদাম চাষ হয় মাঘ মাসে। বাদাম তোলা হয় জ্যৈষ্ঠ মাসে। এক বিঘে জমিতে বাদাম চাষ করতে খরচ হয় প্রায় তিন হাজার টাকা। প্রথমে হাল করে মাটি তৈরি করে সার দিয়ে বাদাম বসাতে হয়। এক বস্তা বাদাম বীজের দাম পড়ে দেড় হাজার টাকা। সার লেবার অন্যান্য খরচও পড়ে আরও দেড় হাজার টাকা। এক বিঘে জমিতে একশো পঞ্চাশ কুইন্টাল বাদাম ফলে। এক কুইন্টাল বাদাম বিক্রি করে আড়াই হাজার টাকা পাওয়া যায়। তিল এবং বাদাম গাছ জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। এখন দু-বিঘে জমির বাদাম জলের তলায় ডুবে গেছে। ফলে বাদাম চাষেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে এই বছর। \par
সুবোধ ধারার ১৫ বিঘে জমি আছে। বাদাম এবং তিল চাষ করেছিলেন। তাঁরও অর্ধেক জমির তিল এবং বাদাম নষ্ট হয়ে গিয়েছে জলে। তিনি সাড়ে তিন বিঘে জমিতে কচু চাষ করেছিলেন। কচু চাষ হয় পৌষ মাসে। আর তোলা হয় আষাঢ় মাসে। এক বিঘে জমিতে খরচ হয় প্রায় পাঁচ হাজার টাকা। এক বিঘে জমিতে প্রায় ১৫ কুইন্টাল কচু ফলে। এক কুইন্টাল কচুর দাম আড়াইশো টাকা। এবছর কচুর ফলন ভালো হয়েছে। পরপর তিন বছর কচু চাষে মোটামুটি ভালোই লাভ পাওয়া যাচ্ছে। \par
মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া থানার অন্তর্গত তিপপুর গ্রামের চাষি কোহিনূর বিবি বলেন, তিনি তিন বিঘে জমিতে বাদাম চাষ করেছিলেন। তাঁর এক বিঘে জমির বাদাম জলে নষ্ট হয়ে গেছে। এইভাবে বর্ষার ফলে চাষিদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। \par
এই বর্ষণের ফলে ফুল চাষিদের অবশ্য আনন্দ হয়েছে। কারণ এই বর্ষার ফলে বেল, জুঁই, রজনীগন্ধা, টগর বেশি পরিমাণে হচ্ছে। ফলে লাভের আশায় তারা দিন গুনছে। \end{multicols}
\end{minipage}
\end{minipage}
\\[1mm]
\rule{\textwidth}{1.00pt}
\end{minipage}
\begin{minipage}[t]{252mm}
\vspace{0mm}
\begin{minipage}[t]{100mm}
\vspace{0mm}
\begin{minipage}[t]{100mm}
\vspace{3mm}
\setlength{\baselineskip}{2pt}
\setlength{\parskip}{0.15ex}
\setlength{\parindent}{10pt}
\begin{multicols}{2}
[\section*{\Centering \BB{25.22}মেলা ঋণ হয়ে গেছে, কোচবিহারের গ্রাম ছেড়ে ব্যাঙ্গালোর চলল পরিবার
\\[2mm]
}]
\setcounter{columnbadness}{7000}
\setcounter{finalcolumnbadness}{7000}
\tolerance=2000
\BBI{11.2545}রামজীবন ভৌমিক, কোচবিহার, ১৫ জুন\EN{10}~\textbullet\\[0.5mm]
\BN{11.17}
ণ্ণকোনটে গেইলে কান্দি কাটি না যাওয়া যায়। হাসি হাসি যাওয়া যায়।’ কথাটা বলেই ট্রেনের সিট হতে একজন মহিলা আমার পাশ দিয়ে দ্রুত চলে গেলেন। নয়-দশ বছরের একটি থমথমে মেয়ের পেছনে পেছনে তার মা এসে আমার সামনের সিটে বসলেন। চোখের জল গাল বেয়ে নেমে আসছে। দুহাতে জল মুছছে আর কাঁদছে। বছর পঁয়ত্রিশ-ছত্রিশের একজন মুসলিম মহিলা। বছর পঁচিশের একজন সহযাত্রী প্রতিবেশী জিজ্ঞাসা করলেন, ণ্ণক্যাঁ ভাবি এলায় যান? ভোট বিরাইলে গেইলেন হয়’। উত্তরে মহিলাটি বললেন- ণ্ণভোট দিয়া হামারা কী করি? হামার মেলা ঋণ হয়া গেইচে। হামরা থাকম না, হামার বাড়িত আইসেন বোল। দেখি যান বাড়িখান।’ তারপর জিজ্ঞাসা, স্বামী-স্ত্রী দুজনে কোথায় যাচ্ছেন? ণ্ণধুবরি যামো। তিনদিন বাদে আসিয়া তোমার বাড়ি দেখি আসমো।’ বলে ছেলেটি ট্রেনে জায়গা ধরতে গেল।\par
সকাল সোয়া পাঁচটার পেলব জ্বলজ্বলে রৌদ্র। গ্রামটাকে আরও মায়াময় করে তুলেছে। নরম সূর্যালোক বিস্তৃত সবুজে ঠিকরে পড়ে ট্রেন সওয়ারিদের আরও বেঁধে ধরতে চাইছে গ্রামের মায়ায় । কোচবিহারের বামনহাট থেকে ট্রেন আবুতার হল্ট ষ্টেশন থেকে ছেড়ে আমাদের নিয়ে শিলিগুড়ির দিকে এগোতে লাগল। যত এগোতে লাগল মহিলার নিচের চোয়াল কেঁপে কেঁপে নিচে নেমে আসছিল। ঠোঁট দুটি মুচড়ে-বেঁকে হেঁচকি ওঠার মতো বার বার শরীর ঝাঁকিয়ে বিদায় ব্যথা সামলাচ্ছিল। নীরব, নির্বাক, নিয়ন্ত্রিত আওয়াজের কান্নায় গাল বেয়ে মোটা জলের ধারা এসে আঁচল ভিজিয়ে দিল।\par
ণ্ণকান্দেন না। গুয়া খান’ – সহযাত্রী প্রতিবেশী হিন্দু মহিলাটি (যিনি প্রথমে উঠেই সান্ত্বনা দিয়েছিলেন) দু-টুকরো কাঁচা সুপারি আর দুটি গাছ পান মহিলাটির হাতে গুঁজে দিলেন। বললেন, ণ্ণহাসি হাসি যাও, আল্লাক ডাকো, উমঅরায় দেইখবে’। ণ্ণবইন হামার বাড়িত আসিস বোল দেখিস বোল’ — ণ্ণআসিম’ — আর্তিতে দু’জনের হাত ধরলেন।\par
পাতলা, শুধু পেশি দিয়ে তৈরি কালো চিক্কন লোকটির বয়েস ৪০-৪২ হবে হয়তো। একটি চিকন জলের ধারা কখন যে ওনার গাল বেয়ে নামতে শুরু করেছে উনি বুঝতে পারেননি। স্ত্রী কন্যা নিয়ে এই প্রথম যাচ্ছেন বাইরে। জানলা বরাবর চুপচাপ তাকিয়ে আছেন সবুজ প্রান্তরে। পাশে সেই ধুবরিগামী ছেলাটি এসে ওনাকেও একই প্রশ্ন করলেন -\par
–ণ্ণহ্যাঁ দাদা ভোট বিরাইলে গেলু হয়?’ উত্তরে লোকটি ওনার স্ত্রীর মতো উত্তর দিলেন\\
–ণ্ণহামরা এলা ঋণোত পড়ছি। মোর ভোট ভালো এ না লাগে। কী হইবে ভোট দিয়া?’\\
–ণ্ণহ্যাঁ সেইটা ঠিক-ই কথা। হামরা কী করি? কাক ভোট দ্যান আর কাক না দ্যান। তা ওটে যায়্যা ফোন করেন বোল।’\\
–ণ্ণতোর নম্বরখান দে। ওটে যায়্যা ফোন নেমো তার বাদোত তোক ফোন করিম।’\\
একটু পরে মেয়েটি মায়ের কোলে মাথা দিয়ে ঘুমিয়ে পড়ল। মহিলাটিরও চোখ বুঁজে আসে।\\
লোকটিকে আমি জিজ্ঞেস করলাম –\\
— আপনারা কি কাজে যাচ্ছেন?\\
— হ্যাঁ\\
— কোথায় যাচ্ছেন?\\
— ব্যাঙ্গালোর\\
— ওখানে থাকবেন কোথায়?\\
— কোম্পানি থাইকবার ব্যাবস্থা কইরবে। খাওয়া দাওয়া হামার, নিজে জোগাড় করা খাইবে।\\
— মেয়েটি কি করবে?\\
— থাইকবে হামার সাথে। হামাক হেল্প করবে। সাইডের কাজ তো।\\
— মজুরি কত করে দেবে?\\
— ২০০ টাকা।\\
— কম হয়ে গেল না?\\
— না, মজুরি ফর শো\EN{10}(for show)\BN{11.17}আসলে ঠিকাদারের কাছ থাকি কাজ কন্ট্রাক্ট নেমো। তাতে দুই হাজিরা-তিন হাজিরা পড়ি যাবে।\\
— মেয়েটির পড়াশুনা?\\
— ক্লাস ফোরোত পড়ে তো, মাস্টারোক কয়া নিছি।\\
— কাজ সেরে কতদিন পর ফিরে আসবেন?\\
— ঝামলাত পইড়লে তাড়াতাড়ি আসমো, না হইলে কোন দিন আসম এলায় জানি না।
\end{multicols}
\end{minipage}
\end{minipage}
\hspace{1mm}
\rule[-192mm]{1pt}{192mm}
\hspace{1mm}
\begin{minipage}[t]{146mm}
\vspace{0mm}
\begin{minipage}[t]{146mm}
\vspace{5mm}
\setlength{\baselineskip}{2pt}
\setlength{\parskip}{0.15ex}
\setlength{\parindent}{10pt}
\begin{multicols}{2}
[\section*{\Centering\BB{25.22}আপনি কি গুগল, ইয়াহু, ফেসবুক ইত্যাদি ব্যবহার করেন? \\ \BB{20.22}
সাবধান! আপনার ওপর নজর রাখছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা
\\[2mm]\RaggedLeft
\setlength{\fboxsep}{0pt}
\setlength{\fboxrule}{0.05pt} \fbox{\includegraphics[width=72mm]{Prism.jpg}}
\\[2mm]
}]
\setcounter{columnbadness}{7000}
\setcounter{finalcolumnbadness}{7000}
\tolerance=2000
.\\[-62mm]
\BBI{11.2545}শমীক সরকার, ১০ জুন, কলকাতা\EN{10}~\textbullet\\[0.5mm]
\BN{11.17}
মাইক্রোসফট, গুগল, ইয়াহু, ফেসবুক, অ্যাপল, ইউটিউব, এওএল, স্কাইপ এবং পালটক — এই নামগুলি সবাই আমরা জানি ইন্টারনেটের তথা কম্পিউটার দুনিয়ার দানবীয় কর্পোরেশন হিসেবে। সারা পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষ এদের ওয়েবসাইটগুলি ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগের জন্য — ইমেল, প্রোফাইল বানানো, চ্যাট, ভিডিও টেলিফোন প্রভৃতির মাধ্যমে। ব্যক্তিগত থেকে শুরু করে রাজনৈতিক — সমস্ত ধরনের মতামত ও তথ্য আদানপ্রদানের জন্য এগুলো আমরাও ব্যবহার করি। কিন্তু এই কোম্পানিগুলি আমেরিকান রাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলি, যথা এফবিআই বা এনএসএ-কে আমাদের সমস্ত তথ্যাবলি সরবরাহ করে চলেছে। এদের প্রত্যেকে ব্যবহারকারী, অর্থাৎ আমাদের তথ্যগুলি (নাম, বয়স, ফোন নম্বর, স্কুলের নাম, বরের নাম, কার সঙ্গে কী কী চ্যাট করলাম — তা থেকে শুরু করে আমরা ওইসব ওয়েবসাইটে গিয়ে কী কী শব্দ ণ্ণসার্চ’ করেছি, এমনকী ওইসব ওয়েবসাইটে দেওয়া লিঙ্কগুলোর মধ্যে কোন কোনগুলিতে মাউস ক্লিক করেছি, কোন শহরের কোন কম্পিউটার থেকে ইন্টারনেট সার্ফ করছি — সঅব) তারা যে মহাফেজখানায় রাখে সেই সার্ভার কম্পিউটারগুলি মার্কিন গোয়েন্দাদের হাতে ছেড়ে দিয়েছে। এবং ওই গোয়েন্দা সংস্থাগুলি সেই তথ্যগুলি কপি করে চলেছে নিয়মিত। ২০০৭ সাল থেকে চলা এই কর্মকাণ্ডের ডাকনাম ণ্ণপ্রিজম’। \par
সম্প্রতি মার্কিন গুপ্তচর সংস্থার এক চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী এই প্রিজম কর্মকাণ্ডের তথ্য সম্বলিত কিছু নথি ফাঁস করে দিয়েছে ইংলন্ডের ণ্ণদ্য গার্ডিয়ান’ এবং আমেরিকার ণ্ণনিউ ইয়র্ক টাইমস্’ পত্রিকার কাছে। ৬ জুন এই দুই কর্পোরেট মিডিয়া সেইসব নথির কিছু অংশ প্রকাশ করেছে। আর তাতেই ঢি ঢি পড়ে গেছে গোটা দুনিয়ায়। শুধু এই ণ্ণপ্রিজম’ কর্মকাণ্ডই নয়, ওই বিপুল পরিমাণ তথ্য বিশ্লেষণ করার জন্য রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি একটি সফটওয়ারও বানিয়েছে, নাম ণ্ণবাউন্ডলেস ইনফরম্যান্ট’। এর মাধ্যমে এই তথ্য থেকে চাইলে তারা এক লহমায় বের করে ফেলতে পারে, আপনি গত দশ বছরে ইন্টারনেটে কার কার সাথে কতক্ষণ চ্যাট করেছেন, কি কি ওয়েবসাইট ভিজিট করেছেন, কোন কোন কম্পিউটার বা মোবাইল বা ট্যাবলেট বা ল্যাপটপ থেকে ইন্টারনেটে ঢুকেছেন — সবই। চাইলে তারা এক লহমায় বের করে ফেলতে পারে, কলকাতা শহরে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে নরেন্দ্র মোদির সমর্থক কারা, তাদের নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর, পেশা, লিঙ্গ প্রভৃতি। হ্যাঁ, এগুলি তারা করতে পারবে না, যদি আপনি আপনার তথ্য গোপন করেন। যদি আপনি ইচ্ছে করে আপনার কম্পিউটারের পরিচয় জ্ঞাপনকারী নাম্বার, যাকে কম্পিউটার পরিভাষায় আইপি বলে, তাকে গোপন করেন কোনো সফটওয়ারের মাধ্যমে। কিন্তু আপনি যদি এসব করেন, তাহলে মাইক্রোসফট, গুগল, ফেসবুক, ইয়াহু-রা খুব অসন্তুষ্ট হয়। তারা তাদের পরিষেবা আপনাকে প্রায় ব্যবহার করতেই দেবে না। বারে বারে প্রশ্ন করবে আপনাকে, সেসব উত্তর দিয়ে তাদের সন্তুষ্ট করতে পারলে তবে আপনি ফেসবুক বা জিমেল-এ ঢুকতে পারবেন। অর্থাৎ আপনার পাসওয়র্ডটি যথেষ্ট চাবিকাঠি নয়। এবং ওরা এইসব প্রশ্ন করবে আপনার ণ্ণঅ্যাকাউন্ট’-এর নিরাপত্তার দোহাই পেড়ে। \par
মার্কিন গোয়েন্দাসংস্থাগুলির এই গোপন উদ্যোগ ফাঁস হয়ে যাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় উক্ত কোম্পানিগুলি প্রকারান্তরে স্বীকার করে নিয়েছে অভিযোগগুলি। তবে সরাসরি কেউ স্বীকার করেনি, বরং প্রত্যেকেই বলেছে, ণ্ণআমরা আমাদের সার্ভারগুলি সরাসরি কোনো সরকারি সংস্থাকে ব্যবহার করতে দিই না।’ কিন্তু ইন্টারনেটে ব্যক্তির গোপনীয়তার অধিকার নিয়ে লড়াই চালিয়ে আসা সংগঠন ইলেকট্রনিক ফ্রন্টিয়ার ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, ওরা সত্যিটা স্বীকার করবে না। কারণ মার্কিন আইনেই আছে, যদি রাষ্ট্র তাদের কাছ থেকে তথ্য নেয়, তাহলে তা প্রকাশ করা যাবে না। আর আরেকটি কারণ সহজেই অনুমেয়, যদি কোনো ইন্টারনেট কোম্পানি স্বীকার করে নেয়, তাদের তথ্য গোপন থাকে না, তাহলে স্বাধীনতা এবং গোপনীয়তা প্রেমী ইন্টারনেট দুনিয়ায় সেই কোম্পানি জনপ্রিয়তা হারাবে। অন্তত মার্কিন ও ইউরোপীয় বাজারে তো বটেই। এবং অমার্কিন রাষ্ট্রগুলিও ওইসব কোম্পানিগুলিকে নিষিদ্ধ করে দিতে পারে। \par
মার্কিন রাষ্ট্রের পক্ষে ওই সার্ভারগুলিতে হাত দেওয়া সহজ। কারণ প্রথমত, ওপরের সবকটি কোম্পানিই মার্কিন দেশের কর্পোরেট। মার্কিন মুলুকে সার্ভার কম্পিউটারে তথ্য রাখা সবচেয়ে সস্তা। ফলে ভারত থেকে ব্যবহারকারীদের তথ্যও তারা ওই মার্কিন দেশের সার্ভারেই রেখে দেয়, যদিও তা ভারতের কোনো সার্ভারে রাখা সবচেয়ে সোজা। কিন্তু সহজের থেকে সস্তার দিকেই কর্পোরেটদের নজর বেশি।\par
\RaggedLeft
\BBI{11.25455}এরপর দুয়ের পাতায়
\end{multicols}
\end{minipage}
\end{minipage}
\end{minipage}
\end{figure}
\end{document}
Leave a Reply