কিছু তথ্য, কিছু প্রশ্ন | |
@ | তথ্য জানার অধিকার আইনে ২১।৯।২০১২ ইদ্রিস আলি মোল্লা আবেদন করেন মহেশতলা মিউনিসিপ্যালিটির তথ্য আধিকারিকের কাছে। তিনি জানতে চান, যে হাউজিং কমপ্লেক্স হচ্ছে, তার কারা বেনিফিসিয়ারি? একটা তালিকা পেশ করা হোক। কারা বেনিফিসিয়ারি নির্ধারণের কমিটিতে আছেন? ২০০০ পরিবারের মধ্যে কতগুলি পরিবার এই প্রকল্পের আওতায় আসবে? তাদের কী প্রমাণপত্র দিতে হবে? কোনো উত্তর আজ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি; |
@ | ২০১০ সালের ২৯ ডিসেম্বর ষোলোবিঘা বস্তির অগ্নিকাণ্ডে চারজন শিশু মারা যায়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক ১৮ আগস্ট ২০১২ একটি অর্ডার মারফত প্রত্যেক মৃত বাচ্চার জন্য দুই লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদানের ব্যবস্থা করেন। তিনজন বাচ্চার পিতা আলাউদ্দিন শেখকে মোট ছয় লক্ষ আর একজন বাচ্চার অভিভাবিকা আলেকজান বেওয়াকে দুই লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। আলাউদ্দিন শেখের ভাই তাঁর সন্তোষপুর স্টেশনের ২নং প্ল্যাটফর্মের চায়ের দোকানে জানান, দাদা বাড়ি করতে ক্যানিংয়ে গেছেন। প্রসঙ্গত, ‘অবৈধ’ বস্তির বাসিন্দা বলে পরিচিত হলেও সরকারি অর্ডারে আলাউদ্দিন এবং আলেকজানের ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে : গ্রাম সন্তোষপুর, ১৬ বিঘা, পোস্ট অফিস গোবিন্দপুর (এম), পিএস মহেশতলা, জেলা দক্ষিণ ২৪ পরগনা; |
@ | ষোলোবিঘা বস্তির বাসিন্দাদের উচ্ছেদ করা হতে পারে, এই আশঙ্কা নিয়ে নাগরিক সমাজের কয়েকজন প্রতিনিধি ১২ অক্টোবর মহেশতলা পুরসভার চেয়ারম্যান দুলাল দাসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তাঁদের জানানো হয়, এই পুরসভার ১১নং ওয়ার্ডে বিএসইউপি স্কিমের অধীনে ৭৪টি বাড়ি তৈরি করে ষোলোবিঘার মোট ৮৮৪টি পরিবারকে পুনর্বাসন দেওয়া হবে এবং পুরসভা এবছরের জুলাই মাসে ঘর-ঘর সমীক্ষা করে বেনিফিসিয়ারি লিস্ট প্রস্তুত করেছে। অথচ এই বেনিফিসিয়ারি লিস্ট প্রকাশ করা হয়নি। এমনকী ষোলোবিঘায় আগুন লাগার পর পুরসভাতে যে সাংবাদিক সম্মেলন হয়, সেখানেও এই তালিকা দেওয়া হয়নি। তথ্য জানার অধিকার আইনে দরখাস্ত করেও এই তথ্য জানতে পারেনি। সরকারি জনগণনায় এই বস্তির কোনো হদিশ নেই। কিন্তু বস্তিবাসীরা নিজেদের ঘরের সম্পূর্ণ তালিকা প্রস্তুত করেনি কেন?; |
Leave a Reply