১৪ এপ্রিল, খায়রুন নেসা, ষোলোবিঘা, মহেশতলা#
বুধবারে যে প্রচণ্ড ঝড় হয়েছিল, তাতে একটা বাচ্চা, দোলনায় ছিল, আছাড় খেয়ে যেখানে প্রজেক্টের কাজ হচ্ছিল, সেখানে গিয়ে পড়ে। যে ঘরগুলো আগুন লেগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, তাদেরই একটা পরিবারের দু-মাসের শিশু। পড়ে গিয়ে বাচ্চাটার বুকে চোট লাগে। খুবই গুরুতর অবস্থা ওর। লোকাল ডাক্তারকে প্রথমে দেখানো হয়। পরদিন সকালে ওকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়। আজ পর্যন্ত আর কোনো খবর পাইনি। ঝড়ে অনেকের ক্ষতি হয়েছে। বাচ্চাটা যে পরিবারের তাদেরও কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
পুড়ে যাওয়া ঘরের বাসিন্দাদের জন্য নতুন ঘরের স্ট্রাকচার পুরো তৈরি হয়নি। নতুন যে ঘরগুলো তৈরি হয়েছে, মাথায় টিন লাগানো হয়েছিল। সেগুলো উড়ে প্রজেক্টের কাছে গিয়ে পড়ে। সেগুলো ফের এনে লাগানোর ব্যবস্থা করা হয়।
শুক্রবারে ষোলোবিঘায় গিয়ে জানতে পারি, সাংসদ দীপা দাসমুন্সীর মারফত যে দুটো ডিপ টিউবওয়েলের অনুমোদন হয়েছিল, তার মেটিরিয়াল এসে গেছে। ওই একই দিনে মহেশতলা পুরসভা থেকে আরও একটা ডিপ টিউবওয়েলের মেটিরিয়াল এসেছে। ইতিমধ্যে রাইট ট্র্যাক থেকে উদ্যোগ নিয়ে যে ডিপ টিবওয়েল করা হয়েছে, সেটাও আমাদের সেন্টারের পাশে চালু হয়েছে। খুব মিষ্টি জল ওটার। পুরসভা থেকে দুটো টাইমকলের ব্যবস্থা করা হয়েছে, তার লাইন এসে গেছে। এগুলো ঠিকঠাক হলে ষোলোবিঘার জলের সমস্যা মিটবে আশা করা যায়।
এবারে পোলিও রাউন্ডটা ভালো হয়েছে। বস্তির লোকে পোলিও খাওয়াতে দিয়েছে। এর আগে ওরা বলেছিল, পানীয় জল না দিলে আমরা আমাদের বাচ্চাদের পোলিও খাওয়াতে দেব না। বস্তির রাইট ট্র্যাক সেন্টারে প্রচুর বাচ্চা পোলিও খেয়েছে। হোম ভিজিটেও কিছু বাচ্চাকে পোলিও খাওয়ানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার একটা হেল্থ ক্যাম্প হয়েছিল, ১২০-৩০ জনের চিকিৎসা করা হয়েছে ওষুধ দিয়ে। এদের মধ্যে ছিল প্রচুর বাচ্চা। আমরা ষোলোবিঘায় একটা পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছি। বস্তির লোকের রাগটা কমে গেছে। ওরা বেশ সহযোগিতা করছে।
Leave a Reply