দাঁড়াস সাপ আমাদের জমিতে থাকে, ঘরে থাকে। এরা আমাদের ঘর বা জমির ইঁদুর খেয়ে নেয়। এই সাপ নিয়ে একটা গুজব আছে যে দাঁড়াসের লেজে বিষ থাকে। কিন্তু তা থাকে না। দাঁড়াস সাপ আকারে বড়ো, পিঠের রঙ কালো, পেটের দিকটা সাদা। কখনো হলুদ বর্ণেরও হয়। আমি নিজে শুভেন্দু গাঙ্গুলির (আমার পাড়ার দাদা) সঙ্গে গিয়ে আমতা বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়াস সাপ ধরে দেখেছি। আমাদের কুলগাছিয়ায় ঘরচিতি, কালনাগিনী, কেউটে, কালাচ, চন্দ্রবোড়া সাপও দেখা যায়। সব সাপ বিষধর নয়। কালাচ, চন্দ্রবোড়া, কেউটে আর গোখরো সাপের বিষ থাকে। ঘরচিতি, কালনাগিনী ছাড়াও জলঢোড়া, বেলে, লাউডগা ইত্যাদি অনেক সাপের বিষ থাকে না। আমাদের অঞ্চলে খুব বেশি সাপ নেই। কিন্তু একজন কেউটের কামড়ে মারা গেল, তাকে তিনবার ওঝার কাছে নিয়ে গেল। ওরা জানত না যে সাপে কামড়ালে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। আমাদের পাশের পাড়ায় আর একটা পাঁচ বছরের বাচ্চাকে মশারি খাটিয়ে শোয়ানো হয়নি, তাকে সাপ কামড়াল। ওঝার কাছে নিয়ে যাওয়ার পর ওঝা বলল, আমি ঠিক করে দিচ্ছি, ওকে ঘরে নিয়ে গিয়ে গরম দুধ খাইয়ে দাও। তুকতাক করা হল। বাচ্চাটার প্রচণ্ড যন্ত্রণা হচ্ছিল। তারপর ডাক্তারখানায় নিয়ে যাওয়া হল। কিন্তু বাচ্চাটা মারা গেল। রিপোর্টার (ছবিতে) মানিক পোল্লে, কুলগাছিয়া, হাওড়া, ১৪ নভেম্বর।
Leave a Reply