অনিন্দ্য মোদক, শান্তিপুর, ১৫ সেপ্টেম্বর#
শিক্ষক দিবসে গান থাকবে নাচ থাকবে আবৃত্তি আর ভাষণ থাকবে। থাকবেই। এ আর নতুন কী। খেলাও থাকে। অবশ্য সে কাজটা এখন তো কোনোরকমে টিঁকে আছে মাত্র। তা অন্যরকম শিক্ষক দিবস বলতে গতানুগতিকতা থেকে বেরিয়ে বাস্তবোচিত হওয়া। পা থাকুক মাটিতে। সময়ের সাথে সাথে নতুন সমস্যাকেও তুলে ধরা হোক এই দিনটায়। বার্তা দিক সচেতনতার। তবেই না শিক্ষক দিবস প্রাসঙ্গিক হয়ে থাকবে আমাদের কাছে। তেমন চেষ্টা যে হচ্ছে না তা নয়। কিছু কিছু বিদ্যালয়ে বৃক্ষরোপণকেও যুক্ত করা হয় মূল অনুষ্ঠানের সাথে। এই ভাবনাকে সামনে রেখেই নদিয়ার ফুলিয়া শিক্ষানিকেতনে গাছ লাগানোয় অংশ নিলেন শিক্ষক শিক্ষিকা শিক্ষাকর্মীরা। এমনিতেই বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অর্জুন পলাশ অশোক মহুয়া কদম জারুল দেবদারু কামিনীর সমাহার। তবে সর্বশিক্ষার নতুন ভবনের সামনের প্রাঙ্গণে সবুজ ঘাসজমি এখনও গাছহীন। তাকে ছায়াময় করে তুলতে এগিয়ে এলেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা শিক্ষাকর্মীরাই। নিজেদের অর্থ ব্যয়ে ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুরে প্রাঙ্গণের দুপাশে সারিবদ্ধভাবে লাগানো হল তিরিশেরও বেশি মেহগনির চারা। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও পরিচালন সমিতির সম্পাদকের পৃষ্ঠপোষকতায় এই বৃক্ষরোপণ উৎসবে অংশ নিলেন বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী শিক্ষক শিক্ষিকা শিক্ষাকর্মীবৃন্দ। গাছ কাটা যতটা নিন্দনীয়, গাছ লাগানো ততটাই প্রশংসনীয় তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
তবু কাজ কি এখানেই শেষ হয়ে গেল? গাছ তো কতই লাগানো হয়। কিন্তু বেঁচে ওঠে ক-টা? যেন ওদের ওপরেই ছেড়ে দেওয়া — বাঁচলে বাঁচবে মরলে মরবে। আমাদের একটু চেষ্টা থাকলে বেশিরভাগকেই বাঁচিয়ে তোলা সম্ভব নয় কি? সেই কাজটাই সবচেয়ে জরুরি, ফিতে কাটা-উৎসব-অনুষ্ঠান-আড়ম্বর আর অবশ্যই ভাষণের চেয়ে!
Leave a Reply