অমলেন্দু সরকার, পঞ্চসায়র, পূর্ব যাদবপুর, ২৮ মার্চ#
পরমত সহিষ্ণুতার সাক্ষী রইল শিয়ালদার লেবুতলা পার্কের নিকটস্থ ইস্ট লাইব্রেরি। আজ ২৮ মার্চ আহ্বান ছিল, শাহবাগ আন্দোলন নিয়ে খোলামনে মতামত বিনিময়। আহ্বায়ক বাংলাদেশ ভারত পাকিস্তান পিপলস ফোরাম। এই সভাতে শাহবাগ আন্দোলনের যৌক্তিকতা, তার ইতিবাচক নেতিবাচক প্রবণতা নিয়ে অনেকে মতামত প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ থেকে আগত সিরাজুল ইসলাম রনি ব্যাখ্যা করেন এই আন্দোলনের তাৎপর্য। একে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ বলে অভিহিত করেন তিনি। জামাতের বাড়বাড়ন্তের পেছনে প্রচুর বিদেশি অর্থের জোগান নিয়েও যথেষ্ট উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।
উপস্থিত ‘জামা’আতে ইসলামি হিন্দ’-এর নেতা মুহাম্মদ নূরউদ্দিন মূলত এই আন্দোলনের যৌক্তিকতা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, ১) শাহবাগের পক্ষে যেমন কারোর মতামত থাকতে পারে তেমনি এর বিরুদ্ধেও কারো মতামত থাকতেই পারে। এটাই গণতান্ত্রিকতা। সরকারের উচিত বিরুদ্ধবাদীদের প্রতি সহনশীলতা দেখানো। অথচ বাংলাদেশ সরকার তাদের ওপর নিপীড়ন চালাচ্ছে। ২) আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনালে নয়, বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থাতেই রাজাকারদের বিচার হওয়া উচিত ছিল। ৩) ইসলাম একটি পবিত্র ধর্ম। ব্লগে তাকে কলঙ্কিত করা হয়েছে। এমনকী হজরত মুহাম্মদের চরিত্র হনন করে ব্লগে যা লেখা হয়েছে তা অত্যন্ত অন্যায়। একে কোনো মতেই মেনে নেওয়া যায় না.
কেউ কেউ এলাকা আটকে রেখে আন্দোলন করাকে সমর্থন করেননি। এই অংশের মতে সরকারের আরও কঠোর হওয়া উচিত ছিল। অন্যদিকে এই আন্দোলনকে নাস্তিকের আন্দোলন বলে যে তকমা দেওয়া হচ্ছে, তাকে কেউ কেউ ষড়যন্ত্র বলতে চেয়েছেন। সভার অন্তিম পর্বে আয়োজক সংগঠনের পক্ষে মানিক সমাজদার আরও বড়োমাপের এইরকম খোলামনে মত বিনিময়ের আবেদন রেখেছেন।
Leave a Reply