বশিরুদ্দিন, শান্তিনিকেতন, ২৮ জুন#
২৩ জুন বিকেল চারটে থেকে ছটা পর্যন্ত শ্যামলী খাস্তগীরের জন্মদিনে সভা হল পলাশবাড়িতে। নবগ্রামের জ্যোতির্ময় গোস্বামীর গানের মধ্য দিয়ে সভার সূচনা হয়। এরপর গান করেন পাঠভবনের অষ্টমশ্রেণীর ছাত্রী বলাকা সরেন এবং আশ্রমিক শ্যামল চন্দ।
কলকাতা থেকে আগত নিরঞ্জন হালদার শ্যামলীদির প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ১৯৮৪ সাল থেকে তাঁর সঙ্গে আলাপ শ্যামলীর। নর্মদা বাঁচাও আন্দোলনের জন্য এগিয়ে এসেছিলেন শ্যামলী, নিজের গহনা বিক্রি করে নাটকের দল পাঠিয়েছিলেন ওখানে। পরমাণু শক্তির বিরুদ্ধে রাজস্থান থেকে সারনাথ পর্যন্ত পদযাত্রার খরচ বহন করেছিলেন। এছাড়া, শান্তিনিকেতনে ‘কবিগুরু কার র্যালি’র সামনে শুয়ে পড়ে প্রতিবাদ করেছিলেন শ্যামলী। শান্তিনিকেতনের প্রাচীর দেওয়া হল যখন, আরটিআই করে ঠিকাদারদের নাম সংগ্রহ করেছিলেন এবং পূর্বপল্লির ফাঁকা মাঠে সোমনাথ চ্যাটার্জির প্রোমোটারির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন, লাথি মেরে উদ্বোধনী ফলক ভেঙে ফেলা হয়।
স্মৃতিচারণ করেন ভিক্ষু প্রজ্ঞালঙ্কার, অহনা বিশ্বাস, মিনতি সেন। মিনতি সেন বলেন, পূর্বপল্লিতে ফ্ল্যাট তৈরির বিরুদ্ধে আন্দোলনের ফলে আমাদের আশ্রমিকদের ওপর কেস হয়। আমাদের নামে এফআইআর থাকলেও শ্যামলীদির নামে ছিল না। অথচ আদালতে সকলের আগে উঠে দাঁড়ান তিনি এবং আমাদের বলেন, আমরা জামিন নেব না, হাজতে যাব। পরে কীভাবে যেন জামিন হয়ে যায়। শ্যামলীদি আমাদের ওপর রেগে গিয়েছিলেন।
শেষে বলাকা ও বিথিকা সরেন গেয়ে ওঠে, ‘ওদের সাথে মেলাও, যারা চরায় তোমার ধেনু’। সমগ্র সভার উদ্যোগ নিয়েছিলেন মনীষা বন্দ্যোপাধ্যায়।
Leave a Reply