সংবাদমন্থন প্রতিবেদন, ৩০ এপ্রিল#
তাইওয়ানের সাম্প্রতিক জনজাগরণের সারা বিশ্বের নজর কেড়েছে। এই জনজাগরণের নেতৃত্ব হিসেবে উঠে এসেছে লিন ই-সিউং-এর নাম।
চীনের শাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রীকরণের দাবিতে তাইওয়ান আন্দোলনে অংশ নেওয়ার জন্য লিন ই-সিউং গ্রেপ্তার হন ১৯৭৯ সালে। হেফাজতে থাকাকালীনই তার মা ও ৭ বছরের দুই যমজ সন্তানকে ছুরিকাঘাতে খুন করা হয়। সারা তাইওয়ান বাকরুদ্ধ হয়ে যায় এই নৃশংসতায়। ১৯৮৪ সালে ছাড়া পেয়ে লিন আমেরিকা চলে যান। ১৯৮৯-তে তাইওয়ান ফিরে এসে তিনি পরমাণু বিরোধী আন্দোলনে সামিল হন। একইসাথে ডেমোক্রেটিক পিপলস পার্টিতে যোগ দিয়ে রাজনীতিতে সামিল হন। ১৯৯৮ সালে তিনি ওই পার্টি, যা সেই সময় ছিল প্রধান বিরোধী দল, তার চেয়ারম্যান হন। ২০০০ সালে তাঁর নেতৃত্বে প্রচারের মধ্যে দিয়ে সাধারণ নির্বাচনে ওই পার্টি বিজয়ী হয় — অবসান হয় তাইওয়ানের একদলীয় শাসনের। কিন্তু লিন পার্টির সমস্ত ক্ষমতার পদ এবং সরকারি পদ ছেড়ে দেন। তিনি বলেন, তিনি ক্ষমতার বাইরে থেকে পরিবর্তন আনতে চান। এবং যে পথ তিনি নিয়েছেন, সে পথে সাধারণত কেউ হাঁটে না।
Leave a Reply