অমিত মাহাতো, ঝাড়গ্রাম, ৩১ ডিসেম্বর#
মণিপুরে থাঙজাম মনোরমা কিংবা অসমের নিগৃহীতা সেই আদিবাসী তরুণীর লাঞ্ছিত মুখ এখনও মলিন হয়ে যায়নি। বরং তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েছে জাতিসত্ত্বাবোধের আন্দোলন। অসমের বোড়ো জনজাতির স্বীকৃতির সংগ্রামের বিকৃত পরিণতিতে অতি নির্মম রক্তপাতময় এক হত্যালীলা দেখল আসাম। দেখল, এনডিএফবি-র হাতে নিহত কাতারে কাতারে প্রতিবাদী আদিবাসী। বেসরকারি মতে মৃত্যু সংখ্যা একশো ছাড়িয়েছে। শোণিতপুরে ক্রন্দনরতা সেই আদিবাসী রমণী কিংবা আমাদের জঙ্গলমহলের এক চোখ নষ্ট হয়ে যাওয়া ছিতামণি মুর্মু দুটো আলাদা ছবি আলাদা অবস্থানের। কিন্তু কোথায় যেন খুব মিল।
হ্যাঁ, নভেম্বর ২০০৮-এর সেই চেনা ছবি ফিরে এল বাঁকুড়া পুরুলিয়া মেদিনীপুর বীরভূম বর্ধমানের হুগলি প্রভৃতি আদিবাসী অধ্যুষিত জেলায়। বোড়োদের আন্দোলনে জঙ্গলমহলে আদিবাসীদের যে নৈতিক সমর্থন রয়েছে তারও প্রমাণ মিলল গত সোমবার আদিবাসীদের সংগঠিত মৌন মিছিলে। বছরের শেষ দিনে, অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ ‘ভারত জাকাত সান্তার পাঠোয়া গাঁওতা’ নামে সংগঠনটির নেতৃত্বে ঝাড়গ্রাম বাঁকুড়া পুরুলিয়া মেদিনীপুর হুগলি বর্ধমানের বিভিন্ন জাতীয় ও রাজ্য সড়কগুলিতে জাতীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে (যথা, তীর ধনুক ধামসা বল্লম টাঙি প্রভৃতি) আদিবাসীদের অবস্থান বিক্ষোভ চলে সারাদিন। লালগড় আন্দোলনের স্মৃতির দগদগে ঘায়ে খোঁচা দিল বছরের এই শেষ দিন।
Leave a Reply