এবারের রেল বাজেটে রেলের পরিষেবার বেসরকারিকরণ ও বাণিজ্যিকী-করণের দিকে আরও একধাপ এগিয়ে যাওয়া হয়েছে। নীতিগতভাবে যাই হোক না কেন, তৃণমূলস্তরে বেসরকারিকরণ শুরু হয়েছে বেশ ভালোমতো। শিয়ালদহ স্টেশনে টিকিট কাটার জন্য লম্বা লাইন পড়ে। শিয়ালদহ উত্তরের প্রফুল্ল দ্বার দিয়ে বেরোলেই যে টিকিট কাউন্টারটি, তার ৩১-৩৫ — এই পাঁচটি জানলা বন্ধ ভর সন্ধ্যেবেলায়। বাকি পাঁচটা জানলা খোলা। সবকটিতেই যাত্রীদের লম্বা লাইন। তবে যাত্রীরাও তাই নিয়ে খুব একটা বিরক্ত, তাও নয়। তারাও যেন মেনেই নিয়েছে, বেশিরভাগ টিকিট জানলাই বেশিরভাগ সময়ের জন্য বন্ধ থাকবে।
আর এই প্রফুল্ল দ্বার দিয়ে বেরিয়ে শিয়ালদহ ফ্লাইওভারের নিচের দিকে এলেই কানে ঝালপালা লাগিয়ে দেবে প্রাইভেট টিকিট কাউন্টারগুলি — ণ্ণলাইনে দাঁড়িয়ে একটুর জন্য মিস হয়ে যেতে পারে ট্রেন, আসুন মাত্র এক টাকা বেশি দিয়ে এখান থেকে টিকিট কাটুন’। রাতারাতি লটারির দোকানগুলো সাইনবোর্ড টাঙিয়ে এই টিকিট ব্যবসা শুরু করে দিয়েছে। টিকিট প্রতি একটাকা বেশি। প্রথমে সন্দেহ হয়েছিল, এগুলো ন্যায্য টিকিট তো? এক চেকারবাবুকে জিজ্ঞাসা করলাম, তিনি জানালেন, ওগুলো একশো শতাংশ ন্যায্য টিকিট। ছবি ও রিপোর্ট, শমীক সরকার, ১১ জুলাই, শিয়ালদহ স্টেশন, বিকেল পাঁচটা তিরিশ।
Leave a Reply