কুত্তি গেছে দাদার শালা, কুত্তি গেইছে বৌদি,
দেখতো বাপই এমন করি ভুটুস করিল কি? …
মেজর সাহেব কয়া গেইল তাও না জানেন
যদি ওঠে ভুটুস করি, খাড়েয়া না থাকেন।
ভুটুস করি যেই উঠিচে কয় মঙ্গলের বাপ,
কেটলী নেরে মঙ্গলের মাও সাথোত দুইটা কাপ।
মঙ্গল নেউক গরু দুইটা আর নেউক চড়াই
মুই নিম অ্যালা হাতা হাড়ি আর এক হাতোত কড়াই। …
অদ্দ রাইতে মুক্তির মাও ফাসার-ফুসুর করে,
মুক্তির ঠাইকমার টান উঠিচে এল্যায় বুঝি মরে।
সগায় করে ইশারা ইশরী কতা না কয়,
বডারীর কান্ড দেইখলে হাসি টানে না সয়। …
ভুটুস-ভুটুস কইরতে কইরতে এমন নেশা ধরে,
কারো যদি হয় টায়ার ব্রাস্ট বডারী শুতি পড়ে।
গোলাগুলির মধ্যে সীমান্ত এলাকার গ্রামের মানুষের জীবন নিয়ে জয়ন্ত সরকারের লেখা ভুটুস কবিতার অংশ এটি। ‘দোতরার ডাং’ নামক রাজবংশী ভাষার পত্রিকার তৃতীয় বর্ষ দ্বিতীয় সংখ্যাতে (কার্তিক মাস, ১৪২০) প্রকাশিত। পত্রিকাটি ত্রিভাষিক। তবে বেশিরভাগ লেখাই রাজবংশী ভাষায় বাংলা হরফে। দুটি কবিতা ইংরেজি ভাষায় ইংরেজি হরফে, একটি প্রবন্ধ হিন্দি ভাষায় হিন্দি হরফে — পত্রিকার বর্ণনায় ‘সাগাই ভাষা’ বা আত্মীয় ভাষার লেখা। এছাড়া আছে ৯টি কবিতা, রাজবংশী ভাষায়। রাজবংশী ভাষায় প্রবন্ধগুলির মধ্যে আছে দীপক কুমার রায়ের ‘বিষুয়া : তেপুরানী সংস্কৃতি’, নিলয় বর্মণের লেখা ‘ভৌম জলের আদানুটি : মানষি জাতির বিপদ সংকেত’, প্রশান্ত প্রসুনের ‘কাঁঠালগুড়ি চা বাগান, একনা অনুভূতি’।
রাজবংশী ভাষার এই পত্রিকাটির সম্পাদক প্রশান্ত কুমার রায় ও নিলয় বর্মণ। কোচবিহারের নাজিরহাট থেকে অনিয়মিত ভাবে প্রকাশিত এই পত্রিকাটির যোগাযোগ নম্বর : প্রশান্ত (8927251781), নিলয় (9681035709). এই সংখ্যার দাম ২০ টাকা।
—- পাঠক, শমীক সরকার
Leave a Reply