রবীন্দ্রনগর সাধারণ পাঠাগার মহেশতলা পুর এলাকার মধ্যে রবীন্দ্রনগরে অবস্থিত। সরকার পোষিত এই পাঠাগার খুবই সংকটজনক অবস্থার মধ্যে রয়েছে। তিন মাস আগে এই পাঠাগারের গ্রন্থাগারিক বদলি হয়ে অন্য পাঠাগারে চলে গেছেন। মিন্টু ব্যানার্জি নামে একজন সহকারী আছেন। নতুন কোনো গ্রন্থাগারিক পাঠানো হয়নি। দীর্ঘদিন এই পাঠাগারে কোনো নির্বাচন হয়নি। নির্বাচিত পরিচালকমণ্ডলী নেই। কোনো উপদেষ্টামণ্ডলী নেই। পাঠাগার সময়মতো খোলা হয় না। প্রায়ই অজ্ঞাত কারণে বন্ধ থাকে। ৩০ মার্চ স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা এবং পাঠাগারের সদস্য আলিপুরে জেলা গ্রন্থাগারিকের সঙ্গে দেখা করেন। একটি চিঠি দিয়ে এ বিষয়ে তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ প্রার্থনা করেন। জেলা গ্রন্থাগারিক বলেন, শীঘ্রই এখানে একজন প্রশাসক নিয়োগ করা হবে। পাঠাগারের সম্পাদকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি জানান, তিনি পদত্যাগ করেছেন। সহকারী কর্মী মিন্টু ব্যানার্জির চারমাসের বেতন পাঠাগারের অচলাবস্থার জন্য বন্ধ হয়ে রয়েছে।
গত ২০ জুন বুধবার আমি দুপুর দেড়টার সময় পাঠাগারে যাই। দেখি, মূল ফটক বন্ধ হয়ে রয়েছে। কর্মী মিন্টু ব্যানার্জি আসেননি। আধঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে ফিরে আসি। বাড়িতে ফিরে এসে জেলা গ্রন্থাগারিককে ফোন করে জানাই, পাঠাগার বন্ধ হয়ে রয়েছে। আজ দুপুর তিনটেয় ফের পাঠাগারে গিয়ে দেখি তালা বন্ধ। এইভাবে সরকার পোষিত একটি পাঠাগার ধ্বংসের পথে চলেছে এবং জনসম্পদের ক্ষতি হয়ে চলেছে।
জিতেন নন্দী, রবীন্দ্রনগর, ২৯ জুন
Leave a Reply