… না করলে মধু নিয়ে সংশয় থেকেই যাবে। কিন্তু কীভাবে মৌমাছি পালন করবেন! অরণ্য কোথায়? মৌমাছি কী খাবে! ফুল কোথায় — সর্ষে হয়ত তিনবার চাষ হয়, কিন্তু কার্তিক মাসের পরে ওরা কী খাবে? একটি বাক্স থেকে যদি বছরে তিন কেজিও মধু পাওয়া যায়, তো বছরে ন-মাস মৌমাছির বাক্স নিয়ে ঘুরে বেড়াতে হয়। এমন যাযাবর মৌমাছি পালনকারীদের যাযাবর জীবনের কথা শোনা গেল মৌমাছি বাজারে গিয়ে। পশ্চিমবঙ্গ মৌমাছি বাজার বসেছিল ১ জুলাই ২০১২ রবিবার গোবরডাঙা স্টেশন সংলগ্ন শ্রীচৈতন্য স্কুল মাঠে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মৌ পালনকারীরা এসেছিলেন। যোগ দিয়েছিল বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ মানুষরাও।
গবেষকদের কাছে শোনা গেল কৃষিক্ষেত্রে কৃষিবিষের ব্যবহার আর মৌমাছিদের জীবনে সংশয়-সংকটের কথা। অপরদিকে ফসলের পরাগমিলনের আশি শতাংশ মৌমাছিদের দ্বারা হতে পারে, যার অর্থমূল্য অপরিসীম। এর জন্য দরকার কৃষিকাজের সাথে মৌমাছি পালন সংগঠিত করা। এত কষ্টের পর যখন মৌমাছি পালনকারীরা মধু বড়ো বড়ো কোম্পানির কাছে বিক্রি করে দিতে বাধ্য হয় এবং তারাই মধু মার্কেটিং করে মুনাফা লোটে, আর সারা বছর ধরেই ওই মানুষগুলো খেটে মরে, একথা মধুর ঠেকে না।
গোবরডাঙা গবেষণা পরিষদের (৯৪৭৪১৯২৭৯৯) উদ্যোগে ‘পশ্চিমবঙ্গের মৌমাছি পালকদের পঞ্জিকরণ (নথিভুক্তকরণ)’ বেশ লাগল। সর্বোপরি এমন ব্যতিক্রমী বাজারের আড়ম্বর চোখে লাগার মতো।
এই বাজার ঘুরে দেখে এলেন বঙ্কিম, অমলেন্দু, স্বপন
Leave a Reply