সাইকেল-নিষেধাজ্ঞা পাঁচ বছর পার হয়ে যাওয়ার পর বড়ো মিডিয়া আবিষ্কার করেছে, কলকাতায় সাইকেল চালানো নিষেধ হয়ে রয়েছে। হু-র একটি রিপোর্টের জেরে তারা এটাও আবিষ্কার করেছে, কলকাতার বাতাস ধোয়াঁর দূষণে ভারাক্রান্ত। যার ফল ফুসফুসের রোগ থেকে ক্যানসার। হ্যাঁ, গাড়ি বেশি চললে ধোঁয়া বেশি বেরোবে, তা আমরা দেখতে পাই বা না পাই। তা থেকে রোগ অনিবার্য। আর প্রাইভেট কার বেশি চড়লে পায়ে-হাতে-কোমরের রোগ থেকে হার্টের অসুখ, সুগার — সবই হতে পারে। বহুদিন থেকেই কলকাতার বেশ কিছু জায়গায় সন্ধ্যেবেলার বাতাস নাকে টানার অনুপযোগী হয়ে ওঠে। নাক থাকলেই তা বোঝা যায়। রাস্তার গড় গতিও কমে গিয়েছে। যে কোনো ট্যাফিক সিগনালে আটকালেই চোখে পড়ে অগুনতি প্রাইভেট গাড়ি আর ট্যাক্সির সারি, হয়তো হাতে গোনা কয়েকটি বাস। কলকাতায় প্রাইভেট গাড়ির বিস্ফোরণ ঘটেছে গত কয়েক বছরে।
প্রতিবাদ ও লেখালেখি হওয়া সত্ত্বেও কলকাতা পুলিশ এখনও রাস্তা থেকে সাইকেল, রিক্সা লরিতে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। ২৯ অক্টোবর সকালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের চার নম্বর গেটের সামনে থেকে পুলিশ লরিতে তুলেছে দুটি রিক্সা। কলকাতার রাস্তায় ক্রসিংয়ে পথচারীদের জন্য বরাদ্দ থাকছে ২ সেকেন্ড, ৫ সেকেন্ডের জন্য সবুজ বাতি — এবং তখনও অন্যদিকের গাড়ির যাতায়াত শেষ হচ্ছে না। বড়ো রাস্তা ছাপিয়ে প্রাইভেট গাড়ির হামলা শুরু হয়েছে শহরের গলিরাস্তায়। যেসব বাড়িতে পার্কিং লট নেই, তাদের বাড়ির গাড়িগুলো পার্ক করা হচ্ছে রাস্তায়। বড়ো রাস্তার জ্যাম এড়াতে গলিরাস্তা দখল করে নিয়েছে প্রাইভেট কার। অফিস টাইমে গলি রাস্তা দিয়েও হাঁটা যায় না এদের দাপটে।
মিনমিন না করে, কথা না ঘুরিয়ে, সরাসরি জোর গলায় বলার সময় এসেছে, কলকাতায় মোটরগাড়ি কমাও!
Leave a Reply