সংবাদমন্থন প্রতিবেদন, ১১ ফেব্রুয়ারি, তথ্যসূত্র মেহের ইঞ্জিনিয়ার#

১০ ফেব্রুয়ারি সংবাদে প্রকাশিত হয়েছে, কর্পোরেট গৌতম আদানি ও রাজস্থান সরকার একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। চুক্তিতে রয়েছে যে রাজস্থানে ১০ হাজার মেগাওয়াটের একটি সোলার পার্ক বা সৌরশক্তি প্রকল্প গড়া হবে।
ওই একই দিনে আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার একটি মরুভূমিতে ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড়ো সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র’ গড়ার একটি সংবাদ পাওয়া গেছে। ক্যালিফোর্নিয়ার রিভারসাইড কান্ট্রি মরু অঞ্চলে ডেজার্ট সানলাইট সোলার ফার্ম নামে একটি সংস্থা একটি ৫৫০ মেগাওয়াটের সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করেছে, যা ২০১৪ সালের ডিসেম্বর থেকে কাজ করতে শুরু করেছে। এই কেন্দ্রটি থেকে ক্যালিফোর্নিয়ার দেড় লক্ষেরও বেশি ঘরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। কিন্তু এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি গড়তে জমি লেগেছে ৩৬০০ একরের মতো।
একই পরিমাণ দক্ষতায় যদি রাজস্থানের ১০ হাজার মেগাওয়াটের সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি কাজ করে, তাহলে তার জন্য জমি লাগবে ৭০,০০০ একর-এর মতো (২৮০ বর্গ কিমি), যা কলকাতা মেগাসিটি এলাকার দেড়গুণেরও বেশি।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করেছে, সারা ভারতে মোট ১ লক্ষ মেগাওয়াটের সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি হবে। তার জন্য কতটা জমি লাগবে, তার পরিমাণও আমরা আন্দাজ করতে পারি।
ঘরে/বাড়িতে সৌরকোষ ব্যবহারের মাধ্যমে নবীকরণযোগ্য শক্তির হাত ধরতে আমরা অবশ্যই চাই। কিন্তু কেন্দ্রীভূত সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র কি পরিবেশ ও জনবান্ধব?
Leave a Reply