মুম্বইয়ের সিওন কলিওয়াদা মৎস্যজীবীদের বসতিতে আজ সকাল থেকে ঘরবাড়ি ভাঙতে শুরু করেছে মুম্বই পুলিশ এবং বৃহৎ মুম্বই মিউনিসিপাল কর্পোরেশন। কলি কৌমের ঘরগুলি ভাঙতে মোতায়েন করা হয়েছে ব্যাপক পুলিশ। এই অঞ্চলের পুনরুন্নয়নের দুর্নীতিপূর্ণ প্রকল্পটির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা চলছে। কৌমের লোকজনের সম্মতির মিথ্যে নথি দেখিয়ে, সই জাল করে, মৃত বাসিন্দাদের সই দেখিয়ে এই প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়েছিল। ণ্ণঘর বাচাও ঘর বানাও’ আন্দোলন এই প্রকল্পটির এবং এর সঙ্গী উচ্ছেদের বিরোধিতা করছিল। উন্নয়ন পরিকল্পনাটি রূপায়িত হচ্ছে বাবা রামদেবের এক শিষ্য বিল্ডার সুধাকর রেড্ডির মাধ্যমে। এই লোকটি মিউনিসিপালিটির সাথে যোগসাজশে বেআইনি কার্যকলাপ চালানোর দায়ে অভিযুক্ত।
সকালে যখন পুলিশ নিয়ে সরকারি লোকজন উচ্ছেদ করতে আসে, বাসিন্দারা সকলে বেরিয়ে আসে। মেধা পাটকরের নেতৃত্বে তারা বুলডোজারের সামনে দাঁড়িয়ে যায়। পুলিশ তখন তাদের মারধর করে। পুরুষ পুলিশরা মহিলাদের মারধর ও শ্লীলতাহানি করে। যখন এই রিপোর্ট লেখা হচ্ছে, তখন এই উচ্ছেদ এবং তার প্রতিরোধ চলছে। মেধা পাটকর এবং আরও সাতজনকে গ্রেফতার করেছে মুম্বই পুলিশ, সরকারি কর্মচারীদের কাজে বাধা দেওয়ার জন্য।
উল্লেখ্য, অম্বুজওয়ারি, মালার প্রভৃতি অঞ্চলেও একই উচ্ছেদ চলার সময় সেখানকার বাসিন্দারাও তার বিরোধিতা করেছিল।
আদর্শ হাউসিং, হীরানন্দানি বাগিচা, গোলিবার এসআরএ তে শিবালিক বিল্ডার প্রভৃতিরা যে দুর্নীতি করেছিল, তার মতো এখানকার দুর্নীতিও ফাঁস হবে।
কলিওয়াদাতে মৎস্যজীবীরা বহুদিনকার বাসিন্দা। ১৯৩৯ সালে যখন ব্রিটিশরা নিজেদের নিরাপত্তার জন্য একধরনের আস্তানা তৈরি করে, এই মৎস্যজীবীদের সেখানে আসতে বলেছিল তারা। স্বাধীনতার পরে সেই আস্তানার মালিক হয় মিউনিসিপাল কর্পোরেশন। এই ভূমিতে এই মৎস্যজীবীরা একশো বছরের বেশি সময় ধরে থাকলেও তাদের জমির অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আগে কেড়েছে ব্রিটিশরা, এখন কাড়ছে মিউনিসিপালিটি। এখন তারা উন্নয়নের নামে এদের উৎখাত করে এই দামি ভূ-সম্পত্তি বিল্ডারদের দিয়ে দিচ্ছে।
এনএপিএম-এর প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে, ২৯ মার্চ, ছবি কেম্মান্নু ডট কম থেকে
Leave a Reply