গত কয়েক বছর ধরে দক্ষিণ কলকাতার দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্তের মুকুন্দপুর সংলগ্ন অঞ্চলে যত্রতত্র পুকুর ভরাট করে প্রোমোটিং হয়ে চলেছে। মুকুন্দপুরের একেবারে পূর্ব প্রান্তে যেখানে কলকাতা পুরসভার সীমানা শেষ হচ্ছে সেই গ্রিনল্যান্ড অরুণোদয় শিক্ষানিকেতন স্কুলের পাশে একটি জলার অনেকাংশই ভরাট হয়ে চলেছে বেশ কিছুদিন ধরে। আশপাশের নাগরিকদের পক্ষ থেকে কোনও হেলদোল নেই। কেননা সকলেই প্রোমোটারি চক্রদের ভয় পায়। তাই প্রকাশ্যে এদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে চায় না।
জলাভূমি রক্ষায় ১৯৮৪ অ্যাক্ট এবং সংশোধিত ইনল্যান্ড ফিশারিস ১৯৯৩ (১৭এ) কে তোয়াক্কা না করেই বিগত সরকার যত্রতত্র জলাভূমি ভরাটের প্রক্রিয়াকে ইন্ধন যুগিয়েছে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে। বর্তমান সরকার এবং শাসক দলেরই পরিচালিত পুরসভা একইভাবে কলকাতার ১০৮, ১০৯, ১০৬নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন জলাভূমি ভরাট করে চলেছে। বিগত শতকের নব্বইয়ের দশকে যখন মুকুন্দপুর কলোনি গড়ে উঠছিল, তখন এই অঞ্চলে প্রচুর ছোটো বড়ো জলাশয় ছিল। আজ সেগুলির প্রায় ৮০ শতাংশই ভরাট হয়ে গেছে। অবশিষ্ট জলাভূমিগুলিও প্রোমোটারদের নজরে রয়েছে। মজার বিষয়, এই জলাজমি ভরাটের বিষয়ে সব দলের আশ্রয়প্রাপ্ত প্রোমোটার আর স্থানীয় জমি দালালরা একই আসনে থাকে।
এই কয়েক দিনের মধ্যে ঘটা করে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত হবে, ঘটা করে সব অনুষ্ঠান চলবে টিভি ক্যামেরার সামনে, আর উৎসব মিটলেই চলবে পরিবেশ নিধনের সবধরনের উদ্যোগ। অবিলম্বে মুকুন্দপুর অঞ্চলে সমস্ত জলাভূমি সুষ্ঠুভাবে রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কারের দাবি জানানো হচ্ছে। এব্যাপারে প্রোমোটারি, গুণ্ডা ও জমি দাললদেরদের হুমকি চোখ রাঙানি এড়িয়ে স্থানীয় নাগরিকদেরও নিজেদের ভবিষ্যৎ সুস্থ স্বাভাবিক রাখতে এগিয়ে আসতে হবে।
শ্রীমান চক্রবর্তী, কলকাতা, ৩০ মে, ছবি এলাকার এক বাসিন্দার থেকে সংগৃহীত
Leave a Reply