প্রশান্ত রায়, নাজিরহাট, কোচবিহার, ২৬ এপ্রিল#
আমার বাড়ি কোচবিহারের নাজিরহাট অঞ্চলে। বাংলাদেশ বর্ডারের কাছাকাছি। গত কালকের মতো ভূ-কম্পনের অভিজ্ঞতা আমার কাছে বেশ ভীতিপ্রদ। মাথা ঘোরানোর অভিজ্ঞতা। আমার মায়ের বয়স ষাট। মা-র মনে পড়ে না, এর আগের কোনো ভূমিকম্পে মায়ের এত শরীর খারাপ হয়েছে। দুঃশ্চিন্তার ছাপ শরীর জুড়ে। মনে হচ্ছে হঠাৎ অনেক পরিশ্রম করে ফেলেছে। রাতে ঘুমিয়ে সকালে ওঠার পর অস্বস্তিটা কেটে গেছে। এই লেখার সময় আবার ভূমিকম্প হলো। এখন দুপুর একটা। সবাই বলছে, আফটার শক — অর্থাৎ ভূমিকম্পের পর নড়াচড়া। রোববার দুপুরের সবাই বাড়িতেই ছিলাম। আবার উলুধ্বনি দিয়ে সবাই রাস্তায় বেরিয়ে পড়ল। তবে শনিবারের মতো আজ অতটা শরীর খারাপ লাগছে না।
Leave a Reply