২০১১ সালের নভেম্বর মাসে মার্কিন চালকবিহীন বোমারু বিমান ‘দ্রোন’ আক্রমণে ২৪ জন পাকিস্তানি সেনা মারা যাওয়ার পর মাস দুয়েকের বিরতি ঘটেছিল। কিন্তু তারপর আবার শুরু হয়েছে ওই দ্রোন আক্রমণ এবং তার শিকার হচ্ছে পশ্চিম পাকিস্তানের উপজাতি অধ্যুষিত ওয়াজিরিস্তান। ২০০৪ সালের ১৮ জুন থেকে এখনও পর্যন্ত পাকিস্তানে এই দ্রোন আক্রমণ চলছে, এখনও পর্যন্ত তিন হাজারেরও বেশি মানুষ, নারী-পুরুষ-শিশু এতে মারা গেছে। আমেরিকার তরফে দাবি করা হয়, যারা মারা গেছে তারা বেশিরভাগই ‘সন্ত্রাসবাদী’। যদিও মার্কিন গবেষণাই দেখাচ্ছে, দ্রোন হামলায় মৃতদের মধ্যে মাত্র ২ শতাংশকে ‘মারতে চাওয়া হয়েছিল’। অন্যদিকে সীমান্তবর্তী এলাকার উপজাতি প্রধান গ্রামগুলি থেকে শুরু হয়েছে ব্যাপক প্রতিবাদ। উত্তর ওয়াজিরিস্তানের মিরানশা শহরে জমায়েত হয়ে ফেব্রুয়ারি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে আমেরিকা বিরোধী বিক্ষোভ, মার্কিন পতাকা পোড়ানো হয়।
দ্রোন আক্রমণে পাক সেনারা মারা যাবার পর পাকিস্তানের মধ্যে দিয়ে আফগানিস্তানে মার্কিন ফৌজের রসদ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছিল পাক সরকার। সেই সরবরাহ যাতে আবার কোনোভাবেই চালু করা না হয়, তার দাবি করেছে বিভিন্ন পাকিস্তানি সংগঠন। সরকার যদি সেই সরবরাহ চালু করে দেয়, তাহলে লোকে গিয়ে তা রুখবে এমন দাবিও করা হয়েছে।
কুশল বসু, কলকাতা, ১৪ এপ্রিল। ছবি ইন্টারনেট সূত্রে পাওয়া
Leave a Reply