শমিত, কলেজ স্কোয়ার, কোলকাতা, ২৭শে মে, ২০১৩#
মারুতি সুজুকির সংগ্রামী শ্রমিকদের লড়াইকে সংহতি জানিয়ে আজ বেটা তিনটে’য় সংগ্রামী শ্রমিক মঞ্চসহ বেশ কিছু শ্রমিক সংগঠন মিছিল করে কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেল পর্যন্ত। কয়েকশো মহিলাসহ প্রায় পাঁচ শতাধিক শ্রমিক এই মিছিলে অংশ নেয়। হরিয়ানার গুরগাঁওয়ে মানেসর সুজুকির কারখানায় ২০১২ সালের জুলাই মাসে ২৫০০ জন স্থায়ী ও চুক্তি শ্রমিককে হঠাৎ করে ছাঁটাই করা হয়। তারপরই শ্রমিকদের মধ্যে অঅসন্তোষ ছড়ায়। জুলাই ১২তে শ্রমিক বিক্ষোভের ফলে সুজুকির কারখানায় এক হিংসাত্মক ঘটনা ঘটে। কারখানার একজন ম্যানেজার নিহত হন। তারপরই কারখানা কর্তৃপক্ষের প্রবল অত্যাচার শুরু হয় শ্রমিকদের উপর। গুরগাঁওয়ের কেন্দ্রীয় জেলে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে মারুতি সুজুকি ওর্য়াকার্স ইউনিয়ান কমিটির সবাইকে। আট মাসেরও বেশি কোন ন্যায় বিচার ছাড়া ১৪৭ জন শ্রমিক জেলে রয়েছেন। তাদের জামিন দেওয়া হচ্ছে না। আদালতে হরিয়ানা পুলিশ যে চার্জশিট পেশ করেছে তাতে কোন সাক্ষীর নাম নেই। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পূর্ণ চার্জশিট পেশ না হওয়া সত্ত্বেও শ্রমিকরা জামিন পাচ্ছেন না। এটা সম্পূর্নরূপে বেআইনি এবং নিপীড়নমূলক।
ওপরদিকে ১৪৭ জন জেলবন্দী শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যরা আর্থিকভাবে ও মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছেন।শ্রমিকদের গণতান্ত্রিক অধিকারের উপর অগণতান্ত্রিক আক্রমণের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন সারাদেশের বিভিন্ন প্রান্তের শ্রমিকরা। গুরগাঁওয়ের শ্রমিকদের সমর্থনে সারা দেশে বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ, ধর্ণা, মিটিং, মিছিল সংগঠিত হচ্ছে। সংগ্রামী শ্রমিকদের পক্ষ নিয়ে গট আট মাস ধরে দেশের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ন্যায় বিচারের জন্য দরবার করার সত্ত্বেও কোন সুরাহা হয়নি। হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী, শ্রমমন্ত্রী সহ নেতা আমলারা মুনাফাভাজ মালিকদের পক্ষ নিয়েই চলেছেন। দেশের সাধারণ মানুষের কাছে এই আন্দোলনের পাশে থাকার আহ্বান জানাচ্ছেন মারুতি সুজুকি ওয়ার্কাস ইউনিয়নের আই.এম.টি মানেসর (রেজিঃ ১৯২৩)। কোলকাতার রাজপথে সেই মানসরের শ্রমিকদের পাশে থাকার অঙ্গীকার করল কয়েক শতাধিক শ্রমিক।
Leave a Reply