সংবাদমন্থন প্রতিবেদন, ২১ জুন (বিভিন্ন সূত্র থেকে ধারাবাহিক রিপোর্টটি তৈরি করছে সোমনাথ, রামজীবন, শমীক)#
এক ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের পথে উত্তরাখণ্ড। ১৪-১৬ জুন টানা বৃষ্টির কারণে উত্তরাখণ্ডের হিমালয় পার্বত্য অঞ্চল জুড়ে ধ্বস নামে, হড়কা বান আসে। গ্রামের পর গ্রাম তলিয়ে যায়। রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। এমনকি কেদারনাথ ধাম পর্যন্ত তলিয়ে যায়। এখনও আন্দাজ করা যাচ্ছে না, কী অবস্থা হয়ে রয়েছে। মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে প্রায় সড়ে পাঁচশ’র মতো। কিন্তু উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং বলছেন, মৃতের সংখ্যা আরও অনেক বাড়বে। অ-নে-ক। প্রায় ৯০টির মতো ধর্মশালা ভেসে গিয়েছে। ভেসে গিয়েছে ৬০টির মতো গ্রাম। আশঙ্কা, হাজার হাজার মানুষ মারা গেছে এই বন্যায়।
মেঘভাঙ্গা বৃষ্টির চারদিন পরে ৫৫৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা গিয়েছে উত্তরাখন্ডের কেদারনাথ থেকে, মূখ্যমন্ত্রী শ্রী বিজয় বহুগুনার মতে এই সংখ্যা ৬০০ র আশেপাশে হতে পারে। এই ব্যাপারে মন্তব্য করতে গিয়ে উনি বলেন “ মোট ৫৫৬ টি মৃতদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে আর ধ্বংসস্তুপের তলায় চাপা পড়ে থাকা আরো মানুষের খবর পাওয়া যেতে পারে, হিমালয়ের ইতিহাসে এই ধরনের ধ্বংসলীলা আগে কখনও হয়নি”। উদ্ধারকারী দলের আশঙ্কা এই সংখ্যা অন্ততপক্ষে ১০০০ ছাড়িয়েছে, যদিও সরকারী মতে এই সংখ্যা মাত্র ২০০।
৬০ ঘন্টার টানা বৃষ্টিপাত এবং সঙ্গে কয়েক জায়গায় মেঘের ভাঙ্গনে অলকানন্দা অ ভাগীরথী নদীতে বন্যা দেখা যায় – এই অবস্থায় নতুন করে বৃষ্টিপাতের সম্ভবনায় আগে থেকেই সতর্কতা নিতে চলেছে রাজ্য সরকার। শুধু কেদারনাথেই খঁজ পাওয়া যায়নি ৫০০০ মানুশের। মূখ্যমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী প্রায় ৩০,০০০ মানুষকে এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে আর আগামি ১৫ দিনের মধ্যে উদ্ধারকাজ শেষ করা যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। নতুন দীল্লী থেকে ক্যাবিনেট সেক্রেটারী শ্রী অজিত কুমার শেঠ এর বক্তব্য অনুযায়ী ৫০,০০০ মানুষ্কে এখনও উদ্ধার করা হয়েছে – যদিও উদ্ধারকারী দলের মতে এখনও ৭৫,০০০ তীর্থযাত্রী আটকে আছেন। ৪৫ টি হেলিকপ্টারের সাহায্যে উদ্ধারকাজ চালানো হলেও, জ্বালানি নেওয়ার প্রয়োজনে তাদের দেরাদুন পর্যন্ত আসতে হছহে বলে কিছুটা সময় বেশী লাগছে। এই ধরনের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা কেউই করেননি। “আর কোন মানুষের মৃত্য হবে না এখানে, আমরা সব আটকে থাকা মানুষকে উদ্ধার করব, প্রত্যেকটি জায়গা তন্য তন্য করে খুঁজে দেখে আটকে পড়া সবাইকে ঘরে ফিরিয়ে দেব” বলেন ভারতীয় সৈন্যাবাহিনীর সেন্ট্রাল কম্যান্ড্যান্টের লেফটান্যান্ট জেনারেল শ্রী অনিল চেইট।
Leave a Reply