রাজস্থানের ভিলওয়াড়া জেলার পুর গ্রামে পাহাড়ের ওপর অবস্থিত একশো বছরের পুরোনো একটি ছাদবিহীন মসজিদ ভেঙে ফেলেছে খনি কোম্পানি জিন্দাল স লিমিটেড। এরা কর্পোরেট জিন্দাল গোষ্ঠীর একটি কোম্পানি। এর জন্য স্থানীয় অঞ্জুমান কমিটিকে ৬৫ লাখ টাকা দিয়ে মসজিদটি ‘কিনে’ নিয়ে ১৯ এপ্রিল সেটিকে ভেঙে ফেলে তারা। কিন্তু এরপরই এলাকার মুসলিম ধর্মাবলম্বী মানুষের টনক নড়ে। পুলিশে অভিযোগ জানালে পুলিশ কোম্পানির ডিরেক্টর এবং অঞ্জুমান কমিটির দুজনকে গ্রেপ্তার করে। উদ্ধার করা হয় টাকা। ওই মসজিদের জায়গায় নতুন একটি মসজিদ নির্মাণ শুরু হয়েছে।
অঞ্জুমান কমিটি জানিয়েছে, এই মসজিদটি পরিদর্শন করে গুলমন্দী জামা মসজিদের ইমাম মৌলানা হাফিজুর রহমান রায় দেয়, এটা মসজিদ নয়, কবরখানা। তাই এটির স্থান পরিবর্তন করা যেতে পারে। এই মর্মে একটি ফতোয়া জারি করে ইমাম। কিন্তু ওয়াকফ বোর্ডের সম্পত্তির তালিকা (১৯৬৫) তে এটিকে মসজিদ বলেই উল্লেখ করা হয়েছিল।
কিছু কিছু মুসলিম গোষ্ঠী দাবি করেছে, ওয়াকফ বোর্ডের কাছে যখন পরামর্শ চাওয়া হয়েছিল অঞ্জুমান কমিটির মাধ্যমে, তখন ওয়াকফ বোর্ডও মসজিদটি ভাঙতে বলেছিল। এলাকার একজন, মনসুরি পঞ্চায়েত প্রধান জানিয়েছেন, ‘আমাদের বিশ্বাস, ওয়াকফ বোর্ড ওই কোম্পানির সঙ্গে বোঝাপড়া করেই এই আদেশ দিয়েছিল। উঁচুমহল থেকে সম্মতি না এলে ওই চালচুলোহীন অঞ্জুমান কমিটির সাধ্য নেই এত পুরোনো একটি মসজিদ ভেঙে দিতে বলে।’
রাজস্থান ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেছেন, তিনি মসজিদটি ভেঙে ফেলতে বলেননি, খনি উত্তোলনের হাত থেকে বাঁচাতে সঠিক ব্যবস্থা নিতে বলেছিলেন মাত্র।
শমীক সরকার, কলকাতা, ২৭ এপ্রিল
Leave a Reply