সংবাদমন্থন প্রতিবেদন, ২৬ জুলাই#
মণিপুরে অবৈধভাবে হত্যা হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারবর্গের একটি সংস্থা ‘একস্ট্রা জুডিসিয়াল একজিকিউশন ভিক্টিম ফ্যামিলিজ অ্যাসোসিয়েশন’ এবং অন্যান্যদের ২০১২ সালের একটি আবেদনের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্ট ৪ জানুয়ারি ২০১৩ একটি কমিশন গঠন করে। এই কমিশনে নিযুক্ত চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারক এন সন্তোষ হেগড়ে এবং দুই সদস্য যে এম লিংদো ও ডঃ অজয় কুমার সিং-কে ১২ সপ্তাহ সময় দেওয়া হয় সম্পূর্ণ তদন্ত করে রিপোর্ট পেশ করার জন্য। যদিও আবেদনকারীরা বহু হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্ত সুপ্রিম কোর্টে তুলে ধরেছিলেন। কিন্তু ২০০৯-২০১০ সালের প্রথম ৬টি ঘটনা নিয়ে কমিশনকে তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়। কমিশন ৩০ মার্চ রিপোর্ট পেশ করে। এতে প্রমাণিত হয়, এই ৬টি ঘটনায় মৃত আজাদ খান, খাম্বঙমায়ুম অর্সনজিত, নামেইরাকপাম গোবিন মেইতেই, নামেইরাকপাম নোবো মেইতেই, এলাঙবাম কিরণজিত সিং, চোঙথাম উমাকান্ত এবং আকোইজাম প্রিয়ব্রত কোনো সংঘর্ষে যুক্ত ছিলেন না এবং (নিরাপত্তা বাহিনীর) কেউ আত্মরক্ষার জন্য তাঁদের ওপর গুলি চালায়নি।
কমিশন এই পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি মোট ২২টি সুপারিশ করেছে। ২০০৪ সালে আসাম রাইফেলসের জওয়ানদের হাতে থাঙজাম মনোরমার হত্যাকাণ্ডের পর মণিপুর উপত্যকায় গণ-আন্দোলনের ফলে কেন্দ্রীয় সরকার জীবন রেড্ডি কমিটিকে AFSPA –র ফলাফলের পর্যালোচনা করতে নির্দেশ দেয়। সেই কমিটি শুনানির পর কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে যে রিপোর্ট পেশ করে, তাতে বলা হয়েছিল, AFSPA হল ণ্ণদমনের প্রতীক, ঘৃণার সামগ্রী এবং বিভেদ ও স্বেচ্ছাচারের হাতিয়ার’। এখনকার এই কমিশন সেই রিপোর্ট অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে খতিয়ে দেখেছে এবং শ্রদ্ধাশীলভাবে তার সঙ্গে ঐকমত্য প্রকাশ করেছে।
Leave a Reply