সূত্র : সিভিল সোসাইটি কোয়ালিশন অন হিউম্যান রাইটস ইন মণিপুর অ্যান্ড দি ইউএন-এর প্রেস বিজ্ঞপ্তি, ইম্ফল প্রেস ক্লাব, মণিপুর, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৩#
মণিপুরে সেনাবাহিনী ও নিরাপত্তা রক্ষীদের হাতে নির্বিচারে খুন হওয়া ১৫০০-র অধিক নাগরিকের পরিবারগুলির সংগঠন ‘একস্ট্রা-জুডিসিয়াল একজিকিউশন ভিক্টিমস ফ্যামিলিজ অ্যাসোসিয়েশন মণিপুর’-এর আবেদনের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্ট ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ একটি তদন্ত কমিশন নিয়োগ করে। সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এন সন্তোষ হেগড়ে, প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার জে এম লিংদো এবং কর্নাটক পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত ডিজিপি অজয় কুমার সিং-কে এই ধরনের ৬টি ঘটনার স্বাধীন তদন্তভার দেওয়া হয়, যাতে একজন শিশু সহ ৭ জন মণিপুরিকে হত্যা করা হয়েছে
১৮ ফেব্রুয়ারি কমিশনকে জানানো হয়, যে নোটিশ মারফত কমিশনের দিল্লির অফিসে (মণিপুর ভবনে) দরখাস্ত জমা করার আবেদন করা হয়েছে, তাতে কোনো তারিখ নেই এবং একটিমাত্র স্থানীয় ভাষার কাগজে তা প্রকাশিত হয়েছে। মাত্র দশ দিন সময় ধার্য হয়েছে। কোনো যোগাযোগের ফোন নাম্বার ইত্যাদি দেওয়া হয়নি। মণিপুরে এই কমিশনের কোনো দপ্তর খোলা হয়নি। ১ মার্চ কমিশনের সদস্যরা ইম্ফল পরিদর্শনে আসবেন। কিন্তু ভুক্তভোগী মানুষ, সাক্ষী এবং উৎসাহীজনেরা কোথায় তাঁদের সঙ্গে দেখা করবে? সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও কমিশনের সহায়তার জন্য কেন্দ্রীয় ও মণিপুর সরকার এখনও কোনো লোককে নিয়োগ করেনি, অথচ একমাস সময় চলে গেছে। রিপোর্ট প্রকাশের জন্য মোট ১২ সপ্তাহ সময় সুপ্রিম কোর্ট দিয়েছে। মণিপুরের তদন্ত কমিশনের ইতিহাসে এই ধরনের খামতি নজিরবিহীন।
Leave a Reply