• প্রথম পাতা
  • আন্দোলন
  • কৃষি ও গ্রাম
  • খবরে দুনিয়া
  • চলতে চলতে
  • পরিবেশ
  • শিক্ষা ও স্বাস্থ্য
  • শিল্প ও বাণিজ্য
  • নাবালকথা

সংবাদমন্থন

পাতি লোকের পাতি খবর

  • আমাদের কথা
    • যোগাযোগ
  • পত্রিকার কথা
    • পাক্ষিক কাগজ
    • জানুয়ারি ২০০৯ – এপ্রিল ২০১২
  • মন্থন সাময়িকী
    • মন্থন সাময়িকী নভেম্বর ডিসেম্বর ২০১৪
    • মন্থন সাময়িকী সেপ্টেম্বর-অক্টোবর ২০১৪
    • সাম্প্রতিক সংখ্যাগুলি
    • সাম্প্রতিক পিডিএফ
    • পুরনো সংখ্যাগুলি
  • সংবাদ সংলাপ
  • বিষয়ের আলোচনা

ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ে বাংলাদেশ — ভাঙা বিল্ডিং-এ আটকে প্রসব করে সন্তানসহ মারা গেলেন দুই মা

April 26, 2013 admin Leave a Comment

বাংলাদেশের ‘ইত্তেফাক’ পত্রিকা থেকে #

ধসেপড়া রানা প্লাজার ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আটকে থাকা দুই মায়ের সন্তান প্রসব হয়েছে। পরে দেয়ালের খসে পড়া প্লাস্টার আর খাবারের অভাবে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে এই দুই নবজাতক। তাদের আর পৃথিবীর আলো দেখা সম্ভব হয়নি। মায়ের পাশে মৃত্যু বরণ করতে হয়েছে এই দুই নবজাতককে। গতকাল বৃহস্পতিবার এই দুই নবজাতককে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন উদ্ধারকর্মীরা।

উদ্ধারকর্মী কামাল ইসলাম জানান, তিনি পাঁচ তলায় এক মৃত নারীর পাশে বাচ্চা দেখেছেন। বাচ্চাটি অনেক ছোট ছিল। তিনি বলেন, আমার অক্সিজেনও শেষ হয়ে যায়। পরে দেয়ালের একটি খণ্ড পড়ে আমার চোখের সামনে বাচ্চাটি মারা যায়। এত নিষ্ঠুর পৃথিবী হতে পারে বলে আমি জানতাম না।

চতুর্থ তলায় ঢুকে ফিরে আসা উদ্ধারকর্মী সুজন বলেন, আমি বুধবার রাত ১১টা থেকে সকাল সাতটা পর্যন্ত দু’টো কক্ষে ওই দুই মা এবং বাচ্চা ছাড়াও ৫ শতাধিক জীবিত ও মৃত মানুষ দেখেছি। যারা জীবিত আছে তাদের কারো হাত, কারো পা ভেঙে অর্ধমৃত অবস্থায় পড়ে আছে। তিনি আরো বলেন, ‘ভবনের ৪ তলায় দু’জন মা বাচ্চা প্রসব করেছে। মা ও বাচ্চা দু’জনে ততক্ষণ জীবিত ছিল। তবে তাদের বেঁচে থাকার সম্ভবনা খুবই কম।

সুজন জানান, বুধবার সকাল ৯টার দিকে ‘রানা প্লাজা’ ধসের খবর শুনে কামারাঙ্গীরচর থেকে ছুটে আসেন তিনি। তার এক বন্ধু চারতলার গার্মেন্টস কর্মী। বুধবার বিকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর এত মানুষের প্রাণহানি দেখে নিজেকে আর সামলাতে পারেননি সুজন। জীবনবাজি রেখে নেমে পড়েন উদ্ধার কাজে। সন্ধ্যা ছ’টায় ভবনে প্রবেশের চেষ্টা শুরু করে রাত এগারটায় তিনি চারতলায় একটি কক্ষে পৌঁছান। সেখানে দুই রুমে ৩ শতাধিক গার্মেন্টস কর্মীকে আটকা পড়ে থাকতে দেখেন তিনি। অক্সিজেনের অভাবে অনেককেই চোখের সামনে মারা যেতে দেখেছেন সুজন।

তিনি বলেন, একটি রুমের এক কোনায় বড় দু’টো খণ্ডের মাঝখানে দু’মা বাচ্চা প্রসব করেছেন। সেখানকার দৃশ্য বলে বোঝানোর ভাষা আমার জানা নেই। আমি দশ মিনিট বসে বসে কেঁদেছি। কিন্তু আমি যে ছিদ্র দিয়ে ঢুকেছি সেখান দিয়ে মা ও বাচ্চাকে বের করা সম্ভব নয়।

সুজন আরও বলেন, অনেক কষ্টে রাত সাড়ে চারটার সময় বাইরে খবর দিতে পেরেছি যে, এখানে অনেকেই আটকা আছেন। আমিও মরে যাচ্ছিলাম অক্সিজেনের অভাবে। পরে অনেক কষ্টে বের হওয়ার সময় আরও কয়েকজনসহ মোট ৪০-৫০ জনকে উদ্ধার করেছি আমি।

খবরে দুনিয়া পোশাকশিল্প, বাংলাদেশ, শ্রমিক, সাভার

এই প্রতিবেদনটি প্রিন্ট করুন এই প্রতিবেদনটি প্রিন্ট করুন

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অনুসন্ধান করুন

সংবাদ মন্থন

  • ছিটমহল
  • মাতৃভূমি লোকাল

খবরের মাসিক সূচী

মেটা

  • Log in
  • Entries feed
  • Comments feed
  • WordPress.org

সাম্প্রতিক মন্তব্য

  • TG Roy on লোককবি গুরুদাস পালের আত্মজীবনী : জীবন ও শিল্প
  • Subrata Ghosh on স্বনির্ভরতায় উজ্জ্বল ‘শিশু কিশোর বিকাশ মেলা’
  • সুমিত চক্রবর্তী on ‘গুণগত মেশিন একটা মানুষকে মানসিক রোগী বানিয়ে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিচ্ছে’
  • তীর্থরাজ ত্রিবেদী on লোককবি গুরুদাস পালের আত্মজীবনী : জীবন ও শিল্প

ফোরাম

  • আড্ডা
  • বিষয়ের আলোচনা
  • সংবাদ সংলাপ
  • সাংগঠনিক আলাপ

লে-আউট সহায়তা

সংবাদমন্থন প্রিন্ট >>
 
নমুনা ল্যাটেক>>

songbadmanthanweb [at the rate] gmail.com · যোগাযোগ · দায়দায়িত্ব · Log in