২৭ জুলাই, কেশব চন্দ্র দে, সন্তোষপুর, মহেশতলা#
ভোট করাতে গিয়েছিলাম মথুরাপুর ব্লকের লক্ষ্মীনারায়ণপুর-মন্দিরবাজার বিধানসভার অন্তর্গত কিল্লা গ্রামে। ট্রেনে মথুরাপুর স্টেশনে নেমে ভোটের সরঞ্জাম সংগ্রহ করে যেতে হয়েছিল একঘণ্টা বাসে চেপে ঘোড়াদল পেরিয়ে সেই কিল্লা গ্রামে।তার আগে ডায়মন্ডহারবারে গিয়েছিলাম ইলেকশন ট্রেনিং নিতে।
মহেশতলা থেকে বাসে বহুক্ষণে ডায়মন্ডহারবার গেছি। গিয়ে দেখি, ডায়মন্ডহারবারে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন পোলিং পার্টির ট্রেনিং চলছে। আমাদের পড়েছে রবীন্দ্রভবনে। প্রচুর মানুষ এসেছে ট্রেনিং নিতে। মথুরাপুর ব্লকের বিডিও নিজে ট্রেনিংয়ে ব্যস্ত। তাঁর অধীনস্তরা বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট থেকে আসা মানুষদের সামলাতে ব্যস্ত। বেশিরভাগ মানুষই তাদের নাম কাটাতে ব্যস্ত — সবাই অসুস্থ! তাই মেডিকাল গ্রাউন্ডে রেহাই চাই। হলে উপস্থিত হয়ে যখন আমাদের পোলিং পার্টির সঙ্গে পরিচিত হলাম, দেখলাম আমাদের দলের প্রিসাইডিং অফিসার অনুপস্থিত। শুনলাম এর আগে যখন শুধুমাত্র প্রিসাইডিং অফিসারদের ট্রেনিং হয়েছিল, সেখানেও তিনি উপস্থিত হননি। জানলাম, ভোটের দিন রিজার্ভ থেকে আমরা নতুন একজনকে পাব। দলের অন্যান্য সদস্যদের ফোন নাম্বার দেওয়া-নেওয়া করে বিদায় নেওয়ার আগে জানলাম, যে পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ হবে তাতে প্রতিটি ভোটারের জন্য অন্তত পাঁচ মিনিট সময় লাগবে। জিজ্ঞাসা করলাম, যে পোলিং স্টেশনে যাব, সেখানে ভোটারের সংখ্যা কত আর এই পদ্ধতিতে ঘণ্টায় মাত্র ১২ জন ভোট দিতে পারবে। তাহলে কতক্ষণ ভোটগ্রহণ চলবে? নির্বাচন কমিশনারের স্থির করে দেওয়া অফিসাররা সুন্দরভাবেই আমার এই বেয়ারা প্রশ্ন এড়িয়ে গেলেন।
Leave a Reply