কৃষ্ণেন্দু মণ্ডল, শিবপুর, ১৬ এপ্রিল#
শিবপুর বিই কলেজ (এখন বিশ্ববিদ্যালয়) ফার্স্ট গেটের কাছেই উল্টোদিকের ভাত-রুটির দোকানে মাঝে মধ্যেই রাতে চা খেতে চলে আসি, ছেলেটার সঙ্গে পরিচয় হয়েছে, কিন্তু নাম জানা হয়নি। ওর ৩৩ বছর বয়স। দেশের বাড়ি বিহার — হাজিপুর। তবে ছোটো থেকে এখানেই বড়ো হয়ে ওঠা। দেশে যায়, বাইকে চড়ে অনেকদূর ঘুরে বেড়ায় … বললাম — ভোটে কে জিতবে? — এদিকে দাদা তৃণমূল। আর তোমাদের দেশে — ঠিক বলা যাচ্ছে না। নীতিশ তো বিজেপির হাত ছেড়ে দিল। না হলে এগিয়ে থাকত। — আর কেন্দ্রে? — সেন্ট্রালে বিজেপিই আসবে। — কেন? — লোকে তো পরিবর্তন চাইবেই। এদিকে দেখলেন না চৌত্রিশ বছর পর সিপিএমকে হারিয়ে লোকে দিদিকে নিয়ে এল। আর বাজপেয়ী সরকারের সময় তো ভালোই হয়েছিল। — নীতিশের সময়ে কাজ কিছু হল? — রাস্তাঘাট ভালো হয়েছে দাদা। অনেক হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা অনেক ঠিক করে দিয়েছে। আগে তো বিকেল পাঁচটার সময় বাইক নিয়ে দূরের পথ ধরে বাড়ি আসতে ভয় করত। রাস্তায় না ঘিরে ধরে বাইক কেড়ে নেয়! এখন রাত্রি দশটা-এগারোটার সময়েও বাইকে করে বাড়ি আসতে কোনো ভয় নেই। পড়ালিখাও অনেক বেশি হচ্ছে। ভালো হচ্ছে।
আচ্ছা বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প, যেমন জব কার্ড, ইন্দিরা আবাস যোজনা, এগুলোর কাজ কেমন হয় গ্রামে? — আমার দাদা তো নীতিশের দলে আছে। দু-বার মুখিয়া হয়েছে, ওসব কাজ ভালোই হয়। পাশ থেকে একজন খরিদ্দার বলে ওঠেন, আসলে কী জানেন যদি এক-চেন-এ কাজ হয় তাহলে ভালোই হয়। মানে — মুচকি হেসে, বলেন — যদি গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে সেন্ট্রাল পর্যন্ত একই দলের সরকার থাকে তাহলে কাজ ভালোই হয়, নাহলে আটকে যায়। যখন বেরিয়ে আসছি, আমার বন্ধুটি বলে, দাদা আপনি মাস্টারমশাই না? আমি বলি, না তো। — ও আমাদের মতো সাধারণ! বললাম, হ্যাঁ। ঠিক বললাম কি?
Leave a Reply