দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট পত্রিকার ১০ জুন সংখ্যায় এলেন ডেভিডসনের রিপোর্ট থেকে নেওয়া হয়েছে#
১ জুন ব্র্যাডলি ম্যানিং-এর সমর্থনে প্রচণ্ড গরম উপেক্ষা করে কয়েক শত মানুষ মেরিল্যান্ডের ফোর্ট জর্জ মিয়াদে-তে মিছিল করে। এখানে রয়েছে মার্কিন সেনাবাহিনীর আর্মি ইনস্টলেশন। ৩ জুন থেকে শুরু হয়েছে ব্র্যাডলি ম্যানিং-এর বিচার। ভেটারান ফর পিস, ইরাক ভেটারানস এগেনস্ট দ্য ওয়ার, কারজ টু রেজিস্ট ইত্যাদি সংগঠনের পক্ষ থেকে তিনটি বাস ভর্তি মানুষ নিউ ইয়র্ক থেকে এসে এই মিছিলে যোগ দেয়। ২৫ বছরের যুবক ব্র্যাডলি ম্যানিংয়ের বিরুদ্ধে রয়েছে ২২টি অভিযোগ। মার্কিন সেনাবাহিনীতে কাজ করার সূত্রে সে ইরাক ও আফগানিস্তানে ইঙ্গ-মার্কিন আগ্রাসনের কুকীর্তি ফাঁস করে দিয়েছে। মার্কিন সরকারের কূটনৈতিক কেবল-বার্তা, রিপোর্ট সহ ১০ লক্ষ ক্লাসিফায়েড ডকুমেন্ট জনসমক্ষে নিয়ে আসতে সাহায্য করেছে। ২০০৭ সালে ইরাকে নিরস্ত্র জনতার ওপর মার্কিন সেনাদের আক্রমণের ভিডিও ‘কোল্যাটারাল মার্ডার’ প্রকাশ করেছে। মার্কিন সরকারের কাছে সে দেশের শত্রুর বন্ধু! কিন্তু খোদ মার্কিন দেশেই গড়ে উঠেছে ‘ব্র্যাডলি ম্যানিং সাপোর্ট কমিটি’. প্রতিটি যুদ্ধ-বিরোধী মানুষের সে বন্ধু। মিছিলে ওয়ার্ড রেইলি বলেন, ণ্ণএদেশে সত্য কথা বললে জেলে যেতে হয়। … আমাদের দায়িত্ব এটা দেখার যে ব্র্যাডলির জায়গায় যুদ্ধাপরাধীদের যাতে জেল হয়।’ অনেকেই বক্তব্য রাখেন। তাঁদের সার কথা ছিল, প্রতিদিন যা ঘটে চলেছে আমাদের চোখের আড়ালে সেগুলো ব্র্যাডলি আমাদের দেখিয়ে দিয়েছে, সে মোটেই অপরাধী নয়।
Leave a Reply