গত ১৬ ফেব্রুয়ারির সংবাদমন্থনে ‘সালেমানের মা-র গ্রামে পদাতিক কবি’ শীর্ষক সংবাদের তথ্যে দু-একটা ভুল আছে। ‘একটু সুখের মুখ দেখবে বলে/আমাদের মুখের দিকে/চুল সাদা করে/তাকিয়ে আছে আহম্মদের মা।’ — এই লাইনগুলো ‘যতদূরেই যাই’ কাব্যগ্রন্থের ‘পায়ে পায়ে’ কবিতার। এখানে সালেমানের মা-র উল্লেখ নেই। আর সালেমানের মা বর্তমানে বেঁচে নেই। ১২ ফেব্রুয়ারির অনুষ্ঠানে সত্তর উত্তীর্ণ সালেমান উপস্থিত ছিলেন। সালেমানের মা ছিলেন না।
কারাবাসের পর কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়কে বজবজে সোমনাথ লাহিড়ী নিয়ে আসেননি। ওঁরা স্বেচ্ছায় এসেছিলেন। ৭৩ ফকির মহম্মদ খান রোড, ব্যঞ্জনহেড়িয়া, বজবজের এই ঠিকানায় ১৪।৫।১৯৫২ তারিখের চিঠিতে কবি সুভাষকে সোমনাথ লাহিড়ী লিখেছিলেন, ‘সুভাষ, পরিচয়ে এসে তোমার দেখা পেলাম না। শুনলাম তুমি নিরিবিলিতে সাহিত্যসাধনা করার জন্য বনবাস নিয়েছ, আবার পি.সি. অফিসে শুনলাম যে তুমি ম্যাস কন্ট্যাক্ট করে উপন্যাস লেখার জন্যে বজবজ গেছ।’ এই চিঠির সূত্রে জানা যায় সোমনাথ লাহিড়ী কবিকে বজবজে আনেননি।
শুভেচ্ছা সহ
সনৎ কর্মকার
বজবজ, কলকাতা ১৩৭
পুনশ্চ : ১২।২।২০১৩-র অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিল সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের রিপোর্টাজগুলো নিয়ে অধ্যাপিকা স্বপ্না রায়ের আলোচনা।
Leave a Reply