বিজন কাহালি, জিনজিরাবাজার, কলকাতা, ২৯ সেপ্টেম্বর#
দক্ষিণ কলকাতার কোঠারি হাসপাতাল চিকিৎসার নামে পেসমেকার মেশিনের বিক্রয়কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে।
২০১১ সালের নভেম্বর মাসে আমার পরিচিত শ্রী রবীন্দ্রনাথ সাউ ভর্তি হন এখানে। ওঁকে আইসিইউ-তে রাখা হয়। তারপর তাঁর চিকিৎসার জন্য হলটার মনিটরিং মেশিন লাগানো হয়। তারপর রিপোর্ট দেখে বলা হয়, পেসমেকার এশিন লাগাতেই হবে। অন্তত এবার না লাগালেও আবার যদি একই অসুস্থতা হয়, তাহলে লাগাতেই হবে। উনি বাড়ি চলে আসেন। ২০১২ সালের ৩০ জুলাই ফের উনি কোঠারিতে ভর্তি হন, যথারীতি চালান করা হয় আইসিইউ-তে। এবারও বিভিন্ন টেস্ট করার পর জানিয়ে দেওয়া হয় পেসমেকার লাগাতেই হবে। এক লাখ টাকার প্যাকেজ আছে। ওঁরা বলেন, আমরা আলোচনা করে দেখি কী করা যায়। ওঁর বড়ো ছেলে বলেন, আমরা এখন লাগাব না, সময় চাইছি — বলে ছুটি নিয়ে আসেন। ৩ আগস্ট তারিখে রবীন্দ্রনাথকে আরেকটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও আইসিইউ-তে ঢোকানো হয়। ওঁর পরীক্ষা হয়, বলা হয়, ওঁর কোনো পেসমেকার দরকার নেই, কারণ ওঁর কোনো হার্টের অসুখই হয়নি! নার্ভের অসুখ। নার্ভের ওষুধ দিয়ে সেখান থেকে তাকে ৯ আগস্ট ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। আপাতত রবীন্দ্রনাথ ভালোই আছেন।
সবচেয়ে অবাক কাণ্ড, কোঠারি হাসপাতাল একটি গবেষণা কেন্দ্র বলে নিজেকে দাবি করে, তা কী করে একটি পেসমেকার বিক্রির জন্য তদ্বির করতে পারে!
Leave a Reply