সঞ্জয় ঘোষ, জয়নগর-মজিলপুর, ১৬ জুন, ছবি প্রতিবেদকের তোলা#
ধ্বন্বন্তরি কালিবারির পিছনে রাস্তাটার নাম কালিমাতা সরনি তার পরেই পুকুর।রাস্তা আর পুকুরের মাঝে কয়েকটা স্টল রয়েছে। গোটা তিনেক জিলিপি খাজা গজা ইত্যাদির দোকান তার পরে ছোটো একটা স্টল শাহজাদাপুরের সনত হালদারের (৩১) টেরাকোটা মাস্কের অর্থাৎ পোড়ামাটির মুখোশের। ওর বাবা ছিলেন জনমজুর ১৫ বছর আগে বাবা মারা যান তিন ভাই আর মায়েরর দায়িত্ব এসে পড়ে। ওদের চাষের কোনো জমি নেই তাই স্কুলে ফাইভ থেকে নাইন পর্যন্ত পড়ার সময় শ্রীপুরের অরবিন্দ কয়ালের কাছে শেখা পোড়া মাটির কাজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগায়।ওর এক ভাই কোলকাতায় ফুটপাথে রুমাল বিক্রি করে আর এক ভাই জনমজুরের কাজ করে।এখানে ও কিছু রুমালও রেখেছে যদি পোড়ামাটির মূখোশ বিক্রি না হয় তবে অন্তত স্টল ভাড়ার খরচটা যাতে ওঠে।ওর মা শিবানি হালদারের(৪৮) ক্যান্সার হয়েছে এ ব্যাপারে খুব চিন্তিত স্বাভাবিক কারনেই। চিত্ত্রঞ্জন ক্যান্সার হাস্পাতালে চিকিৎসা চলছে এখন বাড়িতেই আছেন । চিকিৎসা ও কেমোথারাপির খরচ ফ্রী অর্থাৎ লাগছেনা কিন্তু প্রতি সপ্তাহে ১২০০-১৩০০ টাকার ওশুধ কিন্তে হয় মায়ের জন্য।
আমাকে বলছিলো কাতর স্বরে দেখবেন যদি কিছু করা যায়। বল্লাম দেখ ভাই আমি তোমার মত এক সাধারণ মানুষ আমার কিছুই ক্ষমতা নেই করার তবে আমাদের ছোট পত্রিকায় লিখলে যদি তোমার কিছু উপকার হয় তা করতে পারি। বড় অসহায় লাগে এই সব সময়।
সনতের স্টল দেখে যেটা মনে হল, গ্রামীন জনমজুর বা কৃষকের বা নিম্নবিত্ত পরিবারের থেকে যে ঐতিহ্যবাহী পুতুল শিল্পীরা আসত সেটা কমে গেছে তার কারণ কি সেই সেই পুতুলের মার্কেট বা বাজার আর নেই তেমন? তার বদলে আধুনিক পোড়ামাটির কাজ জায়গা করে নিচ্ছে কিনা বা বাজারের খোঁজে সেই সব পরিবার আধুনিক শিল্পরীতির দিকে ঝুঁকছে কি না এটা একটা পর্যবেক্ষণের বিষয় এইসব মেলাগুলোতে।
Leave a Reply